বর্তমান পৃথিবীতে প্রায় ৭০০ থেকে ৭৫০ কোটি মানুষের বসবাস। এই সমগ্র জনসংখ্যা কে দুইটি ভাগে পৃথক করা হয়েছে। একটি গ্রামীণ জীবন এ বসবাসকারী লোকসংখ্যা এবং অপরটি শহরাঞ্চলে বসবাসকারী জনসংখ্যা কে বোঝায়। সেই প্রাচীন গুহা বাসি মানুষ যখন খাদ্যের অন্বেষণে বিভিন্ন পশুপাখি এবং ফলমূল আহরণ করে নিয়ে আসতো তাদের তখনকার জীবন ছিল যাযাবরদের জীবনের মত। পরবর্তীতে মানুষ যখন সামান্য একটু খাদ্য নিরাপত্তা বোধ করল অর্থাৎ সামান্য সামান্য করে কৃষি কাজ করে নিজেদের খাদ্য নিরাপত্তা দিল তখন তাদের জীবনটা অনেকটাই স্থিতিশীল হলো। তারও পরবর্তীতে মানুষ যখন ব্যবসা-বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে হাট বাজারের সৃষ্টি হল তখন থেকেই মানুষের জীবনে নগরায়নের ভাবনা গড়ে উঠলো। অর্থাৎ মানুষ যখন বুঝতে পারল যে নগরের সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে তখন মানুষ নগরানের দিকে ঝুঁকতে শুরু করল।
তাহলে দেখা যায় যে কোন একটি স্থানে নগর বা শহর সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে বলা হয় নগরায়ন। গ্রাম থেকে মানুষ যখন জীবিকার তাগিদে শহর অঞ্চল অথবা নগরে যায় তখন নগরায়নের সৃষ্টি হতে থাকে। তবে সব সময় মানুষ যে সুযোগ-সুবিধা লাভের জন্যইনগরের বাস করে এ ধরনের নয়। জীবিকার তাগিদেও মানুষকে গ্রাম থেকে শহরে গিয়ে বসবাস শুরু করতে হয়। শহরে অনেক কলকারখানা বা মানুষজন বেশি থাকে সেই কারণে সেখানে কাজেরও পরিধি বেশি হয়ে থাকে এই কারণে মানুষ গ্রাম থেকে শহরের দিকে বসবাসের তাগিদে নাই জীবিকা তাকে দেয় তারা পারি জমান। এছাড়া অনেককে আবার উচ্চশিক্ষার জন্যেও শহরে বসবাস করতে হয়। কারণ গ্রামে উচ্চশিক্ষার পরিধি কম এবং এখানে উচ্চশিক্ষা পাওয়া যায় না এ কারণে শহরে গিয়ে তারা উচ্চশিক্ষার আশায় বসবাস শুরু করেন।
এভাবে নগরায়নের পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বর্তমানে মানুষজন সুখের আশায়ও অর্থাৎ সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা নগরে থাকার কারণে তারা গ্রাম থেকে নগরে এগিয়ে বসবাস শুরু করেন এখানেও নগরায়নের সৃষ্টি হয়। তবে নগরায়নের ফলে যে শুধু সুফল বয়ে আনছে এমন কিছু নয় নগরায়নের প্রভাবে মানুষের সেসব এলাকায় জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এর কারণে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব প্রতিফলিত হয়। কারণ জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে পরিবেশ বিভিন্নভাবে দূষিত হতে থাকে। দূষিত পরিবেশ পৃথিবীর জন্য হুমকি স্বরূপ। বাংলাদেশের বাসা থেকে শহর হিসেবে স্বীকৃতি লাভের জন্য কমপক্ষে পাঁচ হাজার জনসংখ্যা এবং প্রতি বর্গ কিলোমিটারে পনেরশো জন এর বসবাস করতে হবে। শহরে জন্ম ও মৃত্যুহার গ্রামের মতো এত উচ্চ নয়। তবে ও সুভাষনের কারণে শহরের জনসংখ্যা কমে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অর্থাৎ জনসংখ্যার যেহেতু ঘনত্ব আমাদের বাংলাদেশে বেশি এই কারণে অধিক জনসংখ্যার জন্য শহরের মতো বা নগরায়নের জন্য সুফল বয়ে আনতে পারে। কারণ নগরী বা শহরে যেহেতু বহু তল বিশিষ্ট ভবন তৈরি হয় অর্থাৎ অল্প জায়গায় অধিক মানুষের বসবাস করা শেখায় এই নগরায়ন এই কারণে যেহেতু আমাদের ভূমিকম্প তাই নগরের বসবাস করলে অতি জনসংখ্যা অল্প জায়গায় সংকুলান হয়ে যাবে। তাই এদিক দিয়ে নৌকার গান বাংলাদেশের জন্য সুফল বয়ে আনতে পারে। অর্থাৎ বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে যেকোনো জায়গায় নগর সৃষ্টি হতে পারে। কারণ নগর যেকোনো জায়গায় যে কোন সময় তৈরি হয়ে যেতে পারে। অজপাড়া গায়ের মধ্যেও যদি সেখানে নগরের সকল সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করা হয় তাহলে একদিনের মধ্যে সেখানেও নগর সৃষ্টি হতে পারে।
তাই এই নগরায়ন সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের কথা পাবে বিভিন্ন ধরনের তথ্য আমরা আপনাদের কাছে উপস্থাপন করলাম। তাহলে এখন আমরা দেখতে পারি নগরায়ন কাকে বলে বা নগরায়ন কি এর সংজ্ঞাটি কি হতে পারে। তাহলে চলুন দেখি নগরায়ন কাকে বলে।
নগরায়ন: নগরায়ন বা শহরায়ন বলতে গ্রামাঞ্চল থেকে শহুরে অঞ্চলে জনসংখ্যার স্থানান্তর, গ্রামের তুলনায় নগর অঞ্চলে বসবাসরত মানুষের অনুপাত ক্রমশ বৃদ্ধি এবং কোনো সমাজ যেভাবে এই পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেয় তা বোঝায়।