হিন্দু ধর্ম বিশ্বের বৃহত্তম তৃতীয়তম একটি ধর্ম। হিন্দু ধর্মকে একটি প্রাচীনতম ধর্ম বলা চলে। এ ধর্মের মূলে বেদ হওয়ায় এটাকে বৈদিক ধর্ম নামেও বলা হয়। হিন্দু ধর্মের নির্দিষ্ট কোনো শুরু বা একক কোনো প্রবর্তক নেই। হিন্দুরা বিশ্বাস করে যে, সনাতন ধর্মের অভ্যূদয় মানব সৃষ্টির শুরুতেই এবং তা স্থায়ী হবে সৃষ্টির বিলয় পর্যন্ত। হিন্দুধর্ম বহু দেবদেবী এবং বর্ণাঢ্য বা ভয়ঙ্কর সব ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সমাহার। প্রকৃত পক্ষে এটি একটি গভীর ধর্মদর্শন। এর উদ্ভব ঘটেছে খ্রিস্ট জন্মের কমপক্ষে আড়াই হাজার বছর আগে। তাই এ ধর্মটি সম্পর্কে অনেকেই অনেক বিষয়ে জেনে নিতে চাই। তাই হিন্দু ধর্ম মতে প্রথম মানব কে এই বিষয়টি জানতে অনেকে বেশ আগ্রহী। আর এই আগ্রহ মাত্রা থেকে আপনারা অনেকেই গুগলে সার্চ করেন এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর গুলো জেনে নেয়ার জন্য। তাই এই বিষয়টি সম্পর্কে আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে জানিয়ে দেবো।
হিন্দু ধর্মলম্বীরা অনেক দেব দেবীকে বিশ্বাস করে। তারা প্রতিটি আচার অনুষ্ঠানকে খুব মর্যাদা দিয়ে পালন করে থাকেন। হিন্দু ধর্মের বেদ একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ এটার মাধ্যমে হিন্দু ধর্মের মানুষেরা নানান ধরনের সমস্যা সমাধান ও কিভাবে তাদের জীবন পরিচালনা করবে সে সম্পর্কে জেনে নিতে পারে। আর গীতা হলো হিন্দু ধর্মের উপদেশমূলক একটি গ্রন্থ। গীতা অনুযায়ী হিন্দুধর্ম একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়। হিন্দু ধর্মটি মানব সমাজে আবির্ভূত একটি চিরন্তন ধর্ম। হিন্দু ধর্মের অন্যতম মৌলিক বৈশিষ্ট্য হলো ফলের প্রত্যাশা না করে কাজ করা। আর এই বিষয়টি চমৎকার ভাবে বর্ণিত করে গিয়েছে পৃথিবীতে সৃষ্টি হয় নানান হিন্দু দার্শনিকরা। তারা বলেন কাজ না করলে প্রতিনিয়ত সৃষ্টিতে লোপ পায়।
হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী মহাজগৎ অনন্তকাল ধরে সময় চক্রে গতিশীল। অনেকে হিন্দু সৃষ্টি তত্ত্বের সাথে আধুনিক সৃষ্টি তত্ত্বের সাদৃশ্যের কথা স্বীকার করেন। হিন্দু ধর্মে ১৪ টি লোক বা জগতের কথা বলা হয়েছে তার ভিতর সাতজন ঊর্ধ্বলোক এবং সাত টি নিম্নলোক অর্থাৎ পৃথিবী রয়েছে ঊর্ধ্ব লোক গুলোর সবচেয়ে নিচের অংশে। আর তাই হিন্দু ধর্মলম্বনীদের কাছে প্রথম মানব হিসেবে ছিলেন অর্থাৎ সনাতন ধর্ম অনুসারে পৃথিবীর প্রথম মানব মনু। তাদের মতে মনু এবং শতরূপাই হলেন মনুষ্যের আদি পিতা এবং মাতা। হিন্দু ধর্মালম্বীদের মতে মনুর সন্তান বলেই মানব নামে পরিচিত। তাদের মতে প্রথম সৃষ্ট পুরুষের নাম সায়ম্ভুব মনু এবং নারীর নাম শতরূপা। হিন্দু গ্রন্থগুলি কর্তৃত্ব এবং চিরন্তন সত্যের উৎস গুলি এই বাণী গুলি।