আমাদের গণিত করতে হলে বিভিন্ন ধরনের নিয়ম সম্পর্কে অবগত হতে হয়। এরকমই এক প্রকারের নিয়ম হল লসাগু নির্ণয় করার নিয়ম। ল সা গু এর পূর্ণরূপ হল লঘিষ্ঠ সাধারণ গণিতক। পাটিগণিত এবং বীজগণিত যেকোনো অংক করতে হলেই আমাদের লসাগু এর নিয়ম মেনে অনেক অংকই করতে হয়। তাই আমাদের সকলকে গণিত শিখতে হলে লসাগু এবং গসাগু এই অংকগুলি অবশ্যই জানতে হবে শিখতে হবে। তাই আজ আমাদের এই পোস্টে আপনাদেরকে লসাগু সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব। এবং দেখাবো যে কিভাবে লসাগু করতে হয়। পাটি গণিতে সাধারণত দুই প্রক্রিয়ায় লসাগু নির্ণয় করা হয়ে থাকে।
এর একটি হল মৌলিক গুণনীয়কের উৎপাদকের সাহায্যে এবং অপরটি হল ইউক্লিড ও প্রক্রিয়ায় লসাগু নির্ণয়। আমাদের যদি সাধারন গুননীয় ক এর মাধ্যমে লসাগু নির্ণয় করতে হয় তাহলে আমাদেরকে যে যে সংখ্যাগুলির লসাগু নির্ণয় করতে হবে সেই সব সংখ্যাগুলোকে মৌলিক উৎপাদকের সাহায্যে গুণনীয়কগুলি বের করে পাশাপাশি গুণ চিহ্ন দিয়ে লিখতে হবে। এভাবে যে কয়টি সংখ্যার লসাগু নির্ণয় করতে হবে এর প্রত্যেকটি সংখ্যাকে এইভাবে মৌলিক উৎপাদকের সাহায্যে গুণনীয়কগুলি বের করে নিব না তারপরে আমাদের খেয়াল করতে হবে যে যে সংখ্যাগুলি বাজে উৎপাদকগুলি অথবা গুণনীয়কগুলি মিল রয়েছে সেইসব উৎপাদকগুলি থেকে একটি করে সংখ্যা নিব।
এভাবে নেওয়ার পর যদি কোন সংখ্যা সবগুলি সংখ্যার মধ্যে মিল না থাকে তাহলে সেই সংখ্যাগুলোও নিব। অর্থাৎ নীল সংখ্যাগুলি এবং অমিল সংখ্যাগুলি গুণফল করে লসাগু বের করতে হবে। তাই লসাগু নির্ণয় করার জন্য দেখতে হবে যে গুণ মিল এবং অমিল সব মৌলিক উৎপাদক গুলি নিয়ে গুণ করে গুণফল হবে নির্ণয় লসাগু। এইভাবে মৌলিক গুণনীয়কের সাহায্যে গসাগু নির্ণয় করার পদ্ধতি ও একই রকমের হয়ে থাকে। অর্থাৎ গসাগু নির্ণয় করার সময়ও আমাদের অংকগুলোকে বা সংখ্যা গুলি কে মৌলিক উৎপাদকের সাহায্যে ভেঙ্গে নেওয়ার পর যে যে সংখ্যাগুলির গসাগু নির্ণয় করতে হবে সেইসব সংখ্যাগুলির মৌলিক উৎপাদকের সাহায্যে ভাঙার পর আমাকে আমাদের দেখতে হবে যে যে উৎপাদকগুলি সকল সংখ্যাগুলোর মধ্যে মিল রয়েছে সেই সংখ্যাগুলির নিয়ে পাশাপাশি গুন করলে যে গুণফল পাওয়া যাবে তাই হলো নির্ণেয় গসাগু।
এই মৌলিক উৎপাদকের সাহায্যে লসাগু নির্ণয় ছাড়াও আরেক প্রকারের লসাগু নির্ণয় করা যায় সেটি হচ্ছে ইউক্লিডীয় প্রক্রিয়ায় লসাগু নির্ণয়। এই প্রক্রিয়াতে লসাগু নির্ণয় করতে হলে আমাদের যে যে সংখ্যা গুলির লসাগু নির্ণয় করতে হবে সেই সংখ্যাগুলি পাশাপাশি কমা দিয়ে লিখে নিতে হবে প্রথমে। তারপর একটি টান দিয়ে অর্থাৎ ভাগ যাবে অর্থাৎ কমপক্ষে দুইটি সংখ্যাকে ভাগ করা যাবে এমন অংক দিয়ে প্রত্যেকটি সংখ্যাকে ভাগ দিতে হবে তবে খেয়াল রাখতে হবে প্রথমে ছোট থেকে শুরু করতে হবে ভাগ গুলি। অর্থাৎ এভাবে যতবার ভাগ যাবে কমপক্ষে দুইটি সংখ্যা এভাবে ভাগ করার পর বামের যে সংখ্যাগুলি দ্বারা ভাগ গেছে সেই সংখ্যাগুলোর গুণফল এবং সংখ্যাগুলিকে ভাগ করার পর যে সংখ্যাগুলি থাকবে তাদের বোন ফালি হল নির্ণয় লসাগু।
তাহলে আপনারা দেখতে পেলেন যে দুই প্রকারের লসাগু কিভাবে নির্ণয় করা যায়। বীজগণিতের ক্ষেত্রেও আমরা যদি লসাগু নির্ণয় করি এইরকম পাটিগণিতের মতো করেই লসাগু নির্ণয় করা যায়। এছাড়াও যদি আমাদেরকে ভগ্নাংশের লসাগু নির্ণয় করতে হয় তাহলে আমাদেরকে ভগ্নাংশের লোক গুলোর লসাগু এবং ঘর গুলোর গসাগু নির্ণয় করে লসাগু নির্ণয় করতে হয়। তাহলে আপনারা লসাগু সম্পর্কে সকল ধরনের তথ্য আমাদের এই পোস্ট থেকে দেখে নিতে পারলেন। এবং আমরা আশা করি অবশ্যই আপনারা লসাগু সম্পর্কে সকল ধারনা এখানে পেয়ে গেলেন। তাই আমরা এখন লসাগু কাকে বলে সেই সম্পর্কে বা সেই সংজ্ঞাটা এখন আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পারি। তাহলে চলুন দেখা যাক লসাগু কাকে বলে?
ল সা গু: দুই বা ততোধিক সংখ্যাগুলির মধ্যে যেটি সংখ্যাগুলোর সাধারণ গুণিতক ছোট তাকে ওই সংখ্যার লসাগু বার লঘিষ্ঠ সাধারণগণিতক বলা হয়ে থাকে।