স্থিতিস্থাপকতা কাকে বলে

আমরা সকলেই কখনো না কখনো একটা স্প্রিং কিংবা একটি রাবার ব্যান্ড টেনে লম্বা করে আবার ছেড়ে দিয়েছি। এরকম ধরনের ঘটনা বা কাজ আমরা হামেশাই করে থাকি। রাবার এবং স্প্রিংকে টেনে ছেড়ে দিয়েছি কারণ একটাই, সেটি টানলে লম্বা হয় আবার ছেড়ে দিলে সে আগের অবস্থায় ফিরে যায় এ কারণেই আমরা রাবার বা স্প্রিংকে টেনেছি এবং ছেড়ে দিয়েছি যাতে টানলে লম্বা হয় আবার ছেড়ে দিলে পূর্বের অবস্থায় ফিরে যায় এই জিনিসটাই দেখার জন্য। এবংষ এই জিনিসটি করার সময় আমরা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছি যে স্প্রিং কিংবা রাবার ব্যাংকে টেনে ছেড়ে দেওয়া হলে সে আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে এবং যে অবস্থায় ছিল সেই অবস্থায় রয়ে যায়। এই ট্রেনে ধারা কে পদার্থবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় বল প্রয়োগ করা। আর দৈর্ঘ্য পরিবর্তন এর হওয়াকে বলা হয় বিকৃতি ঘটা। দৈনন্দিন জীবনে বিকৃতি শব্দটি খুবই নেতিবাচক মনে হয়। কিন্তু এখানে এটাকে আমরা নেতিবাচক হিসেবে দেখবো না এটা হচ্ছে অবস্থার পরিবর্তন মাত্র।

স্থিতিস্থাপকতা নিম্নলিখিত কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। যেমন: অনুদৈর্ঘ্য বিকৃতি, কৃত্তন বিকৃতি ইত্যাদি। তাই আমরা বলতে পারি যে পদার্থের বাইরে থেকে বল প্রয়োগ করলে ভারতের আকার বা দৈর্ঘ্যের চেয়ে আপেক্ষিক পরিবর্তন হয় সেটাই হচ্ছে বিকৃতি। এরপর আসি পীড়ন এর ক্ষেত্রে। পীড়ন হল একক ক্ষেত্রফলের বিকৃতির কারণে পদার্থের ভিতরে যে বল তৈরি হয় সেটা। অর্থাৎ আমরা যদি A প্রস্তোচ্ছেদের একটা বস্তুতে বল প্রয়োগ করা হলে যদি তার বিকৃতি ঘটে সেই বিকৃতি যদি F প্রতিরোধ বল তৈরি করে তাহলে এর পীড়ন হচ্ছে- F/A । তাহলে আমরা দেখতে পাই এটা চাপের মতো এবং এর একক Pa বা প্যাসকেল।

তাই প্রত্যেক পদার্থের প্রেরণ এবং বিকৃতির সাথে সম্পর্কযুক্ত একটা ধ্রুবক থাকে সেই যুবকটার নামই হচ্ছে স্থিতিস্থাপক গুণাঙ্ক। দুইটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করলে বুঝা যায় যে বিষয়টি কি হবে। এখন আমরা অনুদৈর্ঘ্য বিকৃতি সম্পর্কে কিছু বলতে পারি।

অনুদৈর্ঘ্য বিকৃতি : বাহ্যিক বল বা টানের প্রভাবে কোনো বস্তুর একক দৈর্ঘ্যে যে দৈর্ঘ্য পরিবর্তন সংঘটিত হয় , তাকে অনুদৈর্ঘ্য বিকৃতি বলে ।
আবার এখন আমরা আয়তন বিকৃতি সম্পর্কে কিছু ধারণা নিতে পারি।

আয়তন বিকৃতি : বাহ্যিক বলের ক্রিয়ায় কোনো বস্তুর একক আয়তনে সৃষ্ট আয়তন পরিবর্তনকে আয়তন বিকৃতি বলা হয।

কৃত্তন বিকৃতি : বাহ্যিক বলের ক্রিয়ায় আয়তন অপরিবর্তিত থেকে বস্তুর শুধুমাত্র আকৃতির পরিবর্তন ঘটলে সংশ্লিষ্ট পরিবর্তনকে মোচড় বা কৃন্তন বিকৃতি বলা হয়।

আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। আমাদের ওয়েবসাইটে শিক্ষা বিষয়ক সকল ধরনের প্রশ্নের উত্তর অত্যন্ত সহজ সরল সুন্দর এবং সাবলীল ভাষায় আমরা প্রকাশ করে থাকি। তাই আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে যে ধরনের প্রশ্নের উত্তরগুলি প্রয়োজন হয় সেসব উত্তরগুলি আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া থাকে। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোড করেও নেওয়া যায় অতি সহজেই। এবং ডাউনলোড করে নিতে আপনাদের আলাদা কোন চার্জ প্রযোজ্য হয় না। এতক্ষণ আমরা স্থিতিস্থাপকতার অন্যান্য বিষয়গুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

তাই স্থিতিস্থাপকতার অন্যান্য বিষয় সম্পর্কিত সকল বিষয়ে জানা হয়ে গেল আমাদের। এখন তাহলে দেখতে পারি যে স্থিতিস্থাপকতা কাকে বলে? চলুন দেখি স্থিতিস্থাপকতা কি।

স্থিতিস্থাপকতা: স্থিতিস্থাপকতা হল যখন কোন বস্তুকে বল প্রদান করা হয় তখন তার ভেতরে একটা বিকৃতি ঘটে বলটি সরিয়ে নিলে আকৃতির অবসান ঘটে আর বস্তুটি আবার তার আগের অবস্থায় ফিরে যায়। পদার্থের এই ধর্মের নাম স্থিতিস্থাপকতা।

তবে মনে রাখতে হবে কতটুকু বল প্রয়োগ করা যাবে তার একটি সীমা আছে। এই সীমাকে স্থিতিস্থাপক সীমা বলে। একটা রড কে অল্প একটু বাঁকা করে ছেড়ে দিলে সেটা সোজা হয়ে যায়। কিন্তু রডটিকে যদি আমরা বেশি বাঁকা করি তাহলে বাঁকা হয়ে থাকে আর সোজা হয় না। কাজেই আমরা বিষয়টা এভাবে বলতে পারি যে বাইরে থেকে বল প্রয়োগ করলে পদার্থের আকার বা দৈর্ঘ্যের যে আপেক্ষিক পরিবর্তন হয় সেটাই হচ্ছে বিকৃতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *