সমকোণী ত্রিভুজ কাকে বলে

আমরা জানি তিন বাহু দ্বারা সীমাবদ্ধ সমতল ক্ষেত্রকে ত্রিভুজ বলে। ত্রিভুজ বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। আজকে আমাদের দেখাতে হবে সমকোণী ত্রিভুজ কাকে বলে। জ্যামিতি শব্দের অর্থ হলো- জ্যা শব্দের অর্থ ভূমি এবং মিতি শব্দের অর্থ পরিমাপ। তাই বলা যায় জ্যামিতি শব্দের অর্থ হলো ভূমির পরিমাপ। ধারণা করা হয় যে প্রাচীন মিশরে বিভিন্ন আকারের বস্তুর পরিমাপ করার জন্য অথবা ভূমির পরিমাপ করার জন্য এই জ্যামিতিবিদ্যার উদ্ভব হয়েছিল। শুধু প্রাচীন মিশরেই নয় আমরা যদি আদিম বিভিন্ন সভ্যতার দিকে তাকায় তাহলেও দেখা যায় যে সে সকল সভ্যতায় জনগণের জ্যামিতির ওপর বেশ ধারণা ছিল বা দক্ষতা ছিল।

কারণ তাদের শহরের নকশা তে দেখা যায় যে বিভিন্ন ধরনের জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা এবং রাস্তাগুলোর নকশা থেকে বোঝা যায় যে তাদের সময় বা সেই সভ্যতায় জ্যামিতির ওপর বিশেষ দক্ষতার কারণে তাদের এই ধরনের ধারণা বা চিন্তা-ভাবনা ছিল। তাই অতীতের দিকে তাকালে দেখা যায় যে জ্যামিতি সম্পর্কিত ধারণা বা জ্ঞান বহু প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের মাঝে চলে এসেছে। আর আধুনিক যুগের কথা তো বলাই বাহুল্য অর্থাৎ আমরা একথা বলতে পারি যে বর্তমান গণিতবিদ্যায় জ্যামিতি ছাড়া গণিত অসম্পূর্ণ হয়ে থাকে।

তাই প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য জ্যামিতি বোঝাবাজানা অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়। জ্যামিতিতে বিন্দু দিয়ে শুরু হয়। অর্থাৎ একটি বিন্দু থেকে সকল চিত্রের অবতারণা হয়ে থাকে। বিন্দুর পরে আসে তল। দলের পর রেখাংশ দিয়ে সকল কিছুই আঁকা যায়। আমাদের ত্রিভুজের ক্ষেত্রেও তাই অর্থাৎ তিনটি রেখাংশ দ্বারা আবদ্ধ চিত্রই হলো ত্রিভুজ। আমরা আগেই বলেছিলাম ত্রিভুজ বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। বাহু ভেদে ত্রিভুজ তিন প্রকারের হয়। যথা: সমবাহু ত্রিভুজ, সমদ্বিবাহু ত্রিভুজ, এবং বিষমবাহু ত্রিভুজ। আবার কোন ভেদে ত্রিভুজ তিন প্রকারের হয়ে থাকে। যথা! সমকোণী ত্রিভুজ, স্থূলকোণী ত্রিভুজ, এবং সূক্ষ্মকোণী ত্রিভুজ, এবার আমরা দেখতে পারি এই ত্রিভুজগুলি কাকে বলে। প্রথমে আসা যাক বাহু ভেবে ত্রিভুজ নিয়ে।
সমবাহু ত্রিভুজ: যে ত্রিভুজের তিনটি বাহু সমান ,তাকে সমবাহু ত্রিভুজ বলা হয়ে থাকে।

সমদ্বিবাহু ত্রিভুজ: যে ত্রিভুজের দুইটি বাহু সমান কিন্তু একটি বাহু অসমান তাকে সমদ্বিবাহু ত্রিভুজ বলা হয়।
বিষমবাহু ত্রিভুজ: যে ত্রিভুজ ের কোন বাবুই সমান নয় অর্থাৎ তিনটি বাবুই পরস্পর অসমান তাকে বিষমবাহু ত্রিভুজ বলা হয়ে থাকে।
এরপর আমরা কোন ভেদে ত্রিভুজ কাকে বলে সেগুলি দেখে নিতে পারি।
সূক্ষ্মকোণী ত্রিভুজ: যে ত্রিভুজের তিনটি কোণই সূক্ষ্মকোণ তাকে সূক্ষ্মকোণী ত্রিভুজ বলা হয়ে থাকে।
স্থূলকোণী ত্রিভুজ: যে ত্রিভুজের একটি কোণ স্থূলকোণ বাকি দুইটি কোণ সূক্ষ্মকোণ তাকে স্থূলকোণী ত্রিভুজ বলা হয়ে থাকে।
সমকোণী ত্রিভুজ: যে ত্রিভুজের একটি কোণ সমকোণ এবং বাকি দুই কোণ সূক্ষ্মকোণ তাকে সমকোণী ত্রিভুজ বলা হয়।

আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে শিক্ষা বিষয়ক সকল ধরনের তথ্য প্রকাশ করে থাকি। এবং আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলি সবই অত্যন্ত সঠিক সহজ সরল সুন্দর ভাষায় প্রকাশিত হয়ে থাকে। আবার আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোড করে নেওয়া যায়। ডাউনলোড করে নিতে আপনাদের আলাদা কোন চার্জ প্রযোজ্য হবে না। ত্রিভুজ সংক্রান্ত আরো কিছু তথ্য আমরা এখানে দেখতে পারি সেগুলি হল-

ত্রিভুজের তিন বাহু তিনটির দৈর্ঘ্যের সমষ্টিকে পরিসীমা বলা হয়। ত্রিভুজের বাহুগুলো দ্বারা সীমাবদ্ধ ক্ষেত্রকে ত্রিভুজ ক্ষেত্র বলে। ত্রিভুজের যে কোন বিন্দু হতে বিপরীতবাহুর মধ্যবিন্দু পর্যন্ত অঙ্কিত রেখাংশকে মধ্যমা বলে। আবার যে কোন শীর্ষবিন্দু হতে বিপরীত বাহুয়ের লম্ব দূরত্বই ত্রিভুজের উচ্চতা বলা হয়ে থাকে। কোন ত্রিভুজের একটি বাহু বর্ধিত করলে যে কোন উৎপন্ন হয় তা ত্রিভুজের একটি বহিঃস্থ কোণ বলা হয়। আবার এই কোণের সন্নিহিত কোনটি ছাড়া ত্রিভুজের ওপর দুইটি কোণ কে এই বহিঃস্থ কোণের বিপরীত অন্তঃস্থ কোন বলে থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *