জীববিজ্ঞানের জনক কে

প্রাচীনতম বিজ্ঞান গুলোর মধ্যে জীববিজ্ঞান অন্যতম। প্রাচীনকালে মানুষ তার জীবন সংগ্রামে টিকে থাকার জন্য গাছপাল ও প্রাণীদের সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করত । আর তা থেকে জীব বিজ্ঞানের উদ্ভব ঘটে। ‌জীববিজ্ঞানের জ্ঞানের প্রথম ধারণা প্রাচীন মানুষের কাছে থেকে পাওয়া যায়। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চলার ক্ষেত্রে জীব-বিজ্ঞানের গুরুত্ব অপরিসীম তাই আমাদের এই বিজ্ঞানটি সম্পর্কে জেনে রাখাটা জরুরী। তাই অনেকেই জীববিজ্ঞানের জনক কে এ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান। আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আপনাদের জন্য আমরা প্রতিনিয়ত এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর গুলো আমাদের ওয়েবসাইটে লিখে থাকি। আপনারা গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে এ ধরনের প্রশ্নের উত্তরগুলো আমাদের ওয়েবসাইটে থেকে জেনে নিতে পারবেন। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি সম্পর্কে।

বিজ্ঞানের যে শাখায় জীবের গঠন ও ক্রিয়া-কলাপ জীবন ধারণ সম্পর্কে যে বৈজ্ঞানিক জ্ঞান পাওয়া যায় সেটা হল জীববিজ্ঞান। সাধারণত জীববিজ্ঞান টি দুটি বিষয়ের উপর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে একটি হল চিকিৎসা ক্ষেত্রে ও অপরটি হল কৃষি খাতে। জীব বিজ্ঞানের সাহায্যে চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগ সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যায়। আর কৃষি ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের জ্ঞান ও বিভিন্ন ধরনের তথ্য এই জীব বিজ্ঞানের মাধ্যমে পাওয়া যায়। সে কারণে আমরা খুব সহজভাবে বলতে পারি সভ্যতার আদি যুগ থেকে এই জীববিজ্ঞানের উদ্ভাবন ঘটিয়ে দিনের পর দিন এবং যুগের পর যুগ মানুষের জীবনকে পরিবর্তন করে দিচ্ছে জীববিজ্ঞান। জীবের দুটি ধরন আমরা দেখতে পাই একটি হল উদ্ভিদ আর অপরটি হল প্রাণী যেটা আমাদের চারপাশ জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে।

জীববিজ্ঞান প্রধানত দুটি শাখা নিয়ে এই বিজ্ঞানটির আলো চনার বিষয়। একটি হলো উদ্ভিদবিজ্ঞান আর আরেকটি হল প্রাণিবিজ্ঞান। আর এই দুটি শাখা মিলে পরিপূর্ণতা লাভ করে ছে বিজ্ঞানের অন্যতম একটি শাখা জীববিজ্ঞান। জীব বিজ্ঞানের যে শাখায় প্রাণীর আকার, আকৃতি, গঠন প্রকৃতি, আবাসস্থল, স্বভাব, প্রয়োগ ইত্যাদি যাবতীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা,ও গবেষণা করা হয় তাকে প্রাণী বিজ্ঞান বলে। আর জীব বিজ্ঞানের যে শাখায় উদ্ভিদের আকার, আকৃতি, গঠন প্রকৃতি, আবাসস্থল, স্বভাব যাবতীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা ও গবেষণা করা হয় তাকে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বলে।

জীব বিজ্ঞানের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে কৃষিক্ষেত্রে নানান উচ্চ ফলনশীল ধান, গম, ভুট্টা উদ্ভব করা সম্ভব হয়েছে। তাছাড়া প্রাণী প্রজনন কে কাজে লাগিয়ে অধিক দুগ্ধ প্রদান কারী গরু ও মহিষ উদ্ভব করা সম্ভব হয়েছে। অধিক পরিমাণ মাংস ও ডিম প্রদানকারী হাঁস ও মুরগি উৎপন্ন করা সম্ভব হয়েছে। মাছ চাষেও ব্যাপক সাফল্য এসেছে। জীববিজ্ঞানের অবদানের ফলে একদিকে যেমন বিভিন্ন রোগের জীবাণু আবিষ্কৃত হয়েছে, তেমনি নানান দুরারোগ্য রোগ দমন করার জন্য বিভিন্ন রকমের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সৃষ্টি করা সম্ভব হয়েছে। তাছাড়া এই বিজ্ঞানটির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগ গুলো খুব সহজেই অনুসন্ধান করা যাচ্ছে।তাই এই বিজ্ঞানটি সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকেরই একটি প্রাথমিক ধারণা থাকা উচিত যেটা আমাদের জীবন কারো সহজ করব

জীববিজ্ঞান শুধু একটি বিজ্ঞানের মাধ্যমে সীমাবদ্ধ নয়। জীববিজ্ঞান অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। সকল বিজ্ঞান‌ কে সামনের দিকে অগ্রসর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিটি মুহূর্ত বিজ্ঞানকে আরও আধুনিক করতে বিজ্ঞানীদের গবেষণার শেষ নেই। প্রতিটি মুহূর্তে জানা অজা না বিষয়কে নিয়ে বিজ্ঞানীরা জীব বিজ্ঞানের উপর নানান ধরনের তথ্য ও গবেষণা প্রদান করে যাচ্ছে। জীব বিজ্ঞানের অবদানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞানী অবদান রয়েছে। তবে আলাদা আলাদা ভাবে জীববিজ্ঞানের এক একটি শাখায় এক একটি জনক রয়েছে। তবে সকল দিক দিয়ে ভাবতে গেলে জীব বিজ্ঞানের জনক হিসেবে অ্যারিস্টোটল কে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। কারণ জীব বিজ্ঞানের প্রতি তিনি বহু গবেষণা চালিয়েছে ও এই বিজ্ঞানের উপর তার অনেক অবদান রয়েছে।

শিক্ষা বিষয়ক এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উওর আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত প্রকাশিত করি। তাই এখনো আপনারা যারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করেন নি তারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটডে ভিজিট করুন। আর আমাদের ওয়েবসাইটে থাকা আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর গুলো সম্পর্কে জেনে নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *