আমরা যারা ইসলাম ধর্ম অনুসারী বা ইসলাম ধর্মের মানুষ তারা অবশ্যই মুয়াজ্জিন শব্দটির সঙ্গে বেশ পরিচিত। মুয়াজ্জিন হলো নামাজের আজান দাতা অর্থাৎ নামাজের সময় মসজিদের মিনার হতে যিনি উচ্চস্বরে আল্লাহর নাম ঘোষণা করে থাকেন। ইসলাম ধর্মে মুয়াজ্জিনের গুরুত্ব অনেক বেশি। কারণ প্রতিনিয়ত তারা মহান আল্লাহ তালার হুকুমে মানব জাতিকে নামাজের জন্য আহবান করে থাকেন। তাছাড়া কিয়ামতের দিন সৎ ও নেককার মুয়াজ্জিন মিসেস এক স্থানে থাকবে। তাই আমরা অনেকেই জানতে আগ্রহী ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিন কে। আর তাই আপনাদের কাঙ্খিত এই প্রশ্নের উত্তরটি আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে দেব। আর এ বিষয় টি জানতে হলে আপনাকে আমাদের ওয়েবসাইটে থাকা আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ অব্দি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাছাড়া আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনাদের জীবনে চলার পথে সকল গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর গুলো জেনে নিতে পারবেন।
পৃথিবীতে সৃষ্টি সকল জিন ও মানবজাতির ওপর মহান আল্লাহতালা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে দিয়েছে। আর এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নির্দিষ্ট কিছু সময় রয়েছে সেই সময় অনুযায়ী আদায় করতে হয়। তাছাড়া নামাজের নির্ধারিত সময় অনুযায়ী প্রত্যেকটি মসজিদে মুয়াজ্জিন আযান দিয়ে থাকে যেটা থেকে খুব সহজেই বোঝা যায় এখন উপযুক্ত নামাজের সময়। আর ইসলাম সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে অর্থাৎ বহু প্রাচীনকাল আগ থেকে এই নিয়ম চলে আসছে। একটি মোয়াজ্জিনের বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে কারন দিনের শুরু থেকে রাতের শেষ অব্দি প্রতিটি ক্ষেত্রে তাকে প্রয়োজন কারণ তাকে দৈনিক পাঁচবার আজান দিয়ে মানুষকে নামাজের জন্য আহবান করতে হয়। তাই বিশেষ এই দায়িত্বের জন্য মহান আল্লাহতালা মুয়াজ্জিনদের বিশেষ পুরস্কার প্রদান করবেন।
ইসলামের প্রথম যুগে কাবা শরিফ অর্থাৎ মদিনাই মুয়াজ্জিন ছিলেন। আর সেখান থেকে প্রথম মুয়াজ্জিনের মাধ্যমে মসজিদে আজান দেওয়া প্রচলন শুরু হয়েছিল। সেই সময় ইসলামের প্রতি ভালোবেসে মদিনার মসজিদে মধুর কন্ঠে আজান প্রদান করতেন। তাছাড়া আপনারা অনেকেই জানতে চান ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিন কে। হযরত বেলাল (রাঃ) ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিন ছিলেন। তিনি ছিলেন মক্কার কুরাইশ নেতা। বেলালকে আযান দেয়ার কারণে চরম নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। এমন কোনো বর্বর নির্যাতন ছিল না যা তার মনিব উমাইয়া ইবনে খালফ তাকে দেয়নি। তবুও শত নির্যাতনেও তাকে ইসলাম থেকে বিন্দুমাত্র টলাতে পারেনি। আজানের প্রচলন হওয়ার পর থেকে নিয়মিত হজরত বেলালের সুললিত কণ্ঠে প্রচারিত হতো মসজিদে নববির আজান। তার আযানের সুর এতটাই মধুর ছিল সমুদ্রের মাছ এই আজান শোনার জন্য সমুদ্রের তীরে চলে আসতো।