তারাবির নামাজের দোয়া কখন পড়তে হয়

সাধারণত মুসলমানদের এক বছর পর পর তারাবির নামাজ আদায় করতে হয়। আর আরবি হিজরি সনে রমজান মাসে মুসল্লিরা রোজা রেখে ইশার ফরজ নামাজের পর তারাবির নামাজ আদায় করে থাকেন। যেহেতু এক বছর পর পর এই নামাজ আদায় করতে হয় তাই অনেকেই এই নামাজের দোয়া কখন পড়তে হয় বা এই নামাজের দোয়া ভুলে যায় অনেক কারণ বসত ।তাই আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানিয়ে দেব তারাবির নামাজের দোয়া কখন কিভাবে কোন সময় পড়তে হয়। তারা তাই আপনারা যারা তারাবির নামাজ সম্পর্কে বা এর দোয়া কখন পড়তে হয় জানতে হলে আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

তারাবির নামাজের দোয়া কখন ও কতবার পড়তে হয়

অনেকেই ৮ রাকাত আবার অনেকেই ২০ রাকাত তারাবির নামাজটি আদায় করে থাকেন,তারাবি নামাজ দুই দুই রাকাত করে পড়তে হয়। দুই রাকাত নামাজ আদায় করে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করে। এভাবে ৪ রাকাত আদায় করার পর একটু বিশ্রাম নেওয়া। ৪ রাকাত তারাবি আদায় করে বিশ্রাম বা বিরতির পর ব্যাপক প্রচলিত একটি দোয়া রয়েছে। যা দেশের প্রায় মসজিদে পড়া হয়।সাধারণত প্রত্যেক বছরে রমজান মাসে আমরা তারাবিহ নামাজ আদায় করে থাকি, তবে রমজান মাস পর আমরা যেহেতু এই নামাজ আর পড়ি না তাই ভুলে যাই নামাজের দোয়া ও কোন সময়ে দোয়াগুলো পাঠ করতে হয়।

যেহেতু আমরা ভুলে যাই তাই পুনরায় আমাদের জেনে নিতে হবে কোন সময় তারাবির নামাজের দোয়া গুলো পাঠ করতে হয়। তারাবির নামাজ গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত, এইটা মসজিদের জামাতের সঙ্গে পড়লে অশেষ সওয়াব। তাই আপনি পারোতোপক্ষে বাড়িতে না পড়ে অবশ্যই মসজিদে জামাতের সঙ্গে তারাবির নামাজ আদায় করা জরুরী। রমজান মাস ইবাদত কবুলের মাস আপনি শুধু তারাবির নামাজ এর ক্ষেত্রে নয় সব ক্ষেত্রে বেশি বেশি দোয়া পাঠের মাধ্যমে নামাজ আদায় করতে হবে।

আমাদের প্রিয় নবী মহানবী (সা:) তারাবির নামাজকে নফল ইবাদত হিসেবে ধরলেও এর অশেষ সওয়াব ও গুরুত্বপূর্ণ কথা বলা হয়েছে।দীর্ঘ নামাজের কঠোর পরিশ্রম লাঘবের জন্য, প্রতি দুই রাকাত বিশেষ করে প্রতি চার রাকাত পর একটু বসে বিশ্রাম করে দোয়া ও তাসবিহ পাঠ করতে হয়। এজন্য ইহাকে সালাতুত তারাবিহ তারাবির নামাজ বলা হয়। আমাদের নবীজি তারাবির নামাজ আদায় করেছেন এবং রমজান মাসে প্রত্যেকটি নারী ও পুরুষকে এই নামাজ আদায় করার কথা বলেছে। যদিও আমাদের নবীজি সাহাবীদের উদ্দেশ্যে বলেছে এই নামাজটি সুন্নতে মুয়াক্কাদা তবুও এই নামাজের অশেষ ফজিলত ও সওয়াব রয়েছে।

হাদিসে অনেকবার উল্লেখ আছে এই নামাজ আদায় এর কথা। আপনি পারো তো পক্ষে রমজান মাসে তারাবির নামাজ আদায় করতে না পারলে এখানে গুনার ভাগীদার আপনি হবেন না, তবে আপনি যদি পারেন অবশ্যই তারাবির নামাজকে আদায় করতে হবে কারণ একমাস রোজা রেখে তারাবির নামাজ আদায় করলে আপনার অনেক গুনাহ মাফ হবার সুযোগ থাকবে। তারাবির নামাজ রমজান মাসের বিশেষ একটি ইবাদত। তারাবি আরবি শব্দ এর অর্থ হচ্ছে বিশ্রাম। দীর্ঘ সময় কেরাতের পর চার রাকাত পর পর বিশ্রাম নিয়ে যে নামাজ আদায় করা হয় সেটাই হলো তারাবির নামাজ।

এই নামাজের ফজিলত সম্পর্কে রাসূল (সা:) বলেছেন যে ব্যক্তি রমজান মাসের রাতে তারাবির নামাজ ঈমানের সঙ্গে আদায় করে, তার আগের জীবনের সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। অনেকেই রমজান মাসের দোয়া কখন পড়তে হয় এ বিষয়টি ভুলে যায়। যেহেতু এই নামাজ টি মুসলমানদের এক বছর পর পর করতে হয় যার কারণে এই সমস্যায় পরতে হয়।

রমজান মাসের নির্দিষ্ট নামাজ হল তারাবিহ, রমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত হল তারাবি নামাজ, আর অনেকেই এই নামাজের দোয়া কখন পরতে হয়, এই বিষয়ে অনেকে জানেন আবার ভুলে যান তাই তারাবির নামাজের দোয়া কখন পড়তে হয় এই বিষয়টি জানতে হলে আমাদের ওয়েবসাইটে এসে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ুন আর জেনে নিন আপনি আপনার তারাবি নামাজের দোয়া কখন কোন সময়ে কিভাবে পড়তে হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *