আমাদের পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ এবং প্রাণী বাস করে থাকে। এদের আকার আকৃতি এবং বৈশিষ্ট্য ভিন্নতর হয়ে থাকে এবং এদের জীবনযাত্রা মান বিভিন্ন হয়ে থাকে। বিভিন্ন প্রাণীর জীবনধারা স্বভাব খাদ্য ও খাদ্য গ্রহণ পদ্ধতি ও আলাদা হয়। প্রত্যেকটি উদ্ভিদ এবং প্রাণীকে বেঁচে থাকতে হলে উদ্ভিদ এবং প্রাণীর উভয়কেই খাদ্য গ্রহণ করতে হয়। উদ্ভিদ এবং প্রাণী এবং বিভিন্ন প্রাণীর ও খাদ্য গ্রহণ প্রক্রিয়া আলাদা আলাদা হয়। মানব দেহকে সুস্থ রাখার জন্য সবল রাখার জন্য অবশ্যই খাদ্য অপরিহার্য। খাদ্য না খেলে শরীরের তাপমাত্রা কমে যাবে বা বেঁচে থাকতে পারা যাবে না।
খাদ্য গ্রহণ করার ফলে শরীরের সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলি সুষ্ঠুভাবে কাজ করে। আমাদের খাদ্য বিভিন্ন রকমের হয় যেমন আমি শর্করা তেল ও চর্বি ইত্যাদি যোগাযোগ আমরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করি। আর এ সকল খাদ্য থেকে আমরা পুষ্টি পাই বলেই সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতে পারি। বিভিন্ন ইঞ্জিন চালানোর জন্য আমরা জানি সেই ইঞ্জিনে অবশ্যই জ্বালানি দিতে হয় সেই জ্বালানি হতে পারে কয়লা ডিজেল পেট্রোল প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি তেমনিভাবে আমাদের শরীরটাও একটি ইঞ্জিনের মতোই কাজ করে।
তাই আমাদের শরীরেও জ্বালানি দিতে হয় আমাদের এই জালানটি অবশ্যই খাদ্য হিসেবে আমরা খাই এবং সেখান থেকে তাপ শক্তি উৎপাদন হলে শরীরের তাপমাত্রা ঠিক থাকবে, এবং শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলি ভালোভাবে চলতে পারবে। তাই বলা যায় যে মানব দেহের শক্তি আসলে খাদ্য থেকেই পেয়ে থাকি। আর এই শক্তি দিয়ে ই আমাদের শরীরের মেশিন বা ইঞ্জিন চলতে থাকবে। তবে আমরা যে ধরনের খাদ্য খাই সেই খাদ্য গুলি আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যেন পুষ্টিমান ঠিক থাকে। পষ্টিমান ঠিক না থাকলে শরীর ঠিকমতো চলবে না এবং বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষয়প্রাপ্ত হতে থাকবে। এক সময় দেখা যাবে যে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলি আর ঠিকমতো কাজ করছে না। এই কারণে আমরা যখন খাদ্য খাব সেই খাদ্য গুলির অবশ্যই পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। খাদ্যের প্রকৃতি বলতে এটা কি মিশ্র খাদ্য নাকি বিশুদ্ধ খাদ্য তাকে বোঝায়। মিশ্র খাদ্যে একের অধিক পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান থাকে। এই কারণে মানব দেহে মিশ্র খাদ্য খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
এই মিশ্র খাদ্য গুলি হল দুধ ডিম খিচুড়ি পেয়ারা ইত্যাদি। এ ধরনের খাদ্য একটির মধ্যে অনেক ধরনের পুষ্টিগুণ থাকায় একটি খাদ্যে আমরা অনেক রকম পুষ্টিগুণ পেয়ে থাকি। আবার অন্যদিকে বিশুদ্ধ খাদ্যে শুধুমাত্র একটি উপাদানই থাকে। যেমন চিনি গ্লুকোজ এগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র শর্করা ছাড়া আর কোন উপাদান বা খাদ্য উপাদান থাকে না। খাদ্য অনেকগুলো রাসায়নিক উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত হয়ে থাকে। তাই এর রাসানিক উপাদান গুলো খাদ্য উপাদান বলা হয়। কেবলমাত্র একটি উপাদান নিয়ে গঠিত এমন খাদ্যবস্তুর সংখ্যা খুবই কম হয়ে থাকে। এ ধরনের খাদ্য প্রকৃতিদের এর সংখ্যা খুবই কম। উপাদান অনুযায়ী খাদ্যবস্তুকে আমরা তিন ভাগে ভাগ করতে পারি।
এই তিন ভাগ গুলি হল যথাক্রমে-
১. আমিষ বা প্রোটিন: এটি দেহের ক্ষয় পূরণ বৃদ্ধি সাধন এবং দেহ গঠনে সাহায্য করে থাকে তাই আমিষ দেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাদ্য উপাদান।
২. শর্করা বা শ্বেতসার: শক্তি উৎপাদন করে থাকে এই প্রকার খাদ্যে। তাই এটিও আমাদের শরীরের জন্য উপকারী খাদ্য উপাদান।
৩. স্নেহ বা চর্বি: এই প্রকার খাদ্যে দেহের তাপ এবং শক্তি উৎপাদন করে। দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলি ঠিকভাবে কাজ করার জন্য শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা বা তাপমাত্রা উৎপাদন হওয়া অত্যন্ত জরুরি বিষয় এই কারণে এই প্রকার খাদ্য শরীরকে খুব উপযোগী শক্তি প্রদান করে থাকে।
খাদ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্যই এখানে উপস্থাপন করা হলো তাহলে আসুন দেখা যাক খাদ্য কাকে বলে?
খাদ্য: খাদ্য বলতে সেই সকল জৈব উপাদান কে বোঝায় যেগুলো জীবের দেহ গঠন হয় পূরণ ও শক্তি উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। এবং এই খাদ্য থেকেই জীব পুষ্টি লাভ করে থাকে।