হিন্দু ধর্মের প্রবর্তক কে

হিন্দু ধর্মের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হলেন হিন্দু দেবতাগণ। হিন্দু ধর্ম বিশ্বের তৃতীয়তম ধর্ম। তাই আপনারা যারা হিন্দু ভাই ও বোনেরা রয়েছেন আপনারা হিন্দু ধর্মের প্রবর্তক কে এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চেয়েছেন।তাই আপনাদের জন্য এই বিষয়টি আমরা খুব সহজ করে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের সামনে উপস্থাপনা করব। আপনা রা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে নিতে চান আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেল টিতে এই বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়ে দেব। তাছাড়া এই বিষয় টি সম্পর্কে জেনে নেয়ার জন্য আপনারা গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন আমরা প্রতিনিয়ত এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুলো আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত করি। চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেয়া যাক এ বিষয়টি সম্পর্কে।

হিন্দু ধর্ম বিশ্বের প্রাচীনতম ধর্ম গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ধর্ম। বর্তমানে বিশ্বে এ ধর্মের অনুসারী প্রায় ১.২ মিলিয়ন এর মত। সারা বিশ্বের জনসংখ্যা অনুযায়ী হিন্দু ধর্মের অনুসারী প্রায় ১৫ থেকে ১৬ ভাগের মত। বর্তমানে হিন্দু ধর্মের মধ্যে চারটি সম্প্রদায় রয়েছে এটা আলাদা আলাদা ভাগে বিভক্ত কিন্তু ধর্ম এক শুধু সম্প্রদায় দিক থেকে আলাদা। তবে ভারতে র হাজার বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য নিয়ে হিন্দু সনাতন ধর্ম। ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষদের জীবনাচরনে হিন্দু ধর্মের প্রভাব ব্যাপক। বিশ্ব হিন্দু ধর্মের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ মানুষ ভারতে বসবাস করে। আর ভারতের প্রধান ধর্ম হলো হিন্দু ধর্ম

হিন্দু ধর্মালম্বীদের আলাদা আলাদা দেবতা রয়েছে প্রত্যেকটি দেবতা আলাদা আলাদা ভাবে বিশেষ বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন। হিন্দু ধর্মালম্বী মানুষের কাছ থেকে এই আলাদা আলাদা দেব দেবী আলাদা আলাদা ভাবে প্রাধান্য পেয়ে থাকে যেমন বিদ্যা র দেবী হিসেবে হিন্দু ধর্মালম্বীরা পূজা করে থাকে সরস্বতী পূজাকে। শক্তির মহাশক্তি ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় দেবীর মধ্যে অন্যতম হলো দুর্গা। প্রতিবছর নানা আয়োজ নের মাধ্যমে এই দুর্গা উৎসবটি হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষেরা পালন করে থাকে। হিন্দু ধর্মলম্বীরা বিশ্বাস করে দুর্গার মাধ্যমে পৃথিবীর অশুভ শক্তি বিনাশ ঘটে। তাই স্বর্গে থাকা অসুরকে বধ করে তিনি স্বর্গ কে রক্ষা করেছিলেন। তাই দুর্গাপূজাকে ঘিরে প্রতি বছর হিন্দু ধর্মলম্বীরা বিশেষ বিশেষ আয়োজন এর মাধ্যমে দুর্গা উৎসবটি পালন করে থাকে।

হিন্দু ধর্ম বলতে ভারতের মানুষদের হাজার বছরের জীবন চরনকে বুঝায়। প্রাচীন সমাজের মনিষীরা ধ্যান সাধনা করে এ অঞ্চলের মানুষের সাথে ঈশ্বরের যোগসূত্র স্থাপন করে যে জীবন ব্যবস্থা প্রনয়ন করেছেন সেটাই সনাতন হিন্দু ধর্ম। হিন্দু ধর্মের মূল আদি গ্রন্থ বেদগ্রন্থ। এই বেদগ্রন্থ মানব রচিত তবে ঈশ্বর থেকে অনুপ্রানিত। হিন্দু ধর্মের গ্রন্থা অনুসারে, এই ঈশ্বর নানান রূপের হতে পারে। প্রাচীন শাস্ত্রে, বিষয় ভেদে ঈশ্বর শব্দের অর্থ পরমাত্মা, শাসক, প্রভু, রাজা, রাণী বা স্বামী।মধ্যযুগে হিন্দু শাস্ত্র গুলোর শাখা ভেদে ঈশ্বর শব্দের অর্থ ভগবান, পরমেশ্বর, ইষ্টদেবতা বা বিশেষ আত্মা যা কালক্রমে ব্যক্তি ঈশ্বরের রূপ নেয়। হিন্দুধর্ম এমনই একটি মূলধারার ধর্মবিশ্বাস যা প্রাচীনকালে যে বিষয় গুলো বিশ্বাস করে এসেছে বর্তমানে হিন্দু ধর্মবির মানুষরা, তাই বিশ্বাস করে।

হিন্দুধর্ম প্রকৃতির ধর্ম বলেই প্রকৃতির সকল কিছু এই ধর্মের পূজা প্রার্থনার বিষয় এবং একজন হিন্দুকে তার জীবনা চরণের জন্য কোনো কিছু কোনো ব্যক্তিমতের ধর্মের কাছ থেকে ধার করতে হয় না বা হবে না। কিন্তু সকল ব্যক্তিমতের ধর্মকে অনেক কিছু হিন্দু ধর্মের কাছ থেকে ধার করে চলতে হয় বা হবে। প্রকৃতিসৃষ্টি পদার্থ বা প্রাণীর মধ্যে ধর্মের সৃষ্টি করা হয়। তাই মানুষ যা সৃষ্টি করে সেটা মত বা পথ এবং প্রকৃতি যা সৃষ্টি করে সেটা ধর্ম। একারণেই হিন্দু ধর্মের কোনো প্রবর্তক নেই, কারণ হিন্দু ধর্ম প্রকৃতির সৃষ্টি মানুষের জন্য প্রকৃতির ধর্ম এই বিষয়গুলোর উপর সম্পূর্ণ বিশ্বাস করে।

হিন্দু ধর্মের প্রবর্তক কে আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক তথ্যটি পেতে চান আমরা তা আমাদের আজকের আর্টিকেলতে জানিয়ে দিলাম। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে এই বিষয়টি সম্পর্কে আরো ভালোভাবে ও সঠিক তথ্যটি জেনে নিতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *