বিজ্ঞানের জনক কে

শুধুমাত্র যখন কোন বিষয় নিয়ে গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ওটা যাচাই বাছাই করে একটি নির্দিষ্ট জ্ঞান লাভ করা যায় সেটা হল বিজ্ঞান। মূলত যে সকল শিক্ষার্থী ভাই ও বোনেরা নবম শ্রেণির বিজ্ঞান শিক্ষা শাখা নিয়েছে তাদের জন্য এই প্রশ্নটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি শুধুমাত্র নবম দশম শ্রেণীতে এই প্রশ্নটিই পাবেন না। আপনি যখন কলেজ শেষ করে ভার্সিটি জীবনেও কোন বিজ্ঞান শাখার বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করবেন সে সময়ও আপনাকে এই বিষয়ে জানতে হবে। তাই আপনারা অনেকেই জেনে নিতে চান বিজ্ঞানের জনক কে। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা আমাদের ওয়েব সাইটে প্রতিনিয়ত এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর গুলো লিখে থাকি। আপনারা যারা এই প্রশ্নটির উত্তরটি সম্পর্কে জেনে নিতে গুগলে অনুসন্ধান করছেন আপনারা খুব সহজেই আমাদের ওয়েবসাইটে গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে এ প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।

বিজ্ঞান একটি বিশেষ জ্ঞান। এই বিজ্ঞানের ফলে আমরা প্রতিনিয়ত নানান ধরনের সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আসছি। বিজ্ঞান সাধারণত গবেষণার উপর সম্পূর্ণ নির্ভর করে। প্রত্যেকটি গবেষণা সাধারণত বিজ্ঞানীরা করে থাকে। আর বিজ্ঞানীদের এই গবেষণায় সফলতা অর্জনের জন্য প্রতিনিয়ত মানুষ পরিবর্তন হচ্ছে। কারণ বিজ্ঞানীদের এক একটি সফলতা মানুষকে চমকে দিচ্ছে। প্রতিনিয়ত বিজ্ঞানীদের নতুন নতুন আবিষ্কার মানুষকে পরিবর্তন করে ফেলছে। বহু প্রাচীনকাল আগ থেকে মানুষ বিজ্ঞানের উপর নির্ভর করে আসছে। বর্তমানে প্রতিটি মানুষের জীবন বিজ্ঞান ভিত্তিক এর উপর নির্ভরশীল। পৃথিবীতে এমন কোন আবিষ্কার নেই যেটা বিজ্ঞান ছাড়া হয়নি। তাই আমাদের প্রত্যেকের ই বিজ্ঞানের উপর এক ধরনের দুর্বলতা রয়েছে।

বিজ্ঞান ভিত্তিক এমন একটি জ্ঞান যেটা প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যে থাকাটা জরুরী। আধুনিক যুগের পূর্বে ও বিভিন্ন ঐতিহাসিক সভ্যতায় বিজ্ঞান ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হত।বিজ্ঞান শব্দটি উৎপত্তি গত ভাবে এক ধরনের জ্ঞান বোঝাতো চেয়েছে কিন্তু বিজ্ঞান সম্পর্কিত জ্ঞান অর্জন অনেক ক্ষেত্রেই বুঝাতো না। বিশেষ করে এটি ছিল এক ধরনের জ্ঞান যা মানুষের একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত। তাইতো বিজ্ঞানকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করা যায়। প্রাকৃতিক বিজ্ঞান সামাজিক বিজ্ঞান ও সাধারণ বিজ্ঞান। প্রকৃতি থেকে যে বিজ্ঞান পাওয়া যায় সেটা হল প্রাকৃতিক বিজ্ঞান সমাজ থেকে যে বিজ্ঞান ভিত্তিক জ্ঞান পাওয়া যায় সেটা হল সামাজিক বিজ্ঞান ও সাধারণ জ্ঞানে যেটা পাওয়া যায় সেটা সাধারণ বিজ্ঞান।

মধ্য যুগ থেকে আধুনিক যুগে উত্তরণের প্রধান উপাদান হল বিজ্ঞান। বিজ্ঞানের আবিষ্কার মানুষকে যুগ যুগ ধরে পরিবর্তন করে আসছে। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে বিজ্ঞানের আবিষ্কার মানুষকে ক্রমশ আধুনিক করে গড়ে তুলছে।শিক্ষা, সংস্কৃতি, কৃষি, শিল্প, চিকিৎসা, যানবাহন সব ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অবদান কে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। প্রতিটি ক্ষেত্রে যে বিজ্ঞানের অবদান তা চোখ মেলে বোঝা যায়।সভ্যতার সূচনা লগ্ন থেকেই বিজ্ঞান তার নিজস্ব শক্তির দ্বারা মানুষের বৈজ্ঞানিক বুদ্ধিকে বিকশিত করতে সাহায্য করেছে। তাই বিজ্ঞানের প্রসার ঘটিয়ে মানুষ নিত্যনতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে চলেছে।

যুগ যুগ ধরে বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন বিষয়ের উপর গবেষণা চালিয়ে নানা ধরনের নতুন নতুন বিজ্ঞান ভিত্তিক জিনিস আবিষ্কার করে গিয়েছেন। আর সেসব বিজ্ঞানীদের মধ্যে অন্যতম ও প্রাচীনতম বিজ্ঞানী ছিলেন গ্রিক বিজ্ঞানী থেলিস। আর এই গ্রিক বিজ্ঞানী সূর্য গ্রহণ সম্পর্কে সর্বপ্রথম গবেষণার মাধ্যমে এই তথ্যটি আবিষ্কার করেছিলেন তা ছাড়া এ বিজ্ঞানী টি পানি তত্ত্বের তথ্যটি সর্বপ্রথম বিজ্ঞান ভিত্তিক বিষয়ে গবেষণা চালিয়েছিলেন। আর তাই এই বিজ্ঞানীটিকে সর্বপ্রথম বিজ্ঞানের জনক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। তবে এ বিজ্ঞানী পরে আরো অনেক বিজ্ঞানী আছেন যারা নতুন নতুন বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে পৃথিবীতে অনেক সুনাম অর্জন করেছেন তার মধ্যে অন্যতম হলো রজার বেকন
বর্তমানে এই বিজ্ঞানী কে আধুনিক বিজ্ঞানী হিসেবে বা আধুনিক বিজ্ঞানের জনক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।

বিজ্ঞানের জনক কে আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে চান আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে তা জানিয়ে দিলাম। আমরা প্রতিনিয়ত এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর গুলো আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত করি আপনারা আমাদের ওয়েব সাইটে ভিজিট করে এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুলো জেনে নিবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *