কখন মক্কা বিজয় হয়

ইসলাম ও বিশ্ব সভ্যতার ইতিহাসে মক্কা বিজয় এক ঐতিহাসিক ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। আপনারা অনেকেই কখন মক্কা বিজয় হয় সেই বিষয়ে একটি অনুসন্ধান করছেন বা জানার আগ্রহ আছে, আর কখন মক্কার বিজয় হয়ে এই সম্পর্কে জানতে হলে আপনি একদম সঠিক জায়গাটি নির্বাচন করতে হবে, আজকে আমরা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা জানিয়ে দেবো কখন মক্কার বিজয় হয়, আপনারা যারা কখন মক্কার বিজয় হয় এই প্রশ্ন টির সঠিক উত্তরটি যদি জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনি সম্পূর্ণ পরূন।

মক্কা বিজয়

১৪৩২ বছর আগের ২০ রমজানে নবী সাল্লাল্লাহু আলায়াই সাল্লাম, হিজরতের অষ্টম বছরে দশ হাজার মুসলিম সৈন্য নিয়ে মক্কা নগরী জয় করেন। তৎকালীন আরব ভূমির সবচেয়ে বিশাল জনপদ এটি, আর যুদ্ধের মাধ্যমে বিজয় নিশান গিয়েছিলেন আমাদের নবীজি। এই ঘটনাটি ছিল মুসলমানদের জন্য গৌরব ও সাফল্যের একটি দিক। ২০ই রমজান শুধু মক্কার বিজয় হয়নি বরং প্রিয় নবীর নিজ জন্মভূমির স্বাধীনতা পেয়েছে। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম দশ হাজার মুসল্লী সাহাবী নিয়ে, ১০ই রমজান মদিনা থেকে মক্কায় রওনা হয়।

দশ হাজার বিশাল মুসলিম বাহিনী বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এর সফল নেতৃত্বে বিনা রক্তপাতে ঐতিহাসিক মক্কা জয় করেন। এ বিজয়ের ফলে ২০ শে রমজান ঐতিহাসিক অমরত্ব লাভ করে। ইতিহাস অনুসন্ধান করলে দেখা যায় মক্কা বিজয় ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ একটি বিজয়। এই বিজয়ের ফলে মুসলমানরা আরব দেশের অন্যান্য এলাকা বিজয় করতে খুব সহজ হয়ে পরে। মক্কা বিজয়ের আগে মহান আল্লাহতালা আমাদের নবীকে অগ্রিম বিজয়ী বার্তা দিয়েছিলেন।

পবিত্র কুরআন মাজীদে বলা হয় যখন আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে সাহায্য ও বিজয় আসবে; তখন আপনি দেখবেন মানুষ দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করছে। মক্কায় প্রবেশের জন্য মুসলমান সৈন্যদের নবীজির চারটি ভাগে বিভক্ত করে দেয়, প্রথম দলের নেতা ছিলেন হযরত জুবায়ের (রাঃ) সালাম, দ্বিতীয় দলের নেতা ছিলেন হযরত আবু উবায়দা (রা:)। তৃতীয় দলের নেতা ছিলেন সা’দ বিন (রা:) । চতুর্থ দলের নেতা ছিলেন খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা:)
বিশে রমজান নবীজি খালিদ বিন ওয়ালিদ ওয়ালিদকে বললেন তুমি পিছন দিখ থেকে, মক্কায় প্রবেশ করবে, তবে কাউকে হত্যা করার চিন্তা করবে না, কারো ওপর অস্ত্র প্রয়োগ করবে না।

নবীজি কোন বাধা ছাড়াই কালো ও সাদা পতাকা নিয়ে সামনে দিয়ে মক্কায় প্রবেশ করেন। আমাদের প্রিয় নবী উচ্চস্বরে সুরা ফাতেহা পড়তে পড়তে মক্কায় প্রবেশ করছিলেন। এবং তার মধ্যে ছিল বিনয় ও নম্রতার প্রকাশ, কিন্তু খালিদ বিন ওয়ালিদ কাফেলার ওপর কুরাইশদের আক্রমণের ফলে তিনজন মুসলিম সৈন্য শাহাদাত বরণ করেন। এর পাল্টা জবাবে খালিদ বিনের নেতৃত্বে, ১৩ জন ইহুদী নিহত হয়। রাসূল( সা:) বিষয়টি জানতে চাইলে খালিদ বিন এর কাছ থেকে কৈফত চাই। তারপরে খালিদ বিন সব বিষয় গুলো নবীজির কাছে বিস্তারিত বর্ণনা দেয়।

মক্কা বিজয়ের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর নেতৃত্বে ৬৩০ অব্দে রক্তপাতহীনতা ভাবে মক্কা নগরের এক ঐতিহাসিক জয় হয়। ইতিহাসের এই জয় মক্কা বিজয় হিসেবে খ্যাত। এই ঐতিহাসিক জয়ের মাধ্যমে আরবের অন্যান্য এলাকা বিজয় করতে খুব একটা সময় লাগেনি মুসলমান সৈন্যদের। ২০০০ সাহাবা নিয়ে নবীজি মক্কায় ওমরা পালন করতে এসেছিলেন এ সময় মক্কার কুরাইশদের মধ্যে নেতৃত্বে শূন্যতা অনুভব করেন। মক্কার বিজয়েল ফলে ইসলামের কবুলকারী সংখ্যা বিপুল পরিমাণে বেড়ে যায়।

মক্কার বিজয় এর ফলে সমগ্র আরব ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব মুসলমানদের হাতে এসে পড়ে। যা এতদিন মক্কার মুশফিকদের হাতে ছিল। মক্কার ভিতর ফলে মুসলিমদের শক্তিমত্তা, নবীজির অতুলনীয় খ্যাতি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। তার এই সততার কাছে সবগুলা মাথা নত করতে বাধ্য হয়।

আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানিয়ে দিলাম কখন মক্কা বিজয় হয়, কিভাবে মক্কা বিজয় আপনারা যারা কখন মক্কা বিজয় হয় এই প্রশ্নটির সঠিক উত্তরটি জানতে চাচ্ছিলেন আমাদের আর্টিকেলটি আপনি পরুন, আর আপনার প্রশ্নের কাঙ্ক্ষিত উত্তরটি আমাদের এখান থেকে জেনে নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *