বাংলাদেশের ঐতিহাসিক রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী মুসলিম লীগ অন্যতম। পূর্ব পাকিস্তানের শাসন আমলের সময় এই রাজনৈতিক দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে এই রাজনৈতিক দলটির ভূমিকা ছিল অপরিসীম। তাই আপনারা যারা আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রথম সভাপতি কে ছিলেন এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আপনাদের জন্য আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে এই বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়ে দিব
আপনারা যারা এ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আপনাদের জন্য প্রতিনিয়ত এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুলো আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত করি আপনারা গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুলো আমাদের ওয়েবসাইট থেকে জেনে নিতে পারবেন চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি সম্পর্কে।
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের অবদানের ক্ষেত্রে বাংলা দেশের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক সংগঠন গুলোর মধ্যে অন্যতম সংগঠন হলো আওয়ামী মুসলিম লীগ। মহান মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে নেতৃত্ব দানকারী দলের মধ্য আওয়ামী মুসলিম লীগ অন্যতম। পুরনো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে এই রাজনৈতিক দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারাগারে আটক ছিলেন।
আর তাকে কারাগারে আটক থাকা অবস্থায় এ দলটির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়ে থাকে।১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ের পর ১৯৫৫ সালে অনুষ্ঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগের কাউন্সিলে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়া হয়। তবে পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর রাষ্ট্রের শাসক গোষ্ঠী সরকারি দল মুসলিম লীগকে কার্যত একটি পকেট দল বানি য়ে রাখে। তবে এটা কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারে না এই দলটির রাজনৈতিক কর্মীরা এদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে।
পাকিস্তান জন্মের দুই বছর পর ১৯৪৯ সালে পূর্ব পাকিস্তানের অন্যতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে পূর্ব বাংলার গণতান্ত্রিক মানুষের অর্জন, এই দলের অর্জন বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জনসাধারণের জন্য বিশাল এক অর্জন। জাতির জন্য যখন যা প্রয়োজন মনে করেছে, সেটি বাস্তবায়ন করেছে এ দলটি। ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ, সব আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশ গঠনে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করেছে আওয়ামী মুসলিম লীগ দলটি। পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠন করার পর বাংলার মানুষের উপর চরম জুলুম ও নির্যাতন শুরু হয়ে যায়। বাঙ্গালীদের উপর নেমে আসে পশ্চিম পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠীর জাত নিপীড়ন। পাকিস্থানের এই শাসক গোষ্ঠীর জুলুম ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন আওয়া মী মুসলিম লীগ। যা বাংলার ইতিহাসে অন্যতম একটি ঘটনা।
আওয়ামী মুসলিম লীগ দলটি খুব দ্রুত পূর্ব পাকিস্তানের জন প্রিয়তা লাভ করে। বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন এই রাজনৈতিক দলটির গুরুত্ব ছিল চোখে পড়ার মতো তাই ভাষা আন্দোলন ছাত্র, যুব ও তরুণদের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন হলেও তাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ছাত্রযুব ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। আর এই রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে অন্যতম ও বিশেষ অবদান রাখে বাংলাদেশ আওয়ামী মুসলিম লীগ দলটি। আওয়ামী মুসলিম লীগ যেমন সংগঠন ভাবে ভাষা আন্দোলনে যুক্ত হয়, তেমনি এই রাজনৈতিক সংগঠনটির অন্যতম নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও ভাষা আন্দোলনের শুরু থেকেই এ আন্দোলনের সঙ্গে গভীর ভাবে জড়িত ছিলেন।
১৯৪৯ সালের ২৩শে জুন ঢাকাই রোজ গার্ডেন এই দলটি প্রতিষ্ঠিত। আর এই দলটিতে কর্মী সম্মেলনে দলের কমিটি গঠন হয়। আর এ দলটিতে ৪০ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয় আর এই কমিটির দায়িত্বে দেওয়া হয়। আর এই দলটিতে প্রথম সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় মাওলানা ভাসানীকে। আতাউর রহমান খান সহ তিন জনকে সহ-সভাপতি করা হয়। এভাবে এ দলটি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এই দলটি নাম পরিবর্তন করে বর্তমানে এটা আওয়ামী লীগ হিসেবে পরিচিত।
আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রথম সভাপতি কে ছিলেন আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেতে চান আমরা উপরোক্ত আলোচনা থেকে এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান করলাম। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইড এ ভিজিট করে এই বিষয়টি সম্পর্কে আরও বিস্তারিতভাবে জেনে নিন।