স্থুলকোণ কাকে বলে

দুইটি সরলরেখা বা রেখাংশ যখন কোন একটি বিন্দুতে ছেদ করে তাহলে একটি জ্যামিতিক চিত্র তৈরি হয় জ্যামিতিক এই চিত্রটির নামই হচ্ছে কোণ। জ্যামিতিক চিত্রের প্রথমে আমরা কোন সম্পর্কে অবগত হয়। কারণ কোণ কাকে বলে এই সম্পর্কে আমাদের অনেক আগেই ধারণা হয়ে গেছে। কারণ আমাদের প্রাথমিক শিক্ষার সময়েই জ্যামিতিক চিত্র কোন সম্পর্কে অবগত হতে হয়। তাই আমরা কোন সম্পর্কে আজকে জানার আগে জ্যামিতি কাকে বলে বা জ্যামিতিক চিত্রের ধারণা করতে গিয়ে এসেছে এ সম্পর্কে কিছু ধারনা জেনে নিতে হবে।

ধারণা করা হয় মিশরীয় সভ্যতায় প্রথম জ্যামিতির সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয় বা উৎপত্তি হয় মিশর থেকে। সেখানকার সভ্যতা বা আরো যে সভ্যতা গুলি রয়েছে সেই সভ্যতা গুলি যদি আমরা রোজার বিশ্লেষণ করে দেখি তাহলে দেখা যায় যে সে সময়কার নগরের নকশাগুলি অথবা ঘরবাড়ি তৈরির যে নকশা গুলি ছিল সেগুলি বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে তাদের মধ্যে অবশ্যই জ্যামিতিক জ্ঞান ছিল এই কারণে তাদের সেই নকশা গুলি এত নির্ভুল।

সেইসব নগর পরিকল্পনায় তাদের জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থাও ছিল তাদের সেই নগর সভ্যতায়। তাই আমরা এ কথা বলতে পারি যে জ্যামিতিক ধারণা গুলি অনেক প্রাচীনকাল থেকেই চলে এসেছে। আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৩০০ অব্দি গ্রীক পন্ডিত ইউক্লিড জ্যামিতির কৃতদাস্ত বিক্ষিপ্ত সূত্রগুলোকে বিধিবদ্ধভাবে সুবর্ণস্ত করে তার বিখ্যাত গ্রন্থ ইলিমেন্টস রচনা করেন। এই এলিমেন্টস ১৩ খন্ড সম্পন্ন কালোত্তীর্ণ এই গ্রন্থটি আধুনিক জ্যামিতির ভিত্তি স্বরূপ বলে ধরা হয়। একই সমতলে দুইটি রশ্মির ভ্রান্ত বৃন্দ একই হলে সেটি কোণ তৈরি হয়। অর্থাৎ দুইটি রশ্মি কে কোণের বাহু এবং এদের সাধারণ বিন্দুকে শীর্ষবিন্দু বলা হয়। জ্যামিতিতে বিভিন্ন ধরনের কোণ উৎপন্ন হয়। যেমন সরল কোন সন্নিহিত কোণ লম্ব বা সমকোণ সূক্ষ্মকোণ, স্থূলকোণ, প্রবৃদ্ধ কোণ, পূরক কোণ, সম্পূরক কোণ, বিপ্রতীপ কোণ, ইত্যাদি।

কিন্তু আজ আমাদের দেখাতে হবে যে স্থূলকোণ কাকে বলে? কিন্তু এই স্থূলকোণ সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের অন্যান্য কোন সম্পর্কে জানা অবশ্যই উচিত।
সরল কোণ: দুইটি পরস্পর বিপরীত রশ্মি এদের সাধারণ প্রান্ত বিন্দুতে যে কোন উৎপন্ন করে তাকে সরল কোণ বলা হয়।
সন্নিহিত কোণ: যদি সমতলে দুইটি কোণের একই শীর্ষবিন্দু হয় ও এদের একটি সাধারন রশ্মি থাকে এবং কোন দল সাধারণ রশ্মির বিপরীত পাশে অবস্থান করে তবে ঐ কোণদ্বয়কে সন্নিহিত কোণ বলে।

লম্ব বা সমকোণ: যদি একই রেখার উপর অবস্থিত দুটি সন্নিহিত কোণ পরস্পর সমান হয় তবে কোন দুইটির প্রত্যেকটিকে একটি অপরটির সমকোণ বলা হয়।

সূক্ষ্মকোণ: যে কনের পরিমাপ এক সমকোণ এর চাইতে ছোট তাকে সূক্ষ্মকোণ বলে।
প্রবৃদ্ধ কোণ: দুই সমকোণ থেকে বড় কিন্তু চার সমকোণ থেকে ছোট কোণকে প্রবৃদ্ধ কোণ বলা হয়।
পূরক কোণ: দুইটি কোণের পরিমাপের যোগফল এক সমকোণ হলে কোন দুইটির একটি অপরটির পূরক কোণ।
সম্পূরক কোণ: দুইটি কোণের পরিমাপের যোগফল সমকোণ হলে কোন দুইটি পরস্পর সম্পূরক কোণ।
বিপ্রতীপ কোণ: কোন কোণের বাহুদ্বয়ের ভিত্তরিত হয় যে কোন তৈরি করে তা ওই কোণের বিপ্রতিপ কোণ হয়।
তাহলে আমরা জ্যামিতিক চিত্রের বিভিন্ন কোন সম্পর্কে এখানে অবগত হলাম।

তাহলে এখন আমরা দেখতে পারি বা দেখা যেতে পারে যে স্থূলকোণ কাকে বলে এবং স্থূলকোণ কি এই সম্পর্কে। যেহেতু আমাদের বিভিন্ন কোন সম্পর্কে ধারণা হয়েছে তাহলে অবশ্যই আমরা এখন স্থূলকোণ কি সেটি অবশ্যই পাততে পারি। তারপরেও আমরা স্থূলকোণের একটি সংজ্ঞা দিতে পারি। তাহলে চলুন দেখা যাক স্থুলকোণ কাকে বলে।

স্থূলকোণ: এক সমকোণ এর চাইতে বড় কোণকে স্থূল কোণ
বলে।

আপনারা আমাদের ওয়েব সাইটটি ভিজিট করতে পারেন কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে শিক্ষা বিষয়ক সকল ধরনের প্রশ্নের উত্তর আমরা প্রকাশ করে থাকি। তাই আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে এখান থেকে আপনাদের প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তরটি দেখে নিতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *