উদ্যোক্তা কাকে বলে

উদ্যোক্তা বলতে এমন কাউকে বোঝানো হয় যে নবীন কোন ব্যক্তি ব্যবসায় নিজের চেষ্টায় বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখে বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে সফলভাবে পরিচালনা করার স্বপ্ন দেখে তাকেই উদ্যোক্তা বলা হয়। আমাদের এই সমাজে অনেক উদ্যোক্তা রয়েছে যারা নিজের কর্মদক্ষতা এবং মেধা দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতি সাধন করে। অর্থাৎ একজন ব্যক্তি তার ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে এবং সেখান থেকে উনিও বেশ কিছু আয় রোজগার করে থাকেন। এই সকল সফল উদ্যোক্তারা দেশের জন্য গর্ব হয়ে থাকে সমাজের জন্য গর্ব হয়ে থাকে। কারণ তারা নিজেরা বাঁচে এবং অন্যদেরকে বাঁচানোর স্বপ্ন দেখে।

অর্থাৎ নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বারানোর সাথে সাথে সে অন্যজনেরও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়। তাই আমাদের এই সমাজে সফল উদ্যোক্তাদের বা উদ্যোক্তাদের পদমর্যাদা বা মর্যাদা দিয়ে থাকে সমাজের সকলেই। উদ্যোক্তাকে আমরা অনেকভাবে সংজ্ঞায়িত করতে পারি। যেমন বলা যেতে পারে যে ব্যক্তি একটি নতুন ব্যবস্থায় উদ্যোগ শুরু করে নিজে ঝুঁকি নিয়ে সেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে পরিচালনা করতে থাকে তাকেই উদ্যোক্তা বলা যেতে পারে। আবার বলা যায় যিনি তার আত্মকর্মসংস্থানের জন্য নিজের কর্মসংস্থানের জন্য চিন্তা করে নতুন কোন কাজ হাত দেন তখন ওই ব্যক্তিকে উদ্যোক্তা বলা হয়ে থাকে। তাই বর্তমান প্রজন্মদের কাছে একজন সফল উদ্যোক্তা অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে থাকে। কারণটা হলো সে নিজে তার কর্মসংস্থান করে এবং অন্যের জন্যও কর্মসংস্থান এর সুযোগ করে দেওয়ার কারণে মানুষ এর কাছে তিনি অবশ্যই প্রিয় ব্যক্তি হয়ে ওঠেন।

আমরাও চাই এ ধরনের উদ্যোক্তাদের সরকার যেন সাহায্য সহযোগিতা করে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে বাড়ানোর সুযোগ করে দেয়। কারণ এ ধরনের ব্যক্তিরা নিজে বড় হয় এবং অন্যজনকেও সাথে নাই। তাই এ ধরনের সফল ব্যক্তিত্বদের সমাজে গর্বের সঙ্গে বেঁচে থাকে। আর এই ধরনের সফল উদ্যোক্তা আমাদের সমাজের জন্যও প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ আমাদের এই ঘন বসতিপূর্ণ জনবহুল দেশে কর্মসংস্থানের খুবই অভাব। আর এই অভাব পূরণ করার জন্য যদি কেউ এগিয়ে আসে তাহলে তাদেরকে অবশ্যই সামনে এগিয়ে যাওয়া খুবই জরুরী বলে মনে করা হয়। আবার একজন উদ্যোক্তা তার ব্যবসার ঝুঁকি সে বহন করতে পারে এ কারণেই এসব ঝুঁকি নিয়ে তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালিয়েই একসময় বড় হয় এ কারণেই তাদেরকে সফল উদ্যোক্তা বলা হয়ে থাকে। উদ্যোগ নেওয়া বিষয়টা যে কোন ক্ষেত্রেই হতে পারে। তবে বিষয়টি হতে হবে অবশ্যই মুনাফা অর্জনের জন্য উদ্দেশ্য হতে হবে এবং সেখানে ঝুঁকি থাকবে সেই ঝুঁকি কেউ সামলে নিতে হবে।

অর্থাৎ যে কোন ব্যবসাতেই ঝুঁকি থাকে এবং এ বিষয়টি উদ্যোক্তাদের মাথায় অবশ্যই থাকে। ঝুঁকি নিয়েই তাদের ব্যবসায় এগিয়ে যেতে হয়। যেকোনো সুস্থ মস্তিষ্কের ব্যক্তি উদ্যোক্তা হতে পারে। যিনি ব্যবসার উদ্যোগ গ্রহণ করে তিনিই উদ্যোক্তা। তাই আমরা চোখ মেলেই দেখতে পাই যে ক্ষুদ্র হোক স্বল্প হোক বা বৃহৎ হোক যেসব ব্যক্তিরা ব্যবসায়ের উদ্যোগ গ্রহণ করে তাদেরকেই আমরা উদ্যোক্তা বলতে পারি। আমাদের এই ঘনবসতিপূর্ণ জনসংখ্যার দেশে দক্ষ জনশক্তি অবশ্যই আমাদের কাম্য। ৮১০০ জনশক্তি গড়ে উঠবে তখনই যখন একজন দক্ষ লোকের হাতে পড়বে। তাই আমাদের দক্ষ জনশক্তি বৃদ্ধি করতে হলে অবশ্যই দক্ষ উদ্যোক্তার প্রয়োজন হবে। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন কারণ আমাদের ওয়েবসাইটটিতে শিক্ষা সংক্রান্ত যেকোনো ধরনের তথ্য পাওয়া যায়।

আর এই তথ্যগুলি পেতেই আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি বারবার ভিজিট করবেন এবং প্রয়োজনে আপনারা সবাই আমাদের এখান থেকে আপনার প্রয়োজনীয় সকল তথ্যগুলি দেখে নিতে পারবেন। আমাদের এখান থেকে প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোড করে নেওয়া যায়। ডাউনলোড করে নিতে আপনাদের আলাদা কোন অর্থের ও প্রয়োজন হবে না। তাহলে চলুন দেখা যাক উদ্যোক্তা কাকে বলে?

উদ্যোক্তা: উদ্যোক্তা হলো এমন একজন ব্যক্তি যিনি তার কর্মসংস্থানের জন্য নতুন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। একজন উদ্যোক্তা ব্যবসায়ের ঝুঁকি বহন করে এবং ব্যবসায়ের সম্পূর্ণ মুনাফা একা ভোগ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *