কে জি মোস্তফা একজন নন্দিত ও জনপ্রিয় গীতিকার হিসেবে সমাজে পরিচিত হলেও তিনি ছিলেন মূলত একজন আধুনিক কবি। সাধারণত কবিতা দিয়ে তার সাহিত্য জীবন শুরু। এই কবিতার মাধ্যমে তার সারাটা জীবন পার করে গেছেন। কবিতা তার খুব পছন্দের একটি বিষয় ছিল। আপনারা এই বিখ্যাত গীতিকার কে জি মোস্তফা কে এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে আগ্রহী। আপনারা যারা এই বিখ্যাত মানুষটি সম্পর্কে জানতে চান আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দিব। আপনারা যারা এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে গুগলে সার্চ করছেন গুগলে এ সার্চ করার সাথে সাথে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে এ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন। তাছাড়া এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে আপনাকে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি সিলেক্ট করতে হবে। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক আপনাদে র কাঙ্খিত প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি সম্পর্কে।
কে জি মোস্তফা এমন একজন ব্যক্তিত্বের মানুষ ছিলেন তিনি সব সময় সৃজনশীল বিষয় নিয়ে ভাবতে পছন্দ করতেন। তিনি সব সময় সৃজনশীলতার বিষয়গুলো নিয়ে দর্শকদের মাঝে হাজির হতেন। তিনি দুই দশকের বেশি সময় নিয়ে সিনেমার গান নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করেছিলেন। আর এই সিনেমার গানগুলো এই ব্যক্তিকে জনপ্রিয় তার শীর্ষে পৌঁছে দেয়। এই গান গুলো ঘিরে এই ব্যক্তির বিপুল জন প্রিয়তার সৃষ্টি হয়। তিনি গান কবিতা ছাড়াও ছড়া প্রবন্ধ ও বিখ্যাত মানুষের আত্মজীবন গুলো লিখে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছেন। তিনি প্রতিনিয়ত বাংলা সাহিত্য কে কিভাবে অগ্রসর করা যায় কিভাবে আরো বেগমন করা যায় এই বিষয়গুলো সম্পর্কে ভাবতেন।
নন্দীত গীতিকার কে জি মোস্তফা বাংলা সাহিত্যে ও বাংলা সাহিত্যে অঙ্গনে খুব গর্বিত একজন মানুষ ছিলেন। এই নন্দিত কথা সাহিত্যিক জন্মগ্রহণ করেন পহেলা জুলাই ১৯৩৭ সালের নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানায়। বাংলা ভাষা ও বাংলা সাহিত্যিকের ওপর তিনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। আর কে জি মোস্তফার লেখালেখি শুরু ছাত্র জীবনে শুরু থেকেই। ওই সময় থেকে তিনি বিভিন্ন ধরনের ছোটখাটো পত্রিকায় লেখালেখি শুরু করেছিলেন। তার এই লেখালেখি থেকে তিনি গান লেখা শুরু করেছিলেন। ১৯৬০ সাল থেকে টেলিভিশন রেডিও অনেক গান প্রচার শুরু করে যার মাধ্যমে তিনি বেশ খ্যাতি অর্জন করেন।সিনেমার কালজয়ী এবং সর্বাধিক জনপ্রিয় দুই গান তোমারে লেগেছে এতো যে ভালো চাঁদ বুঝি তা জানে এবং আয়নাতে ঐ মুখ দেখবে যখন এইসব জনপ্রিয় গানের গীতিকার ছিলেন তিনি।
কে জি মোস্তফা জাতীয় প্রেসক্লাবের জ্যেষ্ঠ সদস্য। গীতিকার হিসেবে পরিচিতি থাকলেও কে জি মোস্তফা একজন সফল সাংবাদিক হিসেবে বেশ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তার এই বহুরূপী গুণের জন্য দেশের ব্যাপক পাঠক-জনতার কাছে তাকে আলাদা পরিচয় করিয়ে দিতে হয় নি তিনি সবার কাছে অন্যতম একজন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন।বায়ান্ন সালের ভাষা আন্দোলনের অমর ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে কিংবা মহান মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে কালজয়ী লেখালেখি তার হাজারো ভক্তকে দেশপ্রেমের সম্পর্কে আরও জাগ্রত করে। লেখক হিসেবে কে জি মোস্তফার প্রকাশ ও বিকাশ মূলত ষাটের দশকে। তার সঙ্গে যাদের পরিচয় ছিল তারা আরো একজন কে জি মোস্তফাকে জানতেন, যা হলো সাংবাদিক।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ও হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন। তারপরে কে জি মোস্তফা ২০১০ সালে ৮ ই মে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। নন্দিত এই গীতিকার ৭৫ বয়সে জীবনে অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তার এই কর্মজীবনে থেকেই মানুষ আজীবন তাকে মনে রাখবে। তার প্রতিটি কাজে ও প্রতিটি কবিতায় বাংলাদেশের মানুষকে ও বাঙালিকে অনুপ্রেরণা জাগিয়ে গিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের একজন ভাষা সৈনিক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ উদার আধুনিক মনষ্ক একজন মানুষ। বাংলা সাহিত্যে তার অবদান ছিল ব্যাপক।
গীতিকার কে জি মোস্তফা কে আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে চান আমরা উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে তা জানিয়ে দিলাম। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইড ভিজিট করে এ ধরনের প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তর গুলো খুব সহজেই জেনে নিন।