কম্পিউটার একটি অত্যাধুনিক ইলেকট্রিক ডিভাইস। যা বর্তমান মানুষের কঠিন জীবনকে খুব সহজ করে তুলেছে এই আধুনিক যন্ত্রটি। বর্তমানে অত্যাধুনিক কম্পিউটার দিয়ে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে জটিল হিসাব নিকাশের কাজ নির্ভুল ভাবে করা ছাড়াও বহু রকমের কাজ করা যায়। তাই এই ইলেকট্রিক যন্ত্র সম্পর্কে মানুষের জানার আগ্রহর শেষ নাই।তাই কে কম্পিউটার আবিষ্কার করেছেন,কম্পিউটারের জনক কে, কত সালে কম্পিউটার আবিষ্কার হয় ইত্যাদি এই প্রশ্নের উত্তর গুলোর মানুষ জেনে নিতে বেশ আগ্রহী। আর এ বিষয়গুলো সম্পর্কে মেনে নিতে আপনারা ইন্টারনেট সহ গুগলের বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করছেন তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা প্রতিনিয়ত এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুলো আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত করি। আপনারা গুগলে সার্চ করার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ওয়েব সাইট থেকে এ ধরনের প্রশ্নের উত্তরগুলো জেনে নিতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক এ বিষয়টি সম্পর্কে।
কম্পিউটার এমন একটি যন্ত্র যা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য তৈরিতে একটি বিশেষ ইলেকট্রনিক যন্ত্র। একটি কম্পিউটারের মাধ্যমে একসাথে অনেক গুলো নির্দেশী স্মৃতিতে সংরক্ষণ করতে পারে এবং প্রয়োজনে একটির পর একটি করে সে সব নির্দেশ নির্ভুল ভাবে ও দ্রুত গতিতে যে কোনো সময় আমাদের প্রয়োজনে সেটা ধরে রাখতে পারে। কম্পিউটার এমন একটি যন্ত্র আপনি যে ভাষায় এটিকে ব্যবহার করতে চাইবেন সে ভাষার অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারবেন। এটা একটি জড় পদার্থ আপনি যেভাবে চাইবেন সেইভাবে এই যন্ত্রটি ব্যবহার করতে পারবেন। বৈদ্যুতিক সিগন্যালের মাধ্যমে কাজ করে বিধায় কম্পিউটার খুব দ্রুত গতিতে কাজ করতে পারে। কম্পিউটার এক সেকেন্ডে কয়েক কোটি যােগ করতে পারে।
কম্পিউটার একটি প্রােগ্রাম নির্ভর যন্ত্র। যখন যে প্রোগ্রাম কম্পিউটারে লােড করা থাকে সে প্রােগ্রাম অনুসরণ করে কম্পিউটার কাজ করতে পারে। একটি কম্পিউটারে যেমন হিসাব নিকাশের প্রােগ্রাম ব্যবহার করে হিসাব-নিকাশ করা যায় আবার মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যার ব্যবহার করে ছবি,গান দেখা যায় ও শােনা যায়। কম্পিউটারের মাধ্যমে কোনো সমস্যা সমাধান করতে হলে কম্পিউটারকে প্রয়োজনী য় তথ্য দিতে হয়।এই ইলেকট্রিক যন্ত্রটির মাধ্যমে কম্পিউটার আবিষ্কারের পর থেকে বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। সামান্য লেখার কাজ থেকে মহাকাশের বিশাল কাজ কম্পিউটার দ্বারা করা হচ্ছে। তাই এই ইলেকট্রি ক যন্ত্রটির ব্যবহার গোটা বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।
বিজ্ঞানী চার্লস ব্যাবেজ কম্পিউটার তৈরির প্রথম ধারণা প্রদান করেন। তাই কম্পিউটারের জনক হিসেবে সর্বপ্রথম এই বিজ্ঞানী কে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। তিনি সর্বপ্রথম ১৮৩৩ সালে ইলেকট্রিক যন্ত্র ইঞ্জিন নামে একটি যান্ত্রিক কম্পিউটার তৈরীর পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং ইঞ্জিনের নকশা তৈরী করেন। পরবর্তীতে তাঁর তৈরি যান্ত্রিক কম্পিউটার ও নকশার উপর ভিত্তি করেই আজকের আধুনিক কম্পিউটা র তৈরি করা হয়। কোন প্রকার বুদ্ধিমত্তা ছাড়া শুধু মাত্র গণনার কাজ করতে পারত সেই সময় তার আবিস্কারিত এই কম্পিউটারটি। মূলত বিজ্ঞানী চার্লজ ব্যাবেজ আবিস্কারিত যন্ত্রটিকেই গণ্য করা হয় আধুনিক কম্পিউটরের প্রথম সংস্করণ হিসেবে। কিন্তু তিনি এই যন্ত্রটি পরিপূর্ণ ভাবে তৈরি করে যেতে পারে নি তার আর্থিক সামার্থ না থাকার কারণে।
কম্পিউটার জনক চার্লস ব্যাবেজ এরপর যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ও যুগের পরিবর্তনে কারণে অনেক আধুনিক কম্পিউটারের জনক সৃষ্টি হয়েছে আর তার মধ্যে অন্যতম হলো জন ভন নিউম্যান একজন হাঙ্গেরীয় বংশদূত ও মার্কিন গণিতবিদ ছিলেন। তাকে ডিজিটাল কম্পিউটারের জনক বলা হয়। ডিজিটাল কম্পিউটারটি পৃথিবীর সবথেকে দ্রুত গামী কম্পিউটার গুলো, যা অতি দ্রুত এবং খুব কম সময়ে ডাটা প্রসেস করতে পারে। যা বিশেষ গবেষণার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যুগের সাথে সাথে যেমন সব কিছুর পরিবর্তন ঘটে তেমনি কম্পিউটারের যন্ত্রটির নতুন নতুন ভাবে আপডেট জনকের সৃষ্টি হচ্ছে।
পরিশেষে বলা যায়, আজকের আর্টিকেলটিতে থেকে কম্পিউটারের জনক কে এবং কেন তাকে কম্পিউটারের জনক বলা হয় এই বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে কম্পিউটার জনক কে সে সম্পর্কে ভালো ধারনা লাভ করেছেন। এই বিষয় সম্পর্কে আরো কোন কিছু জানার থাকলে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে জেনে নিতে পারেন।