ফিবোনাক্কি সংখ্যা কাকে বলে

আমরা জানি এই বৈচিত্র্যময় প্রকৃতির নানা রকম প্যাটার্ন এ ভরপুর হয়ে থাকে। এরমধ্যে নানা ধরনের সংখ্যা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হয়। সংখ্যাও বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। পাটিগণিত অংকে আমাদের সংখ্যাগুলি বিভিন্নভাবে সাজিয়ে আমরা সংখ্যা তৈরি করতে পারি। কখনো কখনো এই সংখ্যা দিয়ে প্যাটার্নও তৈরি হয়। সংখ্যাগুলি মূলত হয়ে থাকে ভগ্নাংশ সংখ্যা বাস্তব সংখ্যা জোড় বিজোড় সংখ্যা মৌলিক সংখ্যা যৌগিক সংখ্যা ধনাত্মক সংখ্যা অরিনত্তক সংখ্যা আর ঋনাত্মক সংখ্যা মূলদ সংখ্যা অমূলদ সংখ্যা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের সংখ্যা নিয়ে আমাদের গণিতে কাজ করতে হয়। তবে আজ আমাদের একটু ভিন্ন ধরনের সংখ্যা নিয়ে কথা বলতে হবে। এই ভিন্ন ধরনের সংখ্যাটির নাম হচ্ছে ফিবোনাক্কি সংখ্যা। আমরা যদি কিছু সংখ্যাকে এভাবে লিখি তাহলে এদের মধ্যে কোন প্যাটার্ন দেখতে পাওয়া যায় কিনা সেগুলো আমরা একটু খেয়াল করবো।

০,১,১,২,৩,৫,৮,১৩,২১,৩৪,……… আমরা যদি ভালো করে খেয়াল করি এই সংখ্যাগুলোর মধ্যে একটা প্যাটার্ন দেখতে পাবো। ভালো করে খেয়াল করি তাহলে দেখা যায় যে প্রথম দুইটি সংখ্যার যোগফল করলে পরবর্তী সংখ্যাটি পাব। অর্থাৎ এখানে খেয়াল করলে দেখতে পাই যে ০+১=১,১+২=৩,২+৩=৫, এভাবে যদি পূর্ববর্তী দুইটি সংখ্যা যোগ করে প্যাটার্নের পরবর্তী সংখ্যাটি পাওয়া যায় তাহলে এ ধরনের সংখ্যা প্যাটার্ন কে ফিবোনাক্কি সংখ্যা বলা হয়ে থাকে। আমরা এ ধরনের স্বাভাবিক ক্রমিক সংখ্যার যোগফল বের করার চমৎকার বিভিন্ন ধরনের সূত্র রয়েছে। তাই গণিতে আমরা যদি এই ধরনের সূত্র ব্যবহার করে অংক গুলি করতে থাকি তাহলে অবশ্যই প্রত্যেকটি অংকই আমাদের কাছে সহজ মনে হবে। আমরা একথা জানি যে একে চেয়ে বড় যেসব সংখ্যা এক ও সংখ্যাটি ছাড়া অন্য কোন গুননীয়ক নেই সেগুলোকেই আমরা মৌলিক সংখ্যা বলে থাকি।

আবার ইরাটোস্থিনিস চাকনের সাহায্যে সহজেই আমরা মৌলিক সংখ্যা গুলি নির্ণয় করে ফেলতে পারি। এ ধরনের বিভিন্ন নিয়মের সাহায্যে অংক বা বিভিন্ন ধরনের সংখ্যা নির্ণয় করা জন্য আমাদের অবশ্যই গণিত বিষয়টি নিয়ে অনেক ভাবতে হবে। এ ধরনের বিভিন্ন সংখ্যা নিয়ে যদি আমরা খেলতে থাকি তাহলে সংখ্যা খেলা থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারবো। আমরা যদি প্রথম দশটি বিজোড় সংখ্যার যোগফল কত এটি ক্যালকুলেটরের সাহায্যে যদিও সহজেই করে ফেলতে পারি কিন্তু আমরা প্রথমে এই ধরনের সংখ্যাগুলি নিয়ে নিজেরাই যদি দেখতে থাকি যে প্রথম দশটি বিজোড় সংখ্যার যোগফল কত এভাবে করতে করতে আমাদের অনেকটাই প্রত্যেকটা জিনিস নখ দর্পণে এসে যাবে তখন আর গণিত আমাদের কাছে একটি মজার বিষয় হয়ে উঠবে।

আমরা কিছু কিছু সংখ্যা রয়েছে যেগুলোকে দুইটি বর্গের সমস্ত যুবক প্রকাশ করা যায়।এভাবে ১ থেকে ১০০ এর মধ্যে যদি আমরা ৩৫ টি সংখ্যাকে দুইটি বর্গের যোগফল হিসেবে প্রকাশ করতে পারি তাহলে অবশ্যই আমাদের জন্য অনেক অংক করার দরজা খুলে যাবে। আবার কিছু স্বাভাবিক সংখ্যাকে দুই বা ততোধিক উপায় দুইটি বর্গের সমষ্টি রূপে আমরা দাফন প্রকাশ করতে পারব। যদি দুই অঙ্কের যেকোন সংখ্যা নেই এবং সংখ্যার অংক দুটি স্থান বদল করে প্রাপ্ত নতুন সংখ্যাটির সাথে আগের সংখ্যাটি যদি আমরা যোগ করি তাহলে যোগফলকে ১১ দিয়ে যদি ভাগ করা যায় তাহলে ভাগশেষ শূন্য হয় এটি একটি সংখ্যা নিয়ে খেলা।

এরপর দুই অঙ্কের যেকোন সংখ্যার অংক দুটি স্থান পরিবর্তন করে নাও বড় সংখ্যাটি থেকে ছোট সংখ্যাটি বিয়োগ করে বিয়োগফলকে আবার নয় দ্বারা ভাগ করে দেখো যে এখানেও ভাগফল শূন্য হবে। যদি তোমরা তিন অঙ্কের যেকোন সংখ্যা নাও এবং সংখ্যার অংক গুলোকে বিপরীত ক্রমে লিখ লেখার পর এবার বড় সংখ্যাটি কি থেকে ছোট সংখ্যাটি বিয়োগ করো তাহলে বিয়োগফলকে নয় দ্বারা ভাগ করলে দেখবে যে ভাগফল এখানেও শূন্য হবে।
ফিবোনাক্কি সংখ্যা: তাহলে আমরা দেখতে পাই যে পর পর দুইটি সংখ্যার যোগফল পরবর্তী সংখ্যার সমান এ ধরনের সংখ্যাকে ফিবোনাক্কি সংখ্যা বলা হয়। যেমন: ০, ১, ১, ২, ৩, ৫, ৮, ১৩, ২১, ৩৪, ……….. ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *