কল্লোল পত্রিকার সম্পাদক কে

কল্লোল মূলত সাধারণ কোনো পত্রিকা ছিল না। কল্লোল একটি সাহিত্য পত্রিকা ছিল। আর এই সাহিত্য পত্রিকাটি প্রকাশিত করা হয়েছিল ভারতের কলকাতা থেকে ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দের প্রথম দিকে। কল্লোল পত্রিকাটি ১৯২৩ সাল থেকে ১৯২৯ সাল পর্যন্ত সংঘটিত বা প্রভাবশালী বাংলা সাহিত্য বিপ্লবের অন্যতম একটি পত্রিকা ছিলেন। বিখ্যাত এই পত্রিকাটির মাধ্যমে রবীন্দ্র উত্তরের আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ক্রম বিকাশের পদকে উন্মোচিত করেছিল। সেই সময় বাংলা সাহিত্যে এই পত্রিকাটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। তাই কল্লোল পত্রিকার সম্পাদক কে আপনারা অনেকেই এ প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি জেনে নিতে চান। তাই আপনাদের জন্য এ ধরনের ছোট ছোট প্রশ্নের উত্তর আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত প্রকাশিত করি আপনারা গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে এ ধরনের প্রয়োজনীয় ছোট ছোট প্রশ্নের উত্তর গুলো বিস্তারিতভাবে জেনে নিতে পারবেন।

কল্লোল পত্রিকার মাধ্যমে সেই সময়ে নব্য ধারায় সাহিত্য গোষ্ঠীর সৃষ্টি হয়। বাংলা সাহিত্যের নব্য ধারায় এই পত্রিকা বিশেষ একটি জায়গা দখল করে দিয়েছে। আর এই জায়গা দখল করার কারণ সে সময় বাংলা সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে গিয়েছেন এই কল্লোল পত্রিকাটি। সর্ব প্রথম এই পত্রিকাটি সূত্রপাত ঘটেছিল ১৯২১ সালের কলকাতা হাজরা রোডে। চার শিল্পী গোষ্ঠী নামক একটি সাহিত্য আড্ডার মাধ্যমে সর্বপ্রথম উন্মোচিত হয়েছিল বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পত্রিকা কল্লোলের। আর আড্ডার চার সদস্য ছিলেন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম গুণী ব্যক্তিরা। আর এই আড্ডার উদ্দেশ্য ছিল বাংলা সাহিত্য, ললিত কলা সংগীত, ও নাটকের সৃষ্টি ও এর ব্যাপকভাবে চর্চা করা। পরবর্তী চার শিল্প গোষ্ঠী নামক পত্রিকা গঠন করার চিন্তা থাকলেও ১৯২৩ সালে কল্লোল নামে পত্রিকা প্রকাশ করেন।

কল্লোল পত্রিকার প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৩০ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখে। এই পত্রিকাটি প্রকাশের পর বিপুল ভাবে আদৃত এবং নিন্দিত হয়েছিল। কল্লোল পত্রিকাটি সাহিত্য গোষ্ঠীর সম্ভবত বাংলা সাহিত্যের প্রথম আধুনিক নব জাগরণের সূচনা করেছিলেন। যা বাংলা সাহিত্যের জন্য বিশাল পাওয়া। বিশেষ এই পত্রিকাটির লেখক ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম এবং মাত্র পঁচিশ বছর বয়সে কল্লোল পত্রিকার লেখক ছিলেন তিনি। আর কল্লোল পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলেন দীনেশরঞ্জন দাশ। তবে কল্লোল পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন অচিন্ত্য কুমার সেনগুপ্ত, শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়, প্রেমেন্দ্র মিত্র ইত্যাদি আরো অনেকে। সেই সময় অনেক আধুনিক সাহিত্যিক পত্রিকা ছিল যেগুলো কল্লোল পত্রিকার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী করত। কিন্তু সেই সময়ে এ পত্রিকার জনপ্রিয়তা এতটাই বেশি ছিল যেখানে কোন পত্রিকাই কল্লোল পত্রিকার কাছাকাছি আসতে পারত না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *