বিজ্ঞান কাকে বলে

আমাদের বর্তমান আধুনিক যুগটি অবশ্যই বিজ্ঞানের যুগ হিসেবে অভিহিত হয়ে থাকে। বর্তমান যুগে বিজ্ঞানের প্রচুর অগ্রযাত্রা হয়েছে। মানুষ এখন মঙ্গল গ্রহ জয় করতে চলেছে। তাই আমাদের এই যুগটিকে অবশ্যই বিজ্ঞানের যুগ বলা যেতে পারে। বিজ্ঞানের অগ্রগতির কারণে এখন আমরা অনেক সহজ জীবন যাপন করছি। প্রকৃতির আবহাওয়ার সাথে মানুষকে আর লড়তে হয় না। প্রকৃতির বিরূপ আবহাওয়া থেকে রেহাই পেয়েছে অনেক ক্ষেত্রেই। এবং এসব সম্ভব হয়েছে একমাত্র বিজ্ঞানের জয়যাত্রার কারণে। তাই আমাদের জীবন যাপনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ওতপ্রতভাবে জড়িয়ে আছে। বিজ্ঞানের ইতিহাস শুরু হয় সেই প্রাচীন কাল থেকেই। অর্থাৎ গুহাবাসী মানব থেকে মানুষ বর্তমান জীবনে পৌঁছেছে শুধুমাত্র তার চিন্তাধারা বদলের কারণে বিভিন্ন আবিষ্কার এর কারণে।

বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার গুলি কারণেই বর্তমান মানুষ এখন খুব দ্রুত তার সহিত জীবন যাপনে সফলতা অর্জন করে যাচ্ছে। বিজ্ঞানের অগ্রগতির কারো নাই আমাদের দেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপান্তরিত হচ্ছে বা হয়েছে। বিজ্ঞানের কারণেই ২০০ জন শ্রমিকের কাজ এখন একটা মেশিন বা যন্ত্র করে থাকে। বৈজ্ঞানিক নীতি দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান। তাই প্রতিষ্ঠানগুলি এখন বৈজ্ঞানিকভাবেই পরিচালিত হচ্ছে। তাই আমরা বলতে পারি ভৌত বিশ্বের যা কিছু পর্যবেক্ষণযোগ্য পরীক্ষাযোগ্য ও যাচাইযোগ্য তার সুশৃংখল নিয়মতান্ত্রিক গবেষণা ও সেই গবেষণালব্ধ জ্ঞানভাণ্ডার এর নাম বিজ্ঞান। অতএ ব আরো বলা যেতে পারে যে আমরা শুধুমাত্র যখন কোন বিষয় নিয়ে বিস্তের গবেষণা বা পরীক্ষা করি এবং সেই গবেষণা বা পরীক্ষা পর্যবেক্ষণ ও যাচাই করে নিয়ন্ত্রান্ত্রিক বা সুশৃংখল জ্ঞান লাভ করি তখনই তাকে বিজ্ঞান বলে অভিহিত করা যেতে পারে। তাই বলা যায় বিজ্ঞান এখন আর কোন ছোট বিষয় নয়। পৃথিবীর প্রতিটি আনাচে কানাচে অর্থাৎ জীবন এখন বিজ্ঞানময়।

জীবন এ পর্যায়ে এসেছে শুধুমাত্র বিজ্ঞানের ই কারণে। সুস্থ থাকতে বিনোদন খেলাধুলা খাবার আরাম-আয়েশ সবকিছুই বিজ্ঞানের বদৌলতে এখন অতি উন্নত মানের হয়েছে। এছাড়াও যদি অসুস্থ হই হাসপাতালের চিকিৎসা বা রোগ নির্ণয় পদ্ধতি বা ওষুধ সবকিছুই আসলে বিজ্ঞানের ধারায় নিয়ন্ত্রিত হয়। আজ আমাদের বলতে হবে বিজ্ঞান কাকে বলে?
বিজ্ঞান: বিজ্ঞান শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো বিশেষ জ্ঞান।

কোন কিছু সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান অর্জনই হলো বিজ্ঞান। তবে আরও সহজ করে বোঝার জন্য আমাদের বলতে হয় বিজ্ঞান শব্দটি ইংরেজি Science এর অনুবাদ। Science শব্দটি আবার এসেছে ল্যাটিন শব্দ ‘Scientia’ থেকে, যার অর্থ জ্ঞান। তাই আমরা বিজ্ঞান শব্দটির বিস্তারিত অর্থ জেনে নিলাম। এবার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে এই “বিশেষ জ্ঞান” আবার কি? আসলে এই “বিশেষ জ্ঞান” ই হল কোন ভৌত বিশ্বের যা কিছু পর্যবেক্ষণযোগ্য, পরীক্ষণযোগ্য ও যাচাইযোগ্য, তার সুশৃঙ্খল, নিয়মতান্ত্রিক গবেষণা ও সেই গবেষণালব্ধ জ্ঞান।

তাই আমরা দেখতে পাই যে কোন জিনিস আবিষ্কার করার জন্য অবশ্যই সেই বস্তুটি, জিনিসটি বা পদার্থটি সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান লাভ করার পরেই সেই যন্ত্রটি তৈরি হয় মানব কল্যাণে। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন অবশ্যই কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনে আসে এ সকল তথ্যগুলি প্রকাশ করা হয়ে থাকে। এ সকল তথ্যগুলি অবশ্যই সঠিক সুন্দর এবং নির্ভুল ভাষায় প্রকাশ করা হয়ে থাকে। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্নর উত্তরগুলি বা আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। ডাউনলোড করে নিতে এক্সটা কোন খরচ প্রযোজ্য হয় না। তাই আপনারা আপনাদের প্রয়োজনের জন্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি বারবার ভিজিট করবেন এবং প্রশ্নের উত্তরগুলি দেখে নেবেন।

তাই পরিশেষে বলা যায় যে বিজ্ঞান সম্পর্কে লিখে শেষ করার উপায় নেই কারণ বর্তমান আমরা যা কিছু করি সবই বিজ্ঞানের ধারায় পরিচালিত হয় বিজ্ঞান ছাড়া আমরা আর এক মুহূর্ত থাকতে পারিনা। বিজ্ঞানের বাইরে চলার আর কোন উপায় নাই। অতএব, আমরা শুধুমাত্র যখন কোন বিষয় নিয়ে বিস্তর গবেষণা বা পরীক্ষা করি এবং সেই গবেষণা বা পরীক্ষা পর্যবেক্ষণ ও যাচাই করে নিয়মতান্ত্রিক বা সুশৃঙ্খল জ্ঞান লাভ করি তখনই তাকে বিজ্ঞান বলে। আবার যারা এই বিশেষ জ্ঞান অর্জন করেন তাদের আমরা বিজ্ঞানী বলি। আমরা বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের নাম জেনে থাকি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *