জ্ঞান-বিজ্ঞানের ব্যাপক প্রসার এবং দ্রুত উন্নয়নের তথ্য ও উপাত্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং অবদান রেখে চলেছে আমাদের এই বর্তমান বিশ্ববাজারে। তথ্য ও পাত্রের উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয় গবেষণা এবং অব্যাহত গবেষণার ফল হচ্ছে জ্ঞান-বিজ্ঞানের অভাবনীয় উন্নয়ন। তাই তথ্য ও উপাত্ত উপস্থাপনে ব্যাপকতা লাভ করেছে এই সংখ্যার ব্যবহার। আর সংখ্যা সুযোগ তথ্য হচ্ছে পরিসংখ্যানের বিষয়। তাই আমাদের অবশ্যই পরিসংখ্যানে মৌলিক ধারণা এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সমূহ জানা অত্যন্ত আবশ্যক বলে মনে করি আমরা। আমরা এর আগে যদি কোন ধরনের পরিসংখ্যান সম্পর্কে না জেনে থাকি তাহলে একটু করে হলেও পরিসংখ্যান বিষয়ক ধারণা আমাদের রাখতে হবে।
তাহলে আমরা এখন পরিসংখ্যান বিষয় সম্পর্কে সাধারণ একটু ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা যেতে পারে। আসলে পরিসংখ্যান বলতে কোন ঘটনা বা বিষয়ের সংখ্যাত পরিমাপ অর্থাৎ তথ্য বোঝায়। কোন কোন পরিসংখ্যানবিদ পরিসংখ্যান কে আমার সংখাত ক তথ্য আবার কেউ কেউ একে সংখ্যা নিয়ে গবেষণা বিজ্ঞান হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। তাই পরিসংখ্যান হচ্ছে তথ্য বিষয়ক বিজ্ঞান। তথ্য ও উপাত্ত জানতে হলে অবশ্যই তাই পরিসংখ্যানের ওপর অনেকভাবে নির্ভরশীল হতে হয়। আমরা যদি কোন শহরের পরিসংখ্যানে উপাত্ত দেখতে চাই তাহলে ওই শহরের অধিবাসীদের বয়স বা আয় কোন স্থানের দৈনিক সর্বোচ্চ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বা বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের দৈনিক আয় ইত্যাদি সংখ্যার মাধ্যমে প্রকাশ করি এবং এই সংখ্যার মাধ্যমে এই বিষয় সকল প্রকাশ করার অর্থই হলো এটি একটি উপাত্ত।
উপাত্তর সাধারণত দুই ভাগে বিভক্ত। যথা: বিন্যস্ত উপাত্ত ও অবিন্যস্ত উপাত্ত। সাধারণত এলোমেলোভাবে সংগৃহীত উপাত্ত গুলোকে অবিন্যস্ত উপাত্ত বলা হয়। এবং শ্রেণীবিন্যাসের সাহায্যে প্রাপ্ত উপাত্তকে বিন্যস্ত উপাত্ত বলে। তাই বলা যায় যে তথ্যবার ঘটনার নির্দেশক সংখ্যাগুলো হচ্ছে পরিসংখ্যানের উপাত্ত। যদি কোন পরীক্ষায় কোন শ্রেণীর যদি কিছু নম্বর প্রদর্শন করা হয় তাহলে এই নম্বর গুলোই হল পরিসংখ্যানের উপাত্ত। এই উপাত্ত গুলো সহজে সরাসরি উৎস থেকে সংগ্রহ করা যায়। আর যে উপাত্তগুলি সরাসরি উৎস থেকে সংগৃহীত করা হয় সেই সংগৃহীত উপাত্তের নির্ভরযোগ্যতা অনেক বেশি হয়ে থাকে। সরাসরি উৎস থেকে সংগৃহীত হয় এমন উপাধ্যই হলো আবার প্রাথমিক উপাত্ত।
প্রাথমিক উপাত্ত পরোক্ষ উৎস থেকে সংগৃহীত হয় বিধায় এর নির্ভরযোগ্যতা অনেক কম থাকে। তাই যদি গণিতে প্রাপ্ত নম্বর গুলির আমরা দিয়ে থাকি তাহলে এই নম্বরগুলো এলোমেলোভাবে থাকে। এই এলোমেলো ভাবে থাকা নম্বরগুলো যদি আমরা মানের কোনক্রমে সাজিয়ে নিই তাহলে এই ধরনের সাজানো উপ পাদ্য গুলি হবে বিন্যস্ত উপাত্ত আর যদি ওই উপাত্ত গুলি সাজানো না থাকে অর্থাৎ গণিতের যে নম্বর গুলো আমরা দিয়েছি সেই নম্বর গুলো সাজানো থাকে না তাদেরকে অবিন্যস্ত উপাত্ত বলা হয়ে থাকে। অবিন্যাস তো উপাত্ত গুলি বিন্যস্ত করা বেশ জটিল এবং সম্ভাবনা থেকে যায়।
শ্রেণীবিন্যাসের মাধ্যমে অবিন্যস্ত উপাত্তরসমূহ আবার অতি সহজেই আমরা বিন্যস্ত উপাতে রূপান্তরিত করতে পারি এবং গণসংখ্যা সরনের সাহায্যে সেগুলো উপস্থাপন করতে পারি। তাই আমাদের অবশ্যই গণসংখ্যার নিবেশন সারণির মাধ্যমে যদি উপাত্ত গুলি সাজিয়ে থাকি তাহলে অবশ্যই সেগুলি খুব সহজেই করা যায়। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি বারবার ভিজিট করবেন কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে শিক্ষা বিষয়ক স্বাস্থ্য বিষয়ক সকল ধরনের তথ্য উপপাদ্য গুলি আমরা অত্যন্ত সুন্দর সহজ সরল ভাষায় প্রকাশ করে থাকি। তাই আমাদের প্রকাশিত তথ্যগুলি আপনাদের অবশ্যই উপকারে আসবে বলে আমাদের চিন্তাভাবনা।
তাই যদি আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি বারবার ভিজিট করে এবং আমাদের দেওয়া তথ্যগুলি আপনারা দেখতে পারেন দেখে থাকেন তাহলে আপনাদের এবং আমাদের উভয়েরই একটি উপকার হয় বলে মনে করা যেতে পারে। তাহলে আমরা এখন দেখতে পারি তথ্য উপাত্ত কাকে বলে?
উপাত্ত: উপাত্ত বলতে এমন কিছু তথ্য কে বোঝায় যা নির্দিষ্ট কোন চলকের বা গুণগত মান ও পরিমাণকে বুঝিয়ে থাকে।