যোজনী কাকে বলে

আমরা জানি সকল পদার্থই অনু বা পরমাণু দিয়ে গঠিত। এই অনু এবং পরমাণু মৌলিক এবং যৌগিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা। আমরা জানি কোন মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণার নাম পরমাণু এবং যৌগিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণার নাম অনু। তাই অনু এবং পরমাণু হচ্ছে রাসায়নিক পদার্থ গুলির ক্ষুদ্রতম অংশ। রাসায়নিক পদার্থ গুলির একটি গঠন রয়েছে। এই গঠনগুলি বিভিন্নভাবে হয়ে থাকে। অর্থাৎ আমরা যদি পরমাণুকে ভাঙ্গি তাহলে পরমাণুটি যেই পদার্থের, আরো ক্ষুদ্র করলে সেটি ওই পদার্থটিরই অংশ পেয়ে থাকবো। আবার যৌগিক পদার্থ কে ভাঙলে দুই বা একাধিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা আমরা পেতে পারি। এখন যৌগিক পদার্থের দুইটি মৌল একে অপরের সঙ্গে বিভিন্ন বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে। আজকে আমাদের দেখাতে হবে যোজনী কাকে বলে।

রাসায়নিক এই পদার্থ গুলি বা বিভিন্ন মৌলিক পদার্থ গুলি একসঙ্গে তাদের যোজনী বা যোজ্যতা ইলেকট্রনের আদান-প্রদানের মাধ্যমে বন্ধন হয়ে থাকে। তাই ইলেকট্রন আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে বা দুইটি পদার্থ একসঙ্গে যৌগিক গঠন করার ক্ষেত্রে যোজনীর গুরুত্ব রয়েছে বা যোজনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি যদি ভিজিট না করে থাকেন অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইটটি তে আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য আমরা অত্যন্ত যত্নের সহিত প্রকাশ করে থাকি। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে যে তথ্যগুলি আপনারা গ্রহণ করবেন সেগুলি অত্যন্ত সহজ সরল সুন্দর ভাষায় প্রকাশিত থাকে।

আবার আপনারা ইচ্ছা করলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোড করেও নিতে পারবেন। আমরা লক্ষ্য করলে দেখতে পাই যে কোন মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসে সর্বশেষ কক্ষপথে যে ইলেকট্রন বা ইলেকট্রন সম্মূহ থাকে তার সেই সংখ্যাকে যোজ্যতা ইলেকট্রন বলা হয়। অর্থাৎ কোন মউলের শেষ কক্ষপথে যে ইলেকট্রন গুলি থেকে থাকে সেই শেষ কক্ষপথের ইলেকট্রন গুলি শেয়ার এর মাধ্যমে বা আদান-প্রদানের মাধ্যমে দুইটি মৌল মিলে একটি যৌগিক পদার্থ গঠন করতে পারে। আমরা লক্ষ্য করলে দেখব যে নাইট্রোজেনের ক্ষেত্রে প্রথম শক্তি স্তর K এবং দ্বিতীয় শক্তির স্তর L অর্থাৎ নাইট্রোজেনের মোট ইলেকট্রন সংখ্যা ৭ হওয়ায়। নাইট্রোজেনের প্রধান দুইটি শক্তি স্তরে তার ইলেকট্রন গুলি বিন্যস্ত হয় অর্থাৎ প্রথম শক্তি স্তরে যেহেতু দুইটি ইলেকট্রনিক থাকার কথা সেই দুইটি ইলেকট্রন প্রথম স্তরে থাকার পর অবশিষ্ট থাকে পাঁচটি এই পাঁচটি ইলেকট্রন তার দ্বিতীয় শক্তির স্তরে থাকে।

আর এই দ্বিতীয় শক্তিস্তের পাঁচটি ইলেকট্রন থাকে অর্থাৎ নাইট্রোজেনের যোজ্যতা ইলেকট্রন সংখ্যা আমরা যদি বলে থাকি তাহলে উত্তর হবে 5 । তাহলে আমরা বলতে পারি বিভিন্ন মৌলের পরমাণু সমূহ একে অপরের সাথে সর্বশেষ কক্ষপথের ইলেকট্রন বর্জন গ্রহণ বা ভাগাভাগির মাধ্যমে অনু গঠন করে। অনু গঠনকালে কোন মৌলের একটি পরমাণুর সাথে অপর একটি মৌলের পরমাণুর যুক্ত হওয়ার ক্ষমতায়কে যোজনী বা যোজ্যতা বলা হতে পারে। সাধারণত সব সময় হাইড্রোজেনের যোজনী এক ধরা হয় তাহলে কোন মৌলের একটি পরমাণুর যতগুলো হাইড্রোজেন পরমাণু বা ক্লোরিন পরমাণুর সাথে যুক্ত হতে পারে সেই সংখ্যাই হলো ও ওই মৌলের যোজনী বা যোজ্যতা। এক্ষেত্রে আমরা যদি হাইড্রোজেনের পরমাণুর বা পারমাণবিক সংখ্যার দিকে তাকাই তাহলে সর্বশেষ কক্ষপথে একটি ইলেকট্রন থাকে আবার সর্বশেষ কক্ষপথে ক্লোরিনের ইলেকট্রন থাকে একটি। তাই হাইড্রোজেন এবং ক্লোরিন একসঙ্গে হাইড্রোজেন ক্লোরাইড গঠন করে।

তাহলে আমরা দুজনই সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য বলা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করলাম। এখন তাহলে দেখা যেতে পারে যে যোজনী কাকে বলে?
যোজনী: রসায়নের ভাষায় আমরা যোজনী বলতে পারি যে, বিভিন্ন মৌলের পরমাণু সমূহ একে অপরের সাথে সর্বশেষ কক্ষপথের ইলেকট্রন বর্জন গ্রহণ অথবা ভাগাভাগির মাধ্যমে অনু গঠন করে। অনু গঠনকালে কোন মৌলের একটি পরমাণুর সাথে অপর একটি মৌলের পরমাণুর যুক্ত হওয়ার ক্ষমতাকে ওই মৌলের যোজনী বা যোজ্যতা বলা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *