উপযোগ কাকে বলে

কোন সমাজ বা জনগোষ্ঠীর সাধারণত যে ধরনের অর্থের সহিত জড়িত থাকে বা অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকে তাই হল সেই সমাজ বা গোষ্ঠীর অর্থনৈতিক অবস্থা বলে বিবেচিত হয়। সাধারণ অর্থে উপযোগ হলো অর্থনীতিরই একটি অংশ। অর্থাৎ উপযোগ বলতে কোন জিনিসের উপকারিতা কে বুঝিয়ে থাকে অর্থনৈতিক ভাষায়। কিন্তু এই উপযোগ কথাটি অর্থনীতিতে ভিন্ন ধরনের অর্থ প্রকাশ করে থাকে। কোন দ্রব্য বা সেবার অভাব মোচনয়ের ক্ষমতাকেই অর্থনীতিতে উপযোগ বলা হয়ে থাকে। আমাদের বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর অর্থনীতি।

তারপরেও আমাদের এই দেশে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয় বিভিন্ন শিল্পকল কারখানার উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে। এছাড়াও আমাদের আরেকটি অর্থনীতির বিশেষ খাত রয়েছে সেটি হল আমাদের দেশীয় দক্ষ জনগণ বিদেশে চাকরি করার সুবাদে সেখান থেকে তারা বিদেশি অর্থ দেশে প্রেরণ করার প্রেক্ষিতে দেশে রেমিটেন্স উপার্জিত হয়। এবং এই রেমিটেন্স আমাদের দেশীয় অর্থনীতিকে বিশেষভাবে চাঙ্গা রাখে। যেহেতু আমাদের বাংলাদেশ গ্রাম প্রধান দেশ তাই বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ কৃষিজীবী। এবং কৃষির ওপর নির্ভর করেই আমাদের অর্থনীতির ভীষণভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। অর্থাৎ শস্য উৎপাদন ওপর আমাদের অর্থনীতি নির্ভর করে থাকে।

আমাদের উৎপাদিত ফসলের একটা অংশ বাজারে বিক্রি করে সেই অর্থে গ্রামীন মানুষরা প্রয়োজন মিটিয়ে থাকে সংসারের। এভাবে তারা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখে চলেছে যুগের পর যুগ। একইভাবে স্বর অঞ্চলের শ্রমিক শিল্পপতি চাকরিজীবী এবং ব্যবসায়ীদের অর্থনৈতিক জীবনধারাও শিল্প কিংবা ব্যবসা কেন্দ্রিক হয়ে থাকে। তারাও দেশকে সমানভাবে অর্থনৈতিক দিক থেকে সহায়তা করে চলেছে। তাই সমাজের বিভিন্ন দ্রব্য বা সেবার অভাব পূরণ করার ক্ষমতা আছে বলেই তার চাহিদা দেখা দেয়। দ্রব্যবার সেবা যাই হোক না কেন তা মানুষের অভাব পূরণ করতে পারলেই তার উপযোগ আছে বলে অর্থনীতিতে ধরে নেওয়া হয়। যেমন আমরা বলতে পারি খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান কাগজ-কলম প্রকৃতির দ্রব্য উপযোগ বিশিষ্ট।

এক সময় যখন বিদ্যুৎ মানুষের প্রতিটি বাড়িতে ছিল না এবং বিদ্যুতের এত ব্যবহার ছিল না তখন বিদ্যুৎ উপযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি কিন্তু বর্তমানে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে আমাদের জীবনমান অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে অর্থাৎ বিদ্যুৎ ছাড়া আমরা এখন আর চলতে পারি না তাই বিদ্যুতের উপযোগ সৃষ্টির ক্ষমতা রয়েছে। অর্থনীতিতে উপযোগ ধারণার সঙ্গে নৈতিকতার কোন সম্পর্ক নেই। অতএব নৈতিকতার প্রশ্নে না গিয়ে অতি সহজ ভাবে বলতে পারি যে দ্রব্য বা সেবার যে ক্ষমতা মানুষের অভাব মেটাতে সক্ষম সেই ক্ষমতাকেই ওই দ্রব্যের উপযোগ বলা হয়ে থাকে। তাই যে সকল দ্রব্যের বা বস্তুর এই ধরনের উপযোগ সৃষ্টি করার ক্ষমতা রয়েছে অর্থনীতিতে সেই সকল দ্রব্য বা বস্তুকেই উপযোগ বলা হবে।

এক সময় মানুষের চাহিদা কম ছিল সেখানে উপযোগ বিশিষ্ট দ্রব্য কম ছিল। কিন্তু বর্তমানে মানুষের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে উপযোগ সৃষ্টি করতে পারা দ্রব্যগুলো বৃদ্ধি পেয়েছে। একসময় মানুষের শুধু চাহিদা ছিল খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান এই মৌলিক চাহিদাগুলি পরবর্তীতে যদিও মৌলিক চাহিদার সঙ্গে বিনোদন যুক্ত হওয়ার কারণে বিনোদন মৌলিক চাহিদাতে রূপান্তরিত হয়। কিন্তু মানুষের এখন আরো বিশেষ ধরনের চাহিদাগুলি রয়েছে এই চাহিদা বা এ ধরনের অনেক চাহিদা দ্রব্য গুলি আমাদের উপযোগ সৃষ্টি করতে পারে। তাই বর্তমান অর্থনীতিতে উপযোগ একটি বিশাল জায়গা জুড়ে রয়েছে। উপযোগ সৃষ্টি করার মত দ্রব্য এখন অনেক। আমরা বর্তমানে অর্থনীতির সুযোগ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আপনাদের সামনে হাজির করলাম।

তাই আপনারা আমাদের এই পোস্ট থেকে বিভিন্ন রকমের তথ্য পেলেন উপযোগ সম্পর্কে। কিন্তু উপাদানকের কাকে বলে সেই সংজ্ঞা আমরা এখনো প্রদান করিনি। তাই চলুন দেখা যাক উপযোগ কাকে বলে?
উপযোগ:সাধারণ অর্থে উপযোগ বলতে কোনো জিনিসের উপকারিতাকে বোঝায়। কিন্তু অর্থনীতিতে উপযোগ কথাটির বিশেষ অর্থ বহন করে। কোনো দ্রব্য বা সেবার অভাব মোচনের ক্ষমতাকে অর্থনীতিতে উপযোগ বলা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *