বাংলাদেশের মানুষ অসুস্থ হবার আগে নিজেদের স্বাস্থ্য নিয়ে মোটেও ভাবে না। ঠিক এ কারণেই অসুস্থ হবার পর তাদের মোটা অংকের টাকা খরচ করতে হয়। অসুস্থ হবার আগেই যদি আমরা স্বাস্থ্য সচেতন হই তবে হয়তো অসুস্থ হবার পর মোটামুটি টাকা খরচ করতে হবে না। যদিও অসুস্থতার উপর আমাদের কোন হাত নেই কিন্তু এই বিষয় নিয়ে আমাদের আরো বেশি সিরিয়াস হওয়া জরুরী। আমরা নিশ্চয়ই লালনের সেই বিখ্যাত কথাটি জানি, সময় গেলে সাধন হবে না। তাই সময় থাকতে নিজের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে, নয়তো পরে পস্তাতে হবে। বাংলাদেশের চিকিৎসক পদ্ধতি দিন দিন অনেক আধুনিক হচ্ছে। রোগ নির্ণয়ের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি আবিষ্কৃত হচ্ছে। খুব সহজেই এখন যেকোনো রোগ নির্ণয় করা সম্ভব।
তবে রোগ নির্ণয়ের আগেই আমাদের স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে সুস্থ থাকতে হবে। অসুস্থ হবার পর অনেকেই মানসিকভাবে বেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়লে অল্প সময়ে সুস্থ হওয়া সম্ভব নয়। চলুন আজ আমরা বাংলাদেশের বিখ্যাত হাসপাতাল গুলো নিয়ে কিছু কথা বলি। বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি উন্নত মানের হাসপাতাল নিয়ে আমরা আলোচনা করব। প্রতিটি হাসপাতালের মোবাইল নাম্বার থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ সকল তথ্য থাকবে আমাদের লেখার মধ্যে।। হাসপাতালের প্রায় প্রতিটি ডাক্তারের মোবাইল নাম্বার এবং পদবী জানতে পারবেন এই পোস্টগুলোতে। আজকের পর্বে আমরা ইবনে সিনা হাসপাতাল দয়াগঞ্জ নিয়ে আলোচনা করব।
ইবনে সিনা হাসপাতালের নাম শোনেননি এমন ব্যক্তি হয়তো বাংলাদেশে খুব কমই পাওয়া যাবে। বাংলাদেশের যে কয়টি নামকরা হাসপাতাল রয়েছে তার মধ্যে ইবনে সিনা অন্যতম। ইবনে সিনা হাসপাতালের বেশ কয়েকটি শাখা রয়েছে। আমরা প্রতিটি শাখার গুরুত্বপূর্ণ মোবাইল নাম্বার নিয়ে আলোচনা করব। ইবনে সিনা হাসপাতালের প্রতিটি শাখার মোবাইল নাম্বার আমাদের পোস্টে সংযুক্ত করা হবে। ইবনেসিনা হাসপাতালের জরুরী মোবাইল নাম্বার ছাড়াও প্রতিটি শাখার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মোবাইল নাম্বার এবং তাদের সাথে ভিজিটের সময় এবং ভিজিটের পরিমাণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব এই আর্টিকেলগুলোতে। ইবনে সিনার প্রতিটি শাখার গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী সংগ্রহ করার জন্য আমাদের এই সিরিজের প্রতিটি আর্টিকেলে চোখ রাখতে হবে।
09610-009615
আশা করি এই আর্টিকেলগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ে বুদ্ধিমানের পরিচয় দিবেন। আপনার অনেকে ভাবতে পারেন অসুস্থ হবার আগেই হাসপাতালে মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে লাভ কি হবে। অসুস্থ হবার আগেই হাসপাতালে মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে কিভাবে লাভবান হবেন তা নিয়ে একটু কথা বলা উচিত। বাংলাদেশের মানুষ নিজেদের স্বাস্থ্য নিয়ে একটুও ভাবতে চায় না। তারা ভাবে অসুস্থ হবার আগেই ডাক্তারদের সাথে আলোচনা করে কোন লাভ নেই। অথচ একজন মানুষের নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো উচিত। নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলেই বুঝতে পারবেন আপনার নিয়মিত এক্সারসাইজের দরকার হবে কিনা অথবা ডায়েট কন্ট্রোল করতে হবে কিনা। আগে থেকে না ভাবার কারণেই অনেকে ডায়াবেটিস অথবা হৃদরোগের জটিলতায় পড়ে যাচ্ছেন। সময় থাকতেই নিজেকে সচেতন হতে হবে এবং সকল ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে।
এখন আলোচনা করব কি কারণে আগে থেকেই প্রায় প্রতিটি হাসপাতালে মোবাইল নাম্বার নিজেদের সংগ্রহে রাখা উচিত। আপনারা হয়তো আগে থেকে জানেন না কোন হাসপাতালে চিকিৎসা নিলে সবচেয়ে ভালো সার্ভিস পাবেন। চিকিৎসা সেবা নেওয়ার আগে আমাদের খরচের কথা ভাবা লাগে কারণ আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষই মধ্যবিত্ত অথবা নিম্ন মধ্যবিত্ত। একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে কখনোই কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করা সম্ভব নয়। তাই মধ্যবিত্ত অথবা নিম্নবিত্ত পরিবারের সদস্যগণ চিকিৎসা সেবা নেওয়ার আগে কম খরচে সবচেয়ে ভালো সার্ভিসটা খুঁজে থাকেন।
কম খরচে সবচেয়ে ভালো সার্ভিস কোন হাসপাতালে পাবেন তা হয়তো আপনি নিজে নিজে জানতে পারবেন না। এই তথ্য জানার জন্য অনেক রোগীর সাথে কথা বলে নিতে হবে। তাদের কাছ থেকে প্রতিটি হাসপাতালের রিভিউ নিতে হবে। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সম্বন্ধে আলোচনা করতে হবে। তবেই বুঝতে পারবেন কোন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া আপনার জন্য ভালো হবে।ইবনে সিনা হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা কেমন তা হাসপাতালে ফোন করে জেনে নিতে পারেন। আশা করি সেখানকার স্টাফরা আপনাদের সাথে প্রতিটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।
কিডনি বিক্রি করব