ক্ষেত্রফল কাকে বলে

সকল নির্দিষ্ট জায়গাটি একটি পরিমাপ রয়েছে। এই সকল নির্দিষ্ট জায়গার পরিমাপকে ক্ষেত্রফল বলা হয়। ক্ষেত্রফল অর্থ হল সেই জায়গাটির দৈর্ঘ্যের পরিমাপ গুণ প্রস্থের পরিমাপ। তবে ক্ষেত্রফল বিভিন্ন আকৃতির বস্তুর হতে পারে। তাই শুধু দৈর্ঘ্যের এবং প্রস্থের পরিমাপ গুণ করলেই ক্ষেত্রফল পাওয়া যাবে এমন নয়। বিভিন্ন ধরনের জ্যামিতিক চিত্র রয়েছে এবং এদের ক্ষেত্রফলও ভিন্ন ভিন্ন। অর্থাৎ ভিন্ন ভিন্ন জ্যামিতিক আকৃতির জন্য ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রফলের সূত্র রয়েছে। আমাদের দেখতে হবে কোন ধরনের জ্যামিতিক আকৃতির ক্ষেত্রফল বা ক্ষেত্রফলের সূত্র কোনটি। আমরা এটুকুন বুঝতে পেরেছি যে কোন নির্দিষ্ট জায়গার মোট পরিমানকেই ওই জায়গাটির ক্ষেত্রফল বলে চিহ্নিত করা হয়।

তাই জায়গাটি যদি বর্গকক আকৃতির হয় তাহলে ক্ষেত্রফল একরকম হবে এবং আয়তাকৃতির হলে তার ক্ষেত্রে ফল বা ক্ষেত্রফলের সূত্র আলাদা রকম হবে। এরকম ভাবে আমাদের দেখতে হবে যে কোন ধরনের ক্ষেত্রে কি কি ক্ষেত্রফল হবে। আমরা জানি যদি কোন জমি বর্গাকৃতি হয় অর্থাৎ দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থর পরিমাপ সমান হয় তাহলে ওই জমির ক্ষেত্রে ফল হবে বাহু গুন-বাহু অর্থাৎ এক বাহুর দৈর্ঘ্যের বর্গ করলেই সেই জমির ক্ষেত্রফল আমরা পাব। বাহুবল বাহু সমান ক্ষেত্রফল। আবার কোন জমি যদি আয় থাকার হয়ে থাকে তাহলে আয় থাকার ক্ষেত্রে ক্ষেত্রফল হবে দৈর্ঘ্য গুণ প্রস্থ। যদি ওই নির্দিষ্ট জমির দৈর্ঘ্য ৩০ মিটার এবং প্রস্থ ২৫ মিটার হয় তাহলে সেই জমির ক্ষেত্রফল হবে ৭৫০ বর্গমিটার।

এইভাবে আমরা বিভিন্ন আকৃতির জমির ক্ষেত্রফল নির্ণয় করতে পারি। তবে জমিটি যদি আবার মিথ্যা কার হয় তাহলে ও সে জমির ক্ষেত্রফল হবে =πr2 বর্গ একক। তবে বৃত্তাকার জমির ক্ষেত্রে সেই বৃত্তের ব্যাসার্ধ আমাদের আবার জানতে হবে। তবেই ওই বৃত্তাকার জমির ক্ষেত্রফল আমরা নির্ণয় করতে পারব। ক্ষেত্রফল হল কোন বস্তুর দ্বিমাত্রিক অবস্থান। কোন দ্বিমাত্রিক জায়গার দখল কিছু স্থানের পরিমাণ জানার জন্য ওই জায়গার দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ এর গুণফল হবে ওই নির্দিষ্ট জায়গায় মোট পরিমাণ। আর এই মত পরিমাণটি হল ওই দ্বিমাত্রিক দখলকৃত অংশটির ক্ষেত্রফল। তবে এটি আমরা আগেই বোঝানোর জন্য আপনাদের বিভিন্নভাবে বলে রেখেছিলাম। ক্ষেত্রফল কে বর্গ এককে প্রকাশ করা হয়।

এবং সব ক্ষেত্রফলী বর্গ একক হবে এটি আমাদের জেনে রাখতে হবে অবশ্যই। অর্থাৎ ক্ষেত্রফল হবে বর্গ ইঞ্চি বর্গফুট বর্গমিটার বর্গ কিলোমিটার ইত্যাদি। আমরা এই পরিমাপ সম্পর্কে অর্থাৎ এই ধরনের ক্ষেত্রফল পরিমাপ সম্পর্কে এতক্ষণ যা বললাম তা অবশ্যই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগবে। কারণ আমাদের বাস্তবিক জীবনে সব সময় বিভিন্ন ধরনের ক্ষেত্রফল পরিমাপ করতে হয়। তাই যদি আমরা ক্ষেত্রফলের পরিমাপ সম্পর্কে আমাদের সঠিক ধারণা থাকে তাহলেই আমরা সেই বস্তুটি র বা জিনিসটির ক্ষেত্রফল পরিমাপ আমরা সঠিকভাবে করতে পারব। তাই প্রত্যেকেরই উচিত হবে ক্ষেত্রফলের পরিমাপ সম্পর্কিত বিষয়টি ভালোভাবে জেনে রাখা।

আর আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে যে ধরনের তথ্য উপাত্ত এর প্রয়োজন হয় এর সবগুলোই আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে পেয়ে যেতে পারবেন। কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনের সকল তথ্য আমরা অত্যন্ত যত্নের সহিত শুদ্ধ ভাষায় প্রকাশ করে থাকি। তাই আপনারা আপনাদের প্রয়োজনীয় যাবতীয় তথ্যগুলি আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে দেখে নিতে পারবেন অনায়াসেই। আবার আমাদের ওয়েবসাইট াইটটি থেকে আপনারা আপনাদের প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত গুলি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। ডাউনলোড করে নিতে আপনাদের আলাদা কোন অর্থের বা চার্জ প্রযোজ্য হবে না। আজকে আমরা ক্ষেত্রফল সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তথ্য উপাত্ত এবং ক্ষেত্রফলের সংজ্ঞা ইত্যাদি এই পোস্ট থেকে দেখে নিতে পারলাম। তাই যেকোন প্রয়োজনে বা বাস্তবিক প্রয়োজনের আমরা এখন ক্ষেত্রফল সম্পর্কে ভালো ধারণা পেয়েছি।

তাহলে চলুন দেখা যাক ক্ষেত্রফল কাকে বলে? ক্ষেত্রফল: ক্ষেত্রফল হল: একটি সমতল আকৃতি বা বস্তুর পৃষ্ঠ দ্বারা দখলকৃত স্থান।
ক্ষেত্রফল হল একটি দ্বি-মাত্রিক চিত্র দ্বারা দখলকৃত স্থানের পরিমাণ।
এটি এমন পরিমাণ যা একটি বদ্ধ চিত্রের পৃষ্ঠকে আচ্ছাদিত একক বর্গক্ষেত্রের সংখ্যা পরিমাপ করে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *