বাংলাদেশ নৌবাহিনী এমন একটি বাহিনী যারা সমুদ্রসীমা রক্ষার মতো এরকম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নিয়োজিত রাখে। আমাদের অনেক সময় চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার ক্ষেত্রে বা বিভিন্ন ভর্তি পরীক্ষায় ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রশ্ন সম্মুখীন হতে হয়। তাই আপনারা অনেকেই নৌবাহিনীর প্রধান কে এই প্রশ্নের উত্তরটি সম্পর্কে জেনে নিতে চান। আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে চান আপনাদের জন্য আমরা আমাদের আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে এই বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়ে দিতে চাই। তাছাড়া আপনাদের সুবিধার জন্য প্রতিনিয়ত এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুলো আমাদের ওয়েবসাইটে আমরা প্রকাশিত করে থাকি। আপনারা গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর গুলো আমাদের ওয়েবসাইট থেকে জেনে নিতে পারবেন। চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেয়া যাক নৌবাহিনীর প্রধান কে।
বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি বাহিনী হল নৌ বাহিনী। এ বাহিনীর প্রধান কাজ হল সমুদ্র সীমারেখা গুলোকে রক্ষা করা। সমুদ্রপথে নিজের দেশের পক্ষে হয়ে লড়াই করা বা যুদ্ধ করা। আর এই বাহিনীটির প্রাথমিক দায়িত্ব হল দেশ ও বিদেশ ও বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর অর্থনৈতিক দিক গুলোকে রক্ষা করা। তাছাড়া এই বাহিনীটির অন্যতম কাজ গুলোর মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এর ক্ষেত্রে অসহায় মানুষের পাশে তান কার্যক্রম পরিচালনা করা তাদের পূর্ণবাসন নির্ধারণ করা ইত্যাদি এই কাজগুলো করে থাকে। তাছাড়া এই বাহিনীটি প্রতিবছর আন্তর্জাতিক ভাবে শান্তি রক্ষা মিশনে যোগদান করে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে ও বহির্বিশ্বে শান্তি রক্ষা প্রতিষ্ঠায় এ বাহিনীর সুনাম দিন দিন বেড়ে চলেছে। এ সামরিক বাহিনীটির সংক্ষিপ্ত নাম বিএন।
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কিছু সংখ্যক নাবিক ও তরূণ মুক্তি যোদ্ধাদের সমন্বয়ে গড়ে তোলা এ সামরিক বাহিনীটি বর্তমানে অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মাত্র দুটি গানবোর্ড নিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পথ চলা শুরু হয়। বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে বর্তমান বারশর মত অফিসার নিয়োজিত রয়েছে। বার হাজারের মতো নাবিক রয়েছে ও পঁচিশতর মত কর্মকর্তা ও কর্মচারীর চাকরি জিবিত রয়েছে। বর্তমান এই বাহিনীর টিকে আধুনিকায়ন করার জন্য সরকার নানান পদক্ষেপের মাধ্যমে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটিয়েছে। বর্তমানে এই বাহিনীটির যুদ্ধ জাহাজ প্রায় আশিটির মতো। বর্তমানে বাংলাদেশ পাঁচটি নৌঘাঁটি রয়েছে। আন্তর্জাতিক জল সীমানায় বাংলাদেশের অধিকার সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নৌবাহিনী গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
প্রতিটি বাহিনীকে পরিচালনা করার জন্য বাহিনীর প্রধান দরকার হয়। আর সে ক্ষেত্রে নৌবাহিনী ব্যতিক্রম নয়। বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রথমে উনপন্চশ জন নাবিক নিয়ে তার যাত্রা শুরু করে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সকল নাবিক প্রতিনিয়ত শত্রুদের সঙ্গে মোকাবেলা করেছে। মাত্র ৪৯ জন নাবিক নিয়ে তারা অপারেশন জ্যাকপট অভিযান টি করেছি লেন। যেটা মুক্তিযোদ্ধার সময় পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর ২৬ টি যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস হয়ে যায় এবং সমুদ্র পথ তাদের জন্য বাঁধা প্রাপ্ত হয়ে পড়ে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে আর এত কম নাবিক নিয়ে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে এ ধরনের সফল আক্রমণ আমাদের মুক্তিযোদ্ধার ইতিহাসে একটি গৌরবময় ঘটনা। আর এই বাহিনীর জন্য একটি সুনাম অর্জন করার মত ঘটনা ছিল এই দিনটি।
স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনী বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন মূলক কাজে নিয়োজিত ছিল।বর্তমানে বাংলাদেশ নৌ বাহিনী এক লক্ষ তিন হাজার বর্গ কিলোমিটার সমুদ্র রক্ষার দায়িত্বে রয়েছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রতি নিয়ত দুটি দায়িত্বে এই বাহিনীর নিজেদের নিয়োজিত রাখে। যুদ্ধকালীন দায়িত্ব ও শান্তিকালীন দায়িত্ব। বাংলাদেশের সমুদ্র এলাকায় গ্যাস খনিজ তেল ও বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক সম্প দ ও দেশের সমুদ্র সম্পদ গুলোকে এই বাহিনীটি রক্ষা করে থাকে। নৌবাহিনীর আকার বৃদ্ধির পাশাপাশি এর কার্যপরিধি দায়িত্ব ও ভবিষ্যত পরিকল্পনায়ও ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে।
নৌবাহিনীর প্রধান কে আশা করছি আপনারা যারা এই প্রশ্নটির উত্তর সম্পর্কে জেনে নিতে চান আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে তা জানিয়ে দিলাম। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে এই বিষয়টি সম্পর্কে আরো বিস্তারিতভাবে জেনে নিতে পারেন।