সাধারণভাবে যা মাটি ভেদ করে উপরে ওঠে তাকে কৃষি বিজ্ঞানের ভাষায় উদ্ভিদ বলা হয়। আমাদের জীবজগতের মধ্যে বা অসংখ্য জীব জগতে উদ্ভিদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এবং উদ্ভিদ সমগ্র জীবজগত কে বাঁচিয়ে রেখেছে। উদ্ভিদ এবং প্রাণী একে অপরের উপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ উদ্ভিদ সমস্ত প্রাণী জগতের খাদ্যে দিয়ে সহায়তা করে থাকে। অর্থাৎ উৎপাদক হিসেবে খাদ্য শৃঙ্খলে উৎপাদক হিসেবে উদ্ভিদ রয়েছে। তাই আমাদের বাস্তব জীবনে উদ্ভিদের গুরুত্ব অপরিসীম। আবার উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় যে অক্সিজেন ত্যাগ করে তা প্রাণী শ্বাস-প্রশ্বাসে গ্রহণ করে। তাই বলা যায় উদ্ভিদ এবং প্রাণী একে অপরের উপর অত্যন্ত নির্ভরশীল। প্রাণিজগতের অর্থাৎ সকল প্রাণীর খাদ্য উদ্ভিদ থেকেই পেয়ে থাকে। অথবা যে প্রাণীগুলি মাংসাশী সে সকল প্রাণীরাও উদ্ভিদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকে।
কারণ হিসেবে বলা যায় যে একজন মাংসাশী প্রাণী মাংসের জন্য যে প্রাণীকে খাবে দেখা যায় যে সেই প্রাণী অবশ্যই তৃণভোজী হয়ে থাকে। অর্থাৎ সেই প্রাণীটি উদ্ভিদের ওপর পুরোপুরিভাবে নির্ভরশীল। এছাড়া অন্যান্য প্রাণীরা বা পশুপাখি যাই বলি সকলেই উদ্ভিদের ফলাফল মূল ইত্যাদি খেয়ে বেঁচে থাকে। আবার যদি আমরা সমুদ্রের তলদেশে বা সমুদ্রের বসবাসকারী প্রাণীদের রেখে খেয়াল করি তাহলে দেখা যাবে যে সেসব প্রাণীরা ও উদ্ভিদের ওপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ সমুদ্র তলদেশে কিছু শ্যাওলা জাতীয় উদ্ভিদ বা অন্যান্য কিছু উদ্ভিদ জন্মে থাকে সে সকল উদ্ভিদের ওপর ছোট মাছগুলি বা প্রাণী গুলি নির্ভরশীল হয়ে থাকে। এবং এদের সংখ্যায় সমুদ্রের সবচাইতে বেশি পরিমাণে। পরবর্তীতে সে সকল ছোট ছোট প্রাণীদের কে বড় বড় প্রাণীরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে বেঁচে থাকে এবং সেখানকার বাস্তু তন্ত্র বা খাদ্য শৃংখল বা খাদ্যজাল টিকিয়ে রাখে।
সমস্ত উদ্ভিধি প্রায় তারা নিজেদের খাদ্য নিজেরা তৈরি করতে পারে। এই কারণে আমাদের জীবজগতে উদ্ভিদের গুরুত্বটা অনেক বেশি। তাদের অর্থাৎ উদ্ভিদের তৈরি কৃত খাদ্য তারা নিজেরা তো বেঁচে থাকেই আবার তাদের সঞ্চয়কৃত খাদ্য দ্বারা প্রাণী জগৎ বেঁচে থাকতে পারে। আর উদ্ভিদের এই ঘন্টার কারণেই প্রাণীরা সকল প্রাণীরা উদ্ভিদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে বা হয়ে আছে। উদ্ভিদের ও প্রাণী দের মত প্রাণ আছে অর্থাৎ যদিও আমরা সাধারণত দেখতে পাই যে উদ্ভিদ চলে না এবং শ্বাস-প্রশ্বাস নেয় না খাদ্য গ্রহণ করে না সাধারণ চোখে ইত্যাদি দেখলে পরেও আসলে উদ্ভিদ এ ধরনের সকল কাজই বা জৈবিক কাজগুলি করে থাকে। তবে প্রাণীদের চাইতে উদ্ভিদের কাজগুলো করার ধরন আলাদা ।
আর উদ্ভিদের যে প্রাণ আছে সে বিষয়টি প্রমাণ করেছেন বাঙালি বিজ্ঞানী স্যার জগদীশচন্দ্র বসু। তাই বলা যায় যে, উদ্ভিদ প্রাণীর মতোই সংবেদনশীল একটি জীব। এরাও খাদ্য গ্রহণ করে বিভিন্ন জৈবিক বিক্রিয়া আছে তারা বংশবিস্তার করে তাই উদ্ভিদকে জীব বলা হয়ে থাকে। উদ্ভিদ মরুভূমির সেই পাথরে মাটি থেকে শুরু করে উর্বর বেলাভূমি অথবা বলা যায় যে পৃথিবীর সর্বত্রই উদ্ভিদ জন্মে থাকে। এবং উদ্ভিদ প্রাণীর জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জরুরি উপকারী জিনিস। আমরা এতক্ষণে উদ্ভিদ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আপনাদের জানালাম। অর্থাৎ উদ্ভিদ কোথায় জন্মে কিভাবে বড় হয় তারা খাদ্য নিজেরা তৈরি করতে পারে কিনা এ ধরনের সকল তথ্য আমরা আমাদের এই লেখায় তুলে ধরলাম। এবং এতক্ষণে উদ্ভিদ সম্পর্কিত সকল তথ্যই আপনারা জেনে ফেললেন। এখন তাহলে আমরা দেখতে পারি যে উদ্ভিদ কাকে বলে?
উদ্ভিদ কাকে বলে: বলা যায় যে যেসব জীবের দেহ মূল কাণ্ড পাতায় বিভক্ত এবং যারা অধিকাংশই সূর্যের আলো থেকে শক্তি নিয়ে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় শর্করা জাতীয় খাদ্য তৈরি করে এবং এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলাফেরা করতে পারে না তাদেরকেই উদ্ভিদ বলা হয়ে থাকে। উদ্ভিদ নিজেরা নিজেদের খাদ্য তৈরি করতে পারে। তাদের তৈরি কৃত খাদ্য পাতায় তৈরি হলেও পরবর্তীতে পাতা থেকে সমস্ত দেহে ছড়িয়ে দেয়। এবং সঞ্চিত খাদ্য তারা মূলে এবং অন্যান্য কাণ্ডে সঞ্চিত রাখে।