মূলদ সংখ্যা কাকে বলে উদাহরণ দাও Class 6, 7, 8

মানুষ যখন প্রাচীনকালে আস্তে আস্তে আধুনিক সভ্যতায় অর্থাৎ মানবিক সভ্যতায়, সভ্যতা অর্জন করছিল তখনই তাদের সংখ্যাগুলো প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। কারণ তারা যখন পশু তাদের গুহায় এনে বশ করেছিল সেই পশুর সংখ্যাগুলি জানার জন্য অবশ্যই কিছু চিহ্ন প্রয়োজন হয় বা মনে রাখার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। সেখান থেকেই সংখ্যার উৎপত্তি বলে মনে করা হয়। গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটলের মতে প্রাচীন মিশরের পুরোহিত সম্প্রদায়ের অনুশীলনের মাধ্যমে গণিতের আনুষ্ঠানিক অভিষেক ঘটে। পরবর্তীতে এই গণিতের বিভিন্ন সংখ্যা উত্তরোত্তর বিস্তার লাভ করেছে।

তবে গণিতের এই বিস্তার লাভ কোন একটি গোষ্ঠী বা জাতির দ্বারা সম্ভব হয়নি। বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠী এবং সভ্যতার মানুষ মিলে সংখ্যার বর্তমান অবস্থায় অর্থাৎ গণিতের বর্তমান অবস্থা দাঁড় করিয়েছে। এক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি স্বাভাবিক সংখ্যার গণনার প্রয়োজনে প্রাচীন ভারতবর্ষের গণিতবিদগণ সর্বপ্রথম ০ এবং ১০ ভিত্তিক স্থানীয় মান পদ্ধতি প্রচলন করে। যা সংখ্যা বর্ণনার হিসেবে একটি মাইল ফলক বলে আমরা বিবেচনা করে থাকি। পরবর্তীতে দেখা যায় ভারতীয় ও চীনা গণিতবিদ গণ ০ ঋণাত্মক বাস্তব সংখ্যা, পূর্ণ ও ভগ্নাংশের ধারণার বিস্তৃতি ঘটান যা মধ্যযুগে আবার আরবিয় গণিতবিদগণ ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে উনবিংশ শতাব্দীতে এসে ইউরোপীয় গণিতবিদগণ বাস্তব সংখ্যাকে প্রণালীবদ্ধ রূপে তারা পূর্ণতা দান করেন। গণিতে বিভিন্ন ধরনের সংখ্যাই দেখা যায়।

এই সংখ্যাগুলি হল স্বাভাবিক সংখ্যা, পূর্ণ সংখ্যা, ভগ্নাংশ সংখ্যা, মূলদ সংখ্যা, অমূলদ সংখ্যা, দশমিক ভগ্নাংশ সংখ্যা, সসীম ভগ্নাংশ সংখ্যা, ধনাত্মক সংখ্যা, ঋণাত্মক সংখ্যা, অঋণাত্মক সংখ্যা, ইত্যাদি। আজকে আমাদের দেখাতে হবে মূলদ সংখ্যা কাকে বলে। তার আগে তাহলে আমাদের সংখ্যা সম্পর্কিত কিছু ধারণা নিতে হবে। সেই ধারণাটি হচ্ছেন বাস্তব সংখ্যা দুই ধরনের হয় একটি মূলদ সংখ্যা এবং অপরটি অমূলদ সংখ্যা। আবার মূলদ সংখ্যা দুই ধরনের হয় একটি পূর্ণ সংখ্যা আরেকটি ভগ্নাংশ সংখ্যা। পূর্ণ সংখ্যা তিন ধরনের হয় ধনাত্মক ঋণাত্মক এবং শুন্য সংখ্যা। ভগ্নাংশ সংখ্যা দুই ধরনের। একটি সাধারণ ভগ্নাংশ সংখ্যা এবং অপরটি দশমিক ভগ্নাংশ সংখ্যা। সাধারণ ভগ্নাংশ সংখ্যা দুই প্রকার। যথা : প্রকৃত ভগ্নাংশ অপরটি অপ্রকৃত ভগ্নাংশ সংখ্যা।

অপ্রকৃত ভগ্নাংশকে আমরা মিশ্র ভগ্নাংশ বলেও চিনে থাকি। দশমিক ভগ্নাংশের দুই প্রকার একটি সসীম দশমিক ভগ্নাংশ আরেকটি অসীম আবৃত দশমিক ভগ্নাংশ। তাহলে এবার আমরা মূলত এবং অমূলদ সংখ্যা কাকে বলে সেটি দেখে নিতে পারি। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন কারণ আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের প্রয়োজনীয় শিক্ষনীয় বিষয়গুলি আমরা প্রকাশ করে থাকি। আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশকৃত সকল তথ্য বা প্রশ্নের উত্তরগুলি অত্যন্ত সঠিক নির্ভুল হয়ে থাকে। তাই আপনার যে কোন প্রয়োজনীয় জিনিসটি হবে অত্যন্ত নির্ভুল সঠিক। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্নের উত্তর ডাউনলোড করেও নেওয়া যায় তাই আপনারা আমাদের এখান থেকে প্রশ্নের উত্তর ডাউনলোড করে নিতে পারবেন অনাসেই। তাহলে চলুন দেখা যাক মূলত এবং অমূলদ সংখ্যা কি।

প্রথমেই দেখি অমূলদ সংখ্যা কাকে বলে।

অমূলদ সংখ্যা: যে সংখ্যাকে p/q আকারে প্রকাশ করা যায় না, যেখানে p ও q পূর্ণসংখ্যা এবং q ≠ 0 , সে সংখ্যাকে অমূলদ সংখ্যা বলা হয়। পূর্ণবর্গ নয় এরূপ যেকোনো স্বাভাবিক সংখ্যার বর্গমূল কিংবা তার ভগ্নাংশ একটি অমূলদ সংখ্যা। যেমন √2=2.414213…. একটি অমূলদ সংখ্যা। কোন অমূলদ সংখ্যা কে দুইটি পূর্ণ সংখ্যার অনুপাত হিসেবে প্রকাশ করা যায় না। আর প্রকাশ করা যায়না বিধায় এটি একটি অমূলদ সংখ্যা।
এবার তাহলে দেখি মূলদ সংখ্যা কাকে বলে?
মূলদ সংখ্যা: p/q আকারের কোন সংখ্যাকে মূলদ সংখ্যা বলা হয়, যখন p ও q পূর্ণ সংখ্যা এবং q≠0। যেমন 3/1 =3 একটি মূলদ সংখ্যা। যেকোনো মূলদ সংখ্যাকে দুইটি সহ মৌলিক সংখ্যার অনুপাত হিসেবেও আমরা লিখতে পারি। সকল পূর্ণ সংখ্যা ও সকল ভগ্নাংশই মূলদ সংখ্যা হতে পারে, যদি সংখ্যাটিকে p/q আকারে লিখতে পারি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *