সভ্যতার বিকাশের সাথে সাথে বেশি সংখ্যক প্রাণী বা দ্রব্যের হিসাব রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রতীকের প্রয়োজন দেখা দিয়েছিল। সেখান থেকে গণনার জন্ম হয় এবং ক্রমান্বয়ে সৃষ্টি হয় এখনকার ব্যবহৃত সংখ্যা প্রতীকের। আমরা এর আগেও বলেছি যে গণিতে মোট দশটি প্রতীক বা অংক রয়েছে এবং এসব অংক দ্বারাই বিভিন্ন সংখ্যা তৈরি করা হয়ে থাকে। এই প্রতীকগুলি হলো আমরা জানি যে শূন্য এক দুই তিন চার পাঁচ ছয় সাত আট এবং নয় অংকটি। এবং এই দশটি অংক ব্যবহার করেই আমরা পৃথিবীতে যত অংক আছে বা সংখ্যা আছে সবগুলি লিখে দিতে পারি এই অংক কয়টি ব্যবহার করেই।
তবে পৃথিবীতে এই সংখ্যাগুলি যে একবারে এভাবেই এসেছিল এমনটি নয়। মানুষের সংখ্যার বিভিন্ন ধারণা হতে বিভিন্ন পদ্ধতি থেকে বুঝে ওঠার পর আমাদের এই ভারতীয় উপমহাদেশের গণিতবিদ আর্যভট্ট এই সংখ্যাগুলি তৈরি করেছিল। অর্থাৎ দশমিক পদ্ধতির যে ব্যবহার তা প্রথম আর্যভট্ট আবিষ্কার করেছিলেন। এবং সেখান থেকে আমাদের বর্তমান অবস্থার সংখ্যা গুলি আমরা পেয়ে থাকি।
আমাদের আজকের দেখাতে হবে পূর্ণবর্গ সংখ্যা কি। আমরা জানি যে কোন সংখ্যাকে ওই সংখ্যা দ্বারা গুণ করলে একটি সংখ্যা পাওয়া যায়। অর্থাৎ কোন সংখ্যা দিয়ে ঐ সংখ্যাকে গুণ করলে হয় সেই সংখ্যাটির বর্গ। অর্থাৎ ২ এর বর্গ হলো চার। চার এর বর্গ ১৬ এবং ৬ এর বর্গ ৩৬। এই ধরনের সংখ্যাগুলিকে বর্গ সংখ্যা বলা হয়। এখন কথা হচ্ছে যে পূর্ণবর্গ সংখ্যা কাকে বলে। বিভিন্ন সংখ্যার ধারণা থেকে আমরা এই ধরনের সংখ্যা পেয়েছি। আবার আমরা এটিও দেখেছি যে দশমিক সংখ্যা ধারণা প্রথমে আমাদের এই ভারতীয় উপমহাদেশ থেকেই আবিষ্কৃত হয়। এবং এই আবিষ্কারটি যে ভারতীয় গণিতবিদ আর্য ভট্ট করেছিলেন সেটিও আমরা জেনেছি ইতিমধ্যেই।তাই আমাদের এই ভারতীয় গণিতবিদ আর্যভট্ট সংখা ব্যবহার বা বর্তমান সভ্যতায় গণিতকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিরাট ভূমিকা পালন করেছেন।
হয়তো তিনি এই ধরনের সংখ্যা আবিষ্কার না করলে আমাদের যে এই দশটি অংক দিয়ে বিভিন্ন অংক বা সংখ্যা তৈরি করা যায় সেই ধারণাটি হয়তো আমরা জানতেই পারতাম না। সে দিক থেকে বিবেচনা করলে আমাদের সভ্যতার জন্য বা এই ভারতীয় উপমহাদেশীয় সভ্যতার ক্ষেত্রে আর্যভট্ট আমাদেরকে অনেক এগিয়ে দিয়েছেন। তারপর থেকে আমাদের এই গণিতশাস্ত্রে সংখ্যা লিখতে আর কোন ধরনের অসুবিধায় পড়তে হয় নি। পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের সংখ্যায় পাওয়া যায় সে সকল সংখ্যার মধ্যে আমাদের এই ভারতীয় গণিতবিদের আবিষ্কৃত সংখ্যাটি সমানতালে আধুনিক সভ্যতার চলে যাচ্ছে। সংখ্যা সম্পর্কে বিভিন্ন ধারণা দেওয়ার পর আমরা এখন অবশ্যই বলতে পারি পূর্ণবর্গ সংখ্যা কাকে বলে। ইতিমধ্যেই আমরা এটুকুন বলেছি যে বর্গ সংখ্যা কি। যদি কোন সংখ্যা ওই সংখ্যা দাঁড়ায় গুণ করা হয় তাহলে যে সংখ্যা পাওয়া যায় তাকেই আমরা বর্গ সংখ্যা বা পূর্ণবর্গ সংখ্যা বলতে পারি।
যেমন উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে- দুইকে দুই দ্বারা গুণ করলে যে ৪ হয়, এবং সেই চারই হল ২ এর বর্গ সংখ্যা। আবার যদি দেখা যায় যে ৩ এর সাথে তিন গুণ করলে ৯ হয়। এই নয় সংখ্যাটি ৩ এর বর্গ সংখ্যা বা পূর্ণবর্গ সংখ্যা। তাই আমরা বলতে পারি যে কোন সংখ্যাকে ওই সংখ্যা দ্বারা গুণ করলে যে সংখ্যা পাওয়া যায় তাকে পূর্ণবর্গ সংখ্যা বলা হয়। আমরা আমাদের এই লেখায় আপনাদের সংখ্যা এবং পূর্ণবর্গ সংখ্যা বা বর্গ সংখ্যা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম।
এই বর্ণনা থেকে এখন আপনারা অবশ্যই পূর্ণবর্গ সংখ্যা কাকে বলে সে সম্পর্কে সম্যক ধারণা অবশ্যই আপনারা পেয়েছেন বলে আশা রাখি। তাই আপনারা এখন পূর্ণবর্গ সংখ্যা কি এবং কাকে বলে এ কথাটির বুঝে নিলেন আমাদের এই পোস্ট পড়ে। পরিশেষে বলা যায় যে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি বার বার ভিজিট করুন এবং আমাদের পাশে থাকুন।