ঘর্ষণ বল কাকে বলে

আমরা এটা জানি যে নিউটনের প্রথম সূত্রে প্রথমবার বল শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে বল বলতে আমরা কি বুঝাই এটাই আমরা এখনো জানি না। আসলে বল হচ্ছে পদার্থবিজ্ঞানে শক্তির প্রয়োগ বা শক্তি বুঝায়। অর্থাৎ যেখানে শক্তি জড়িত সেখানে বল জড়িত। শক্তি প্রয়োগ করার অর্থই হচ্ছে বল প্রয়োগ করা। কিন্তু পদার্থবিজ্ঞানে বিজ্ঞানের শক্তি বলতে বোঝায় যে কাজ করার সামর্থই হচ্ছে শক্তি। তাই পদার্থবিজ্ঞানে বল বলতে বোঝায় যে যার প্রয়োগের কারণে স্থির বস্তু চলতে শুরু করে আর সমবেগে চলতে থাকা বস্তুর বেগের পরিবর্তন হয় সেটাকেই বল বলা হয়। আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্নভাবে বলের প্রয়োগ করে থাকি। অর্থাৎ দৈনন্দিন জীবনে কাজ করতে যেহেতু শক্তির প্রয়োজন হয় তাই বলের প্রয়োজন হয় এ কথাটা বলা যেতে পারে। আমরা এটা নিশ্চয়ই জানি যে বল প্রয়োগ করতে হলে সেই বস্তুটি অবশ্যই স্পর্শ করতে হয়।

তাই বল প্রয়োগ করতে হলে অবশ্যই স্পর্শ করতেই হবে। বিভিন্ন ধরনের বল সম্পর্কে আমরা এখন অবগত হব। সেই বল গলির মধ্যে হলো মৌলিক বল মহাকর্ষ বল তড়িৎ চুম্বকীয় ফল দুর্বল নিউক্লিয় বল ইত্যাদি। তাই আমরা বিভিন্ন ধরনের বল কে দেখতে পেলাম এখানে। কোন কিছুকে যদি ধাক্কা দিয়ে সেটা একটা বল অবশ্যই ট্রাক যখন বোঝা টেনে নিয়ে যায় সেটাও একটা বল ঝড়ে যখন গাছ উপরে যায় সেটাও বল চুম্বক যখন লকে আকর্ষণ করে সেটাও বল বোমা বিস্ফোরণে যখন ঘরবাড়ি উড়ে যায় সেটাও একটা বল তাই এই ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকারের বল রয়েছে। এখন মৌলিক বল বলতে সেগুলো হচ্ছে মহাকর্ষ বল তড়িৎচুম্বক বা বিদ্যুৎ চুম্বকীয় বল দুর্বল নিউক্লিয় বল এবং সবল নিউক্লিয় বল ইত্যাদিকে মৌলিক বলের কাতারে ফেলা হয়েছে।

এরপর আসা যাক মহাকর্ষ বল সম্পর্কে কিছু। সৃষ্টি জগতের সকল বস্তু তাদের ভরের কারণে একে অপরকে যে বলদী আকর্ষণ করে সেটাই হচ্ছে মহাকর্ষ বল। চিরুনি দিয়ে চলে আসলে যে কাগজের টুকরাকে আকর্ষণ করে এটা হচ্ছে যে চুম্বকীয় বল। দুর্বল নিউক্লিয় বল হচ্ছে এটাকে দুর্বল করা হয় কারণ এটা তড়িৎ চুম্বক বল থেকে দুর্বল কিন্তু মোটেও মহাকর্ষ বলের মত এত দুর্বল নয়। মহাকর্ষ এবং তড়িৎ চৌম্বক বল যে কোন দূরত্ব থেকে কাজ করতে পারে কিন্তু এই বলটা খুব অল্প দূরত্বে কাজ করে। আমরা এর আগে মহাকর্ষ কিংবা মধ্যাকর্ষণ বল এবং স্প্রিংয়ের বল নিয়ে আলোচনা করেছি তাহলে এবার দেখি আমরা যে ঘর্ষণ বল কাকে বলে। ধর্ষণের ফলে যে বল তৈরি হয় তাকে ঘর্ষণ বল বলে। আমরা যদি টেবিলে কোন একটা কাঠের টুকরো রয়েছে এবং সেই কাঠের টুকরোর উপর ভর করে সৃষ্টি করতে চাই তাহলে যেভাবে দেখানো হয়েছে তৈরি করতে হবে।

আমরা যদি ধর্ষণের ফলে ডান থেকে বাম দিকে ধর্ষণ বল তৈরি হয় কাজে কাঠের টুকরার উপরে যদি বামের দিকে বল প্রয়োগ করি তাহলে প্রয়োগ করে বলার সংঘর্ষফল একদিকে হওয়ার কারণে বাড়তি একটা বল পেয়ে যাব। ঘর্ষণ বল সব সময় প্রয়োগ করা বলে এর বিপরীত দিকে কাজ করে।ঘর্ষণের জন্য তাপের সৃষ্টি হয় আর সেটা অনেক সময় সমস্যা যেমন গাড়ি সিলিন্ডারে পিস্টনকে উঠানো করার সময় সেখানে ঘর্ষণের জন্য তাদের সৃষ্টি হয় আর সেই তাপ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য গাড়ি ইঞ্জিনকে শীতল রাখতে হয়। তাই সেখানে ঘর্ষণ কমানোর জন্য নানা ধরনের ব্যবস্থা নিতে হয়।

ঘর্ষণ বিভিন্ন ধরনের হতে পারে স্থিতি ঘর্ষণ, গতি ঘর্ষণ আবদ্ধ ঘর্ষণ এবং প্রবাহী ঘর্ষণ। ঘর্ষণ বল সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দেওয়া হল। তাহলে এখন আপনারা বলতে পারবেন ঘর্ষণ বল কি কাকে বলে? তারপরে ঘর্ষণ বলে একটা সঙ্গা দেওয়া উচিত। তাহলে চলুন দেখা যাক ঘর্ষণ বল এর সংজ্ঞা কি হতে পারে।

ঘর্ষণ বল: দুটি বস্তু পরস্পরের সংস্পর্শে থেকে যদি একের ওপর দিয়ে অপরটি চলতে চেষ্টা করে তাহলে বস্তুদ্বয়ের স্পর্শতলে এই গতির বিরুদ্ধে যে বল উৎপন্ন হয়, তাকে ঘর্ষণ বল বলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *