সংবিধানের অভিভাবক কে

সংবিধান একটি রাষ্ট্রের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সংবিধান এমন একটি বিষয় যেখানে শাসন ব্যবস্থার মূল গ্রন্থ থাকে, স্বায়ত্ত শাসিত কোন রাজনৈতিক সত্তার কর্তব্য নির্ধারণের মৌলিক নিয়ম ও সূত্র সমূহ লিপিবদ্ধ থাকে সংবিধানে। একটি রাষ্ট্রে সংবিধান দুই ধরনের হতে পারে একটি লিখিত সংবিধান আর একটি অলিখিত সংবিধান। তাই বাংলাদেশ একটি লিখিত সাংবিধানিক দেশ। আর এই সংবিধানটি গৃহীত হয় ১৯৭২ সালের ৪ এ নভেম্বরে। আর তারপর থেকে সাংবিধানিক অনুসারে দেশটির পরিচালিত হয়ে আসছে। তাই আমাদের অনেক সময় অনেক ক্ষেত্রে সংবিধানের অভিভাবক কে এই প্রশ্নটির মুখোমুখি হতে হয়। তাই এই বিষয়টি সম্পর্কে আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে আপনাদেরকে জানিয়ে দেব। তাছাড়া আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে চলার ক্ষেত্রে এ ধরনের গুরুত্ব পূর্ণ সব প্রশ্নের উত্তর গুলো আমাদের ওয়েবসাইটে লিখে থাকি। আর এসব গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্নের উত্তরগুলো জানার জন্য আপনারা প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন আর জেনে নিন আপনাদের প্রয়োজনীয় সব প্রশ্নের উত্তরগুলো।

পৃথিবীর প্রথম সংবিধানটি লিখিত সংবিধান ছিল। আর এই সংবিধানটি ছিল মদিনাতে।পৃথিবীর কোনো দেশের সংবিধান ই আসলে জনপ্রিয় সাহিত্যের মতো ব্যাপক পাঠ্যরত হয় না।তবে সত্য হচ্ছে, গভীর ঘনত্বে ভরা একটি জাতির অস্তিত্বিক জিজ্ঞাসার মীমাংসা সহজ হয়। আর সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সংবিধানটি সাধারণত দুটি ভাষায় সংগৃহীত রয়েছে একটি হলো বাংলা ও আরেকটি ইংরেজি। আর বাংলাদেশের সংবিধানটি মোট সতের বার সংশোধিত হয়েছে। আর একটি রাষ্ট্রের সংবিধান সংশোধন করার জন্য জাতীয় সংসদের সদস্যদের মোট সংখ্যার দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটের প্রয়োজন হয়। আর সে ক্ষেত্রে একটি দেশের সংবিধান সংশোধন হয়ে থাকেন। সংবিধানের মূল কাঠামো পরিবর্তন হয়ে যায় এরূপ কোনো সংশোধনী এতে আনা যাবে না।

বাংলাদেশের সংবিধান সাধারণত বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন নয়। সংবিধানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রের মূল ক্ষেত্রে বর্ণিত থাকে। একটি আধুনিক রাষ্ট্রের সাংবিধানের মূল বিষয় হলো সাংবিধানিক অনুসারে দেশটি হবে সর্বপ্রথম গণতন্ত্র একটি দেশ জনগণ হবে সকল ক্ষমতার উৎস এবং বিচার বিভাগ হবে স্বাধীন। জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস হলেও দেশ আইন দ্বারা পরিচালিত হবে। তাই এখন আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দেব সংবিধানের অভিভাবক কে। সুপ্রিম কোর্ট হল বাংলাদেশের সংবিধানের অভিভাবক। বিশ্বের সব গণতান্ত্রিক দেশগুলো সংবিধানিক অনুসারে পরিচালিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশ সংবিধানটি সংশোধন করার পর পরবর্তীতে লেখার পর এটা সম্পূর্ণভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়। একটি সাংবিধানিক রাষ্ট্রের নিয়ম অনুসারে রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য গণতান্ত্রিক উপায়ে শোষণমুক্ত সমাজ তান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *