আবহাওয়া কাকে বলে

আমরা জানতে পারি যে এখন পর্যন্ত মহাকাশে আবিষ্কৃত সৌরজগতের বাসযোগ্য আদর্শ একটিমাত্র গ্রহ হচ্ছে পৃথিবী। তবে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গার বিভিন্ন এলাকার আবহাওয়া এক এক রকমের হয়ে থাকে। সকল জায়গার আবহাওয়া একরকম হয় না। তাই আবহাওয়া বলতে আমরা বুঝি যে কোন স্থানের খুব স্বল্প সময়ের বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থাকে। অর্থাৎ আমরা যখন আবহাওয়ার খবর শুনি তখন সেটা কোন একসময়ের কোন এক দিনের বেলার বা কয়েক ঘন্টার আবহাওয়া সম্পর্কে খবর নিয়ে থাকি। দীর্ঘ সময় ধরে আবহাওয়ার খবর বলা যায় না। কারণ স্বাভাবিক অবস্থায় পৃথিবী যে রকম থাকে অর্থাৎ দিনের বেলা রুদ্র জল রাত্রিবেলা অন্ধকার ১৫ দিন পর পূর্ণিমা ১৫ দিন পর অমাবস্যা এরকম হতেই থাকে কিন্তু আবহাওয়া অর্থাৎ মেঘলা থাকবে না বৃষ্টি হবে না ঝড় বৃষ্টি হবে এ ধরনের খবর আমরা শুনে থাকি। আর এই স্বল্প সময়ের অবস্থাকেই আবহাওয়া বলা হয়।

জীবনধারণের জন্য আমরা পৃথিবীর যুগ গুলোর উপর আমরা নির্ভর করে থাকি। এবং সেই কারণে জীবকুল পরিবেশের আবহাওয়ার উপর নির্ভরশীল। কারণ বিভিন্ন আবহাওয়া বিভিন্ন উদ্ভি দ বা ফসল জন্মে থাকে। এবং ফসল জন্মানোর পর নির্ভর করে যে সে এলাকায় কোন ধরনের প্রাণীর বাস করবে। তাই বিভিন্ন পরিবেশে বিভিন্ন আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে উদ্বেগ জন্মে থাকে এবং সেই উদ্ভিদ জন্মানোর কারণেই প্রাণীর বিভিন্নতা দেখা যায় সেই পরিবেশের উপর নির্ভর করে। তাই আমরা বুঝতে পারি যে পরিবেশের আবহাওয়ার উপর আমাদের জীবনযাত্রার মানে অনেক ভাবে নির্ভর করে থাকে।

যে এলাকার আবহাওয়া যেমন তার উপর খাপ খাইয়ে সে এলাকার খাদ্যশৃঙ্খ কলকাতা পরিবেশ গঠিত হয়। তাই আবহাওয়া একটি এলাকার জন্য ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলে। তবে যদিও আবহাওয়া স্বল্প সময়ের অবস্থা তারপরেও এই স্বল্প সময় আস্তে আস্তে সেই এলাকায় এই ধরনেরই প্রতিবছর প্রতি সময় এ ধরনের আবহাওয়ায় বিরাজ করে বলে আমরা বুঝতে পারি। এবং সেসব এলাকায় সুশাব ধরনের প্রাণী বসবাস হয়ে থাকে। তাই আমরা আবহাওয়ার ওপর জোর দিয়েই সেই এলাকায় বিভিন্ন প্রাণীর পশুর বসবাস করতে দেখি। সাধারণত আবহাওয়া হলো একদিনের কোন স্থানের বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থাকে বুঝাতে পারে।

আবার কোন একটি বৃহৎ অঞ্চল জুড়ে আবহাওয়ার উপাদান গুলো হতে পারে সেগুলি হল বায়ুর তাপমাত্রা, চাপ, আর্দ্রতা, বৃষ্টিপাত ইত্যাদি। আবার কোন অঞ্চলের অর্থাৎ বৃহৎ অঞ্চল জুড়ে ৩০ থেকে ৩৫ বছরের গড় আবহাওয়া কে সেই অঞ্চলের জলবায়ু বলা হয়ে থাকে। কোন অঞ্চলের জলবায়ু ওই এলাকার ওপর অনেক প্রভাব ফেলতে পারে। আবহাওয়া সব সময় পরিবর্তনশীল চলক। আবহাওয়া ও জলবায়ুর নিয়ে বিজ্ঞানের যে শাখা গঠিত হয়েছে বাজে শাখায় আবহাওয়া ও জলবায়নে আলোচনা করা হয় তাকে আবহাওয়াবিজ্ঞান বলা হয়ে থাকে। তাই আমরা বলতে পারি যে কোন এলাকার আবহাওয়া হলো সেই এলাকার বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থা। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে এটি তাপমাত্রা বা শীতল ভেজা বা শুকনো শান্ত বা ঝড়ো পরিষ্কার বা মেঘলা এবং বর্ণনা দেওয়া যেতে পারে।

অথবা ওই এলাকার অল্প সময়ের তাপমাত্রা কত ডিগ্রি সেলসিয়াস ইত্যাদি দ্বারাও আবহাওয়া বুঝানো যেতে পারে। পৃথিবীতে বেশিরভাগ আবহাওয়া ঘটনাটি গ্রহের বায়ুমণ্ডলীয় স্তরের সর্বনিম্ন স্তরে অর্থাৎ ট্রপোস্ফিয়ার এ ঘটে থাকে। আবহাওয়াটি প্রতিদিনের তাপমাত্রা এবং বৃষ্টিপাতের ক্রিয়া-কলাপকে বুঝিয়ে থাকে। তবে যেখানে জলবায়ু শব্দটি দ্বারা সেই এলাকার দীর্ঘসময়ের আবহাওয়াকে বুঝিয়ে থাকে। আমরা জানি আবহাওয়ার বায়ুর চাপ তাপমাত্রা এবং এক জায়গা থেকে অন্য জায়গার মধ্যে আদ্রতার পার্থক্য দ্বারা চালিত হয়। এবং এই পার্থক্য গুলি কোন নির্দিষ্ট স্থানে সূর্যের কোণের কারণে বিভিন্ন ধরনের তাপমাত্রা হয়ে থাকে।

আমরা আবার সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের মতামত আমাদের এখানে ব্যক্ত করলাম তাহলে আমরা এখন এখান থেকে দেখতে পারি যে আবহাওয়া কাকে বলে?
আবহাওয়া: কোন এলাকার স্বল্পকালীন সময়ের জলবায়ু কেমন এটি যটির দ্বারা বোঝায় তাহাই হল সেই এলাকার সর্বকালীন সময়ের আবহাওয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *