কিডনি বিক্রি করার ফোন নাম্বার

ব্যক্তিগত জীবনে যারা হতাশায় নিমজ্জিত রয়েছেন তাদের জন্য আজ আমরা বেশ কিছু পরামর্শ নিয়ে হাজির হয়েছি। এই পৃথিবীর কোন মানুষ অভাবের বাইরে নয়। প্রতিটি মানুষের জীবনেই অভাব রয়েছে। কারো রয়েছে টাকার অভাব, কারো আবার মানসিক শান্তির অভাব। টাকা দিয়ে কখনো মানসিক শান্তি কিনতে পাওয়া যায় না আবার শুধু মানসিক শান্তি পেলেই অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধান হয় না। স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে গেলে দুটো প্রয়োজনকেই ব্যালেন্স করে চলতে হবে। এরপরও অনেকেই এমন বাস্তবতা না মানতে পেরে শেষ পর্যন্ত সিরিয়াস সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়।

আজ আমরা যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব তা ওই সকল মানুষদের জন্য অনেক কাজে আসবে যারা হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে কিডনি বিক্রি করার মত সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন। আশা করি আমাদের এই পোস্টটি পড়ার পর আপনারা জানতে পারবেন একজন মানুষ কখন এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তাদের সামনে কেমন প্রতিকূলতা আসতে পারে। আশা করি শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থেকে গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য সংগ্রহ করবেন এবং আপনার আপনজনদের এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত রাখবেন।

সাধারণত আমরা নাটক অথবা সিনেমায় দেখে থাকি একজন মানুষ বিপাকে পড়ে নিজের কিডনি বিক্রি করার মত সিদ্ধান্ত নেয়। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন মানুষের শরীরে দুটি কিডনি থাকে এবং এর মধ্যে একটি কিডনি না থাকলেও অপরটি তার কাজ সঠিকভাবে করতে থাকে। কিডনি মানুষের শরীরের কত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ তা নিশ্চয়ই আপনাদের বলে দিতে হবে না। কিডনির মাধ্যমে আমাদের শরীরের সকল বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশিত হয়। কিডনি না থাকলে অপ্রয়োজনীয় এসব পদার্থ আমাদের শরীরের অনেক ক্ষতি করত।

কিডনি ছাঁকনির মতো এসব অপ্রয়োজনে পদার্থগুলো শরীর থেকে ছেঁকে ফেলে। তাই কিডনির গুরুত্ব আমাদের বুঝতে হবে। নিয়মিত পানি পান করতে হবে এবং কিডনিকে সুস্থ রাখতে হবে। কিডনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হওয়ায় বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। যেসব মানুষের দুটি কিডনি অকেজো হয়ে যায় তারা টাকা দিয়ে কিডনি কিনতে আগ্রহী থাকে। একটি কিডনি পেলেও চড়া দাম দিয়ে কিনে নিজের শরীরে প্রতিস্থাপন করে। তবে কোন দরিদ্র মানুষের পক্ষে কিডনি প্রতিস্থাপন করা সম্ভব নয় বলা চলে। কিডনি প্রতিস্থাপনে যা খরচ হয় তা মধ্যবিত্ত অথবা নিম্নবিত্ত পরিবারের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়।

আমাদের আজকের আলোচনার মূল বিষয় হলো একজন মানুষ যদি কিডনি বিক্রি করতে চায় তবে তাকে কি করতে হবে। এর আগে আপনাদের জেনে নেওয়া উচিত একজন মানুষ কেন কিডনি বিক্রি করতে ইচ্ছুক থাকে। কিডনি এত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হওয়া সত্ত্বেও কি এমন কারণ থাকে যখন একজন মানুষ নিজের কিডনি বিক্রি করার মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। অনেকেই মনে করেন কিডনি বিক্রি করা খুব সহজ একটি কাজ। কিডনি বিক্রি করার সহজ মনে হলেও আদতে এই কাজটি মোটেও সহজ নয়। আপনি চাইলেই যখন তখন কিডনি বিক্রি করে দিতে পারেন না। কিডনি বিক্রি করার জন্য বেশ কিছু নিয়ম-নীতি মানতে হবে। যার শরীরে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে তার সাথে দাতার টিস্যু ম্যাচ হতে হবে।

এরপরেই কিডনি প্রতিস্থাপন করা সম্ভব। এছাড়াও বেশ কয়েক রকম আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয় কিডনি বিক্রি করার জন্য। আমাদের দেশে এক ধরনের অসাধুচক্র রয়েছে যারা গোপনে অনেক মানুষের কিডনি বের করে পাচার করে। তাই কিডনি বিক্রি করার মতো সিদ্ধান্ত নিতে গেলে অনেক চিন্তাভাবনা করেই নিতে হবে। হুটহাট এমন সিদ্ধান্ত না নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। আপনি যদি অর্থনৈতিক সমস্যার মধ্যে থাকেন তবে তা থেকে মুক্তি পাবার অন্য উপায় খুঁজে বের করুন। আপনার আশেপাশে কোন অভিভাবক থাকলে তার সাথে যোগাযোগ করুন। কিডনি বিক্রি করলেই যে আপনার সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে এমনটা নয়। তবে হ্যাঁ, যদি ইচ্ছাকৃতভাবে কিডনি দান করতে চান তবে এই বিষয় নিয়ে যে কোন হাসপাতালে আলোচনা করে দেখতে পারেন।