রাজার নীতি রাজনীতি। রাজনীতি বা রাজত্ব নিতে হলো দলীয় বা নির্দিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে ক্ষমতা সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ বিষয়ক কর্মকাণ্ডের সমষ্টিকে বুঝিয়ে থাকে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে সম্পদের বন্টন হল এমন একটি কর্মকাণ্ড। তবে একাডেমিকভাবে এই শিক্ষাকে বলা হয় পলিটিক্যাল সায়েন্স বা বাংলায় রাষ্ট্রবিজ্ঞান। এই রাষ্ট্র বিজ্ঞানের অধীনে একটি রাষ্ট্র কিভাবে পরিচালিত হতে পারে সে সকল জ্ঞান অর্জন বিষয়ক শিক্ষা এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মধ্যে থাকে। তাই একজন শিক্ষার্থী যদি রাজনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে থাকে তাহলে তাকে অবশ্যই এই রাষ্ট্রবিজ্ঞান সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান সম্পর্কে যদি ভালো জ্ঞান না থাকে তাহলে অবশ্যই রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে অনেক ঘাটতি থেকে যাবে। সুষ্ঠুভাবে রাস্তা কে পরিচালনা করার জন্য রাষ্ট্রবিজ্ঞানের উপর দক্ষতা অবশ্যই থাকতে হবে। এবং এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানের উপর দক্ষতা থাকলেই একটি রাষ্ট্র ভালোভাবে চালানো সম্ভব। যদিও একটি রাষ্ট্রকে একজন ব্যক্তি সম্পূর্ণরূপে একজন ব্যক্তির পরিচালিত করতে পারে না সে কারণেই রাষ্ট্রকে পরিচালনার জন্য অনেক ধরনের আমলা এবং রাজনীতিবিদ থেকে থাকে।
রাজনীতিবিদ এবং আমরা সকলে মিলে একটি রাষ্ট্রকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত করে থাকে। আমরা আসলে রাজ কর্মচারী অর্থাৎ একটি রাষ্ট্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী হলেন আমলা আর রাজনীতিবি দ তৃণমূল থেকে রাজনীতি করে দল ক্ষমতায় আসলে সেই সকল রাজনীতিবিদরা সংসদ সদস্য অথবা মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী এমপি ইত্যাদি হয়ে থাকেন। এবং তাদের মাধ্যমেই রাষ্ট্রীয় বড় বড় সিদ্ধান্ত গুলি সংসদে বেল আকারে 500 থেকে এবং সে মোতাবেক রাষ্ট্র পরিচালিত হয়। তাই সংসদ সদস্যরা অর্থাৎ পার্লামেন্টের সদস্যরা সকলের মিলে একটি রাষ্ট্রকে সুস্থ সুন্দরভাবে পরিচালিত করে। এবং এই সংসদ সদস্যদের অবশ্যই রাজনীতিবিদ হতে হয়।
আর রাজনীতিবিদ হতে হলে অবশ্যই রাষ্ট্রবিজ্ঞানের উপর জ্ঞান থাকতে হয় নইলে ভালো রাজনীতিবিদ হওয়া যায় না এবং ভালো রাজনীতিবিদ না হলে দক্ষ শাসক হওয়া যায় না এই কারণে রাজনীতিবিদদের রাষ্ট্রবিজ্ঞান সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখা অবশ্যই প্রয়োজন। তাই বলা যায় রাষ্ট্রবিজ্ঞানের কাজ হল রাজনীতি নিয়ে গবেষণা করা। তাই বলা যায় রাজনীতি একটি বহুমুখী শব্দ এই শব্দ দিয়ে অর্থাৎ এই রাজনীতি শব্দটি দিয়ে অনেক কিছু বোঝানো হয়ে থাকে।
এটি আপসের ও অহিংস রাজনৈতিক সমাধান প্রসঙ্গে ইতিবাচক অর্থে অথবা সরকার বিষয়ক বিজ্ঞান বা কলা হিসেবে বিশদভাবে ব্যবহৃত হতে পারে কিন্তু পাশাপাশি এটি ই একটি নেতিবাচক অর্থেও বহন করে থাকে। নেতিবাচক অর্থে ব্যবহৃত হয় এর উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে যে উচ্ছেদ বাদী উইন্ডোজ ফিলিপ ঘোষণা দেন যে আমরা রাজনৈতিক চাল চালিনা, দাস প্রথার বিরোধিতা নিয়ে হাসি তামাশা করা আমাদের স্বভাবে নেই। তাই রাজনীতিকে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে। এবং এই রাজনীতি নিয়া বিভিন্নজনের বিভিন্ন মতামত বা মতামতের বিভিন্নতাও লক্ষ্য করা যায়। অর্থাৎ রাজনীতির দৃষ্টিভঙ্গি কোথায় কিভাবে ব্যবহার করা হবে এ নিয়ে বিভিন্ন জনার বিভিন্ন মত ভেদ রয়েছে। রাজনীতিতে বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয় যার মধ্যে আছে কারো নিজস্ব রাজনৈতিক অভিমত মানুষের মাঝে প্রচার করা আবার অন্যান ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মতবিনিয়ময় আইন প্রণয়ন এবং বল প্রয়োগের চর্চা করা যার মধ্যে আছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বা লড়াই।
বর্তমান সমাজে রাজনীতির পরিধি এখন ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। অর্থাৎ একটি রাষ্ট্রের অনেক সংখ্যক লোক এখন রাজনীতির সাথে জড়িত। অর্থাৎ তৃণমূলে যেকোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা জড়িত থাকা আর এই অর্থেই বলা হয় যে একটি দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ লোক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাই আমরা রাজনীতি সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য আপনাদের সামনে এতক্ষণে তুলে ধরা হলো। এবং এখান থেকে আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারলেন যে রাজনীতি কাকে বলে বা রাজনীতি বিষয়টা কি কেমন হতে পারে।
তাহলে আমরা এখন রাজনীতি কি এই সংজ্ঞাটা দেখতে পারি। তাহলে চলুন দেখা যাক
রাজনীতি: রাজনীতি (Politics) হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কিছু ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত কোন গোষ্ঠী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। যা দ্বারা নাগরিক সরকারের রাজনীতিকেই বোঝানো হয়, তবে অন্যান্য অনেক সামাজিক প্রতিষ্ঠান, যেমন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যেখান মানুষের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক বিদ্যমান, সেখানে রাজনীতি চর্চা করা হয়। রাজনীতি কর্তৃত্ব ও ক্ষমতার ভিত্তিতে গঠিত সামাজিক সম্পর্ক নিয়ে গঠিত।