দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম সহযোগিতা সংস্থা নাম হল সার্ক। এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত করা হয় ১৯৮৫ সালে। সার্ক মোট সাতটি দেশ মিলে তাদের যাত্রা শুরু করেন। পরবর্তীতে ২০০৭ সালে আরো একটি দেশ সার্কভুক্ত দেশের তালিকায় নাম লিখান। আর সেই দেশটির নাম হল আফগানিস্তান মোট সারভুক্ত দেশের তালিকায় বর্তমান আটটি দেশ রয়েছে। ভারত, বাংলাদেশ,পাকিস্তান, ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল শ্রীলংকা ও সর্বশেষ আফগানিস্তান। ২০০৭ সালে ১৪ তম শীর্ষ সার্ক সম্মেলনে আফগানিস্তানকে সার্কের সদস্য করা হয়। দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক এই সহযোগিতা সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় নেপালের কাঠমন্ডু তে অবস্থিত। তাই আপনারা অনেকেই সার্কের বর্তমান চেয়ারম্যান কে ২০২৩ জেনে নিতে চান। তাছাড়া আমাদের অনেক সময় অনেক ক্ষেত্রে এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা আমাদের আজকের পোষ্টে র মাধ্যমে এ প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি সম্পর্কে জানিয়ে দেব।
এক দেশের সঙ্গে আরেক দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক ও বন্ধুত্ব স্থাপন করার জন্য এই সহযোগী সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত করা হয়। সার্ক দক্ষিণ এশিয়ার দেশ গুলির মধ্যে পারস্পরিক সহযােগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্যোগ সদস্য রাষ্ট্র গুলির নানাবিধ সমস্যার সমাধান এবং বিভিন্ন বিষয়ে সাফল্যের ক্ষেত্রে সার্ক যথেষ্ট কৃতিত্ব রয়েছেন। সার্ক সংগঠন টির মাধ্যমে প্রায় এগারোটি পারস্পরিক সহযোগিতা চুক্তি হয় দেশগুলোর মধ্যে। কৃষি ক্ষেত্রে, শিক্ষা ক্ষেত্রে, সংস্কৃতির ক্ষেত্রে, খেলাধুলার ক্ষেত্রে, জনসংখ্যার স্বাস্থ্য, আবাহাওয়া, গ্রামীণ উন্নয়ন ,পর্যটন, নারী উন্নয়ন, যোগাযোগ ক্ষেত্রে, মাদক পাচার বন্ধ ইত্যাদি এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো নিয়ে সারভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়ে থাকতো। এবং এক্ষেত্রে এই প্রতিষ্ঠানটি বেশ সফলতা অর্জন করেছে।
১৯৮৫ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকায় সার্ক সনদ স্বাক্ষরের মাধ্যমে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা সার্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। আর এই প্রতিষ্ঠান টি প্রতিষ্ঠাতা করার মূল উদ্দেশ্য ছিল সহযোগিতা। আর এই প্রতিষ্ঠানটি পর্যবেক্ষণ করার জন্য বেশ কিছু দেশে রয়েছিল তার মধ্যে জাপান চীন অস্ট্রেলিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নত করার জন্য তো মূলত আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানটি তৈরি হয়েছিল। তাছাড়া প্রতিটি নাগরিক সমান মর্যাদায় বেঁচে থাকার এই প্রতিষ্ঠানটি এটাই মূল লক্ষ্য ছিল। আর এই প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান চেয়ারম্যান অর্থাৎ সার্কের বর্তমান চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শের বাহাদুর দেউবা। তিনি নেপালের বর্তমান একজন নাগরিক। সার্ক প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে দক্ষিণ এশিয়ার জনসাধারণের জীবন মানের অনেক পরিবর্তন ঘটেছে।