আমরা রসায়ন বিজ্ঞানে একাধিক মৌলের কতিপয় পরমাণু বা আয়ন পরস্পরের সাথে মিলিত হয়ে ধনাত্মক বার ঋণাত্মক আধান বিশিষ্ট একটি পরমাণুগুচ্ছ তৈরি করে সে সম্পর্কে আমরা জানি। তবে এই পরমাণুগুচ্ছ একটি মৌলের আয়নের ন্যায় আচরণ করে। আর আওনের নাই এ ধরনের আচরণ করলে পরমাণুর গুচ্ছ কে যৌগমূলক বলা হয়। যৌগমূলক ধনাত্মক এবং ঋণাত্মক আধান বিশিষ্ট দুটিই হতে পারে। অর্থাৎ এদের আধান সংখ্যায় মূলত এদের যোজনী সংখ্যা নির্দেশ করে। অর্থাৎ আমরা যদি একটি নাইট্রোজেন পরমাণুর সাথে তিনটি হাইড্রোজেন পরমাণু ও একটি হাইড্রোজেন আয়ন যুক্ত হয়ে কি তৈরি হয় সেটার দিকে দেখি তাহলে আমরা দেখব অ্যামোনিয়াম ধনাত্মক কারণ নামক যৌগমূলক এর সৃষ্টি হয়ে থাকে। তাই আমরা বলতে পারি যে আধান সংখ্যা অর্থাৎ অ্যামোনিয়ার আদান সংখ্যা হল প্লাস ওয়ান। সুতরাং অ্যামোনিয়ার যোজনীয় হবে এক।
আধান বা চার্স ধনাত্মক বা ঋণাত্মক হতে পারে কিন্তু যোজনী শুধু একটি সংখ্যা এর কোন ধনাত্মক চিহ্ন বা ঋণাত্মক চিহ্ন হয় না। তাই বলা যেতে পারে যে পরমাণু বা মূলক কোনো যোগাযোগের অণুতে বিদ্যমান থেকে কার্যত তার ধর্ম ও বিক্রিয়া নির্ধারণ করে থাকে তাহলে তাকে ওই যোগের কার্যকরী মূলক বলা হয়। উদাহরণ হিসেবে আমরা অ্যালকোহল এবং এসিড এর কার্যকারী মূলক এখানে উপস্থাপন করতে পারি। তাহলে আমরা অ্যালকোহলের কার্যকরী মূলক – OH এবং জৈব এসিড এর কার্যকরী মূলক- COOH. । আমরা জানি একাধিক মৌলের কতিপয় পরমাণু বা আয়ন পরস্পরের সাথে মিলিত হয়ে ধনাত্মক বা ঋণাত্মক প্রাধান বিশিষ্ট একটি পরমাণু গুচ্ছ তৈরি করে এবং এটি মৌলের আয়নের নয় আচরণ করে এবং এ ধরনের পরমাণুর গুচ্ছ কে আমরা যৌগমূলক বলে থাকি।
যৌগমূলক ধনাত্মক কিংবা অধিদপ্তাতে আধান বিশিষ্ট হতে পারে। এদের আধান সংখ্যায় মূলত এদের যোজনী নির্দেশ করে থাকে। পানির অনুর রাসায়নিক সংকেত হল H2O . সুতরাং মৌল বা যৌগমূলক এর প্রতীক বা সংকেত এবং তাদের সংখ্যার মাধ্যমে যদি কোন যৌগ অণুকে প্রকাশ করি তাহলে উক্ত যৌগের রাসায়নিক সংকেত এর ক্ষেত্রে অনুর মধ্যে অবস্থিত মৌলের বা দ্রব্যমূলকের সংখ্যাকে সংকেতের নিচে ডান পাশে ছোট করে লিখতে হয়। তাই যৌগ যৌগের ধর্ম ও বিক্রিয়া কার্বন ও হাইড্রোজেন দ্বারা গঠিত কাঠামো অপেক্ষা যৌগের সক্রিয় পরমাণু বা মূলকের ওপর অধিকতর নির্ভরশীল হয়ে থাকে। এ কারণে এসব পরমাণু বা মূলক যৌগের কার্যকারী মূলক হিসেবে অভিহিত হয়ে থাকে।
অর্থাৎ কোন যৌগের অনুপস্থিতিতে যে পরমাণু বা মূলক ওই যৌগের রাসায়নিক ধর্ম কার্যকর ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তাকে ওই যৌগের তথা যৌগ শ্রেণীর কার্যকরী মূলক বলা হয়। যেমন উদাহরণ হিসেবে আমরা বলতে পারি যে জৈব এসিডের কার্যকারী মূলক হলো কার্বক্সিল মূলক। এটিকে লেখা যায় -COOH । আবার বিভিন্ন সমগোত্রীয় শ্রেণীর নাম সংকেত এবং সম গোত্রের উদাহরণ হতে পারে। তাহলে আমরা কার্যকরী মূলক সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আমাদের এই পোস্টে তুলে ধরলাম। এখান থেকে অবশ্যই আপনারা কার্যকারী মূলক সম্পর্কে আপনাদের ধারণা স্পষ্ট হয়েছে আশা করি। তাহলে এখন আমরা কার্যকরী মূলক কাকে বলে সেটি আপনাদের বলতে পারি। তাহলে চলুন দেখা যাক কার্যকরী মূলক কি বা কার্যকারী মূলক কাকে বলে?
কার্যকরী মূলক: যে সকল পরমাণু বা পরমাণুগুচ্ছ বা মূলক কোনো যোগাযোগের অনুর মধ্যে উপস্থিত থেকে ওই জৈব শ্রেণীর ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম নির্ধারণ করে তাদেরকে সাধারণ অর্থে কার্যকরী মূলক বলা হয়। কার্যকরী মূলক সম্পর্কিত উদাহরণ আমরা এর আগেই দিয়েছি তারপরেও আবারও দেওয়ার চেষ্টা করছি। যেমন অ্যালকোহলের কার্যকরী মূলক হল হাইড্রোক্সিল মূলক –OH. এবং ফ্যাটি এসিডের কার্যকারী মূলক হলো কার্বক্সিল মূলক –COOH ইত্যাদি ।