মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন

মুজিবনগর সরকারটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে মুক্তিযোদ্ধা পরিচালনা করার জন্য একটি অস্থায়ী সরকারী হিসেবে গঠন করা হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা চলাকালীন নেতৃত্ব দানকারীর জন্য বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার হিসেবে এই মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধার বিজয়ের ক্ষেত্রে এ সরকারের অবদান অপরিসীম। তাই মুজিবনগর সম্পর্কে জেনে নিতে অনেকেই বেশ আগ্রহী।

অনেকেই মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন এ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে মুজিব নগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন এ বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়ে দিব। আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আমাদের ওয়েবসাইটে থাকা আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাছাড়া আপনাদের সুবিধার জন্য এ ধরনের প্রশ্ন প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইটে আমরা প্রকাশিত করি আপনারা গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুলো আমাদের ওয়েবসাইট থেকে জেনে নিতে পারবেন।

১৯৭১ সালের ২৫ই মার্চ পাকিস্তান হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির ওপর নির্বিচারে আক্রমণ চালায়। তখন বাঙালি জাতি আর থেমে থাকে নি সেখান থেকে মুক্তির আন্দোলনে নেমে পড়ে তারা যে কোন অবদানে বাংলাদেশকে শত্রুমুক্ত করবে বলে ঐক্যবদ্ধ হন। আর একটি রাষ্ট্রকে পরিচালনা করার জন্য সঠিক একটি সরকার দরকার নয়তো যুদ্ধ পরিচালনা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে তাই অস্থায়ী সরকার হিসেবে মুজিবনগর সরকার টি গঠন করা হয়। তাই ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথ গ্রামে মুজিবনগর সরকারি গঠন করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে বৈদ্যনাথ গ্রামের নামকরণ করা হয় মুজিব নগর। সাধারণত মুজিবনগর সরকার টি ভূখণ্ডের বাইরে থেকে পরিচালনা করা হয়েছিল।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অন্যতম একটি অধ্যায় হল মুজিবনগর সরকার। যুদ্ধকালীন সময়ে এই সরকারের নেতৃত্ব ছিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। কারণ যুদ্ধকালীন সময়ে একটি দেশকে যদি নেতৃত্ব দেয়ার মত কোন সরকার না থাকে তাহলে সে দেশ কখনো স্বাধীনতা অর্জন করতে পারবে না। একটি সরকার ছাড়া কোনোভাবে একটি দেশের বিজয় সম্ভব নয় তাই বাঙালিরা কৌশলে মুজিবনগর সরকারি গঠন করে।
বৈদেশিক সমর্থনের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনে মুজিবনগর সরকার যে ভূমিকা রেখেছে তা অত্যন্ত প্রশংসার দাবিদার।

তাছাড়া যুদ্ধক্ষেত্রে সহায়তা করার জন্য একটি সরকারের প্রয়োজন আর সেটার দায়িত্ব পালন করেছে মুজিবনগর সরকার। দেশ স্বাধীন পরবর্তী সময় ও বঙ্গবন্ধুকে দেশে ফিরি য়ে আনতেও এই সরকার বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই এই সরকার যে আমাদের জন্য একটি আশীর্বাদ হয়ে এসেছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

সাধারণ মুজিবনগর সরকার টি ১৯৭১ সালে ১০ এপ্রিল গঠন করা হয়। আর মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ হয় ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল। মুক্তিযুদ্ধকে সঠিক পথে পরিচালনা করা ও দেশে-বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠন করা জন্য এই মুজিবনগর সরকারকে গঠন করা হয়। আর মুজিবনগর সরকারের গঠনের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে অনেক ত্যাগ ও অনেক বাধা অতিক্রম করতে হয়েছে। আর মুজিবনগর সরকার টি শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আব্দুল মান্নান। আর শপথ গ্রহণের পর যারা যারা দায়িত্ব পান তারা হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রাষ্ট্রপতি হিসেবে মুজিবনগর সরকারের দায়িত্ব পান। আর মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান তাজউদ্দীন আহমেদ। মুজিবনগর সরকারের সদস্য সংখ্যা ছিল ছয় জন।

মুজিবনগর সরকার গঠন করার সময় বারবার বাধা পেতে হয়। মুজিবনগর সরকার গঠনটি হঠাৎ করে আবির্ভাব ঘটেনি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এটি দীর্ঘ পরিকল্পনা ও নজীরবিহীন ত্যাগের ফসল। স্বাধীন বাংলাদেশ গঠন করার জন্য মুজিবনগর সরকারের বারবার বাধা এসেছে কিন্তু কোন বাধাই বাঙালি জাতিকে দাবিয়ে রাখতে পারেনি। সব বাধা পেরিয়ে বাঙালি জাতি স্বাধীনতার লাল সূর্য কে ছিনিয়ে নিতে পেরেছে। আর মুজিবনগরের প্রধানমন্ত্রীর তাজউদ্দিন আহমেদের বক্তব্যের মাধ্যমে দেশ-বিদেশের মানুষ জানতে পারে বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম পরিচালনার লক্ষ্যে একটি আইনানুগ সরকার গঠিত হয়েছে। তাই বাংলাদেশের মুক্তির যুদ্ধের ইতিহাসে এ সরকারের অবদান অতুলনীয়।

আপনারা যারা এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে চান আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে এ বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান করলাম। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে আপনাদের এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর গুলো সম্পর্কে জেনে নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *