সমবাহু ত্রিভুজের পরিসীমা নির্ণয়ের সূত্র

তিনটি সরলরেখা দ্বারা সীমাবদ্ধ ক্ষেত্রকে ত্রিভুজ বলে। যেকোনো দুটি বাহুর সাধারণ বিন্দুকে শীর্ষবিন্দু বলা হয়। দুইটি বাহু শীর্ষবিন্দুতে যে কোণ উৎপন্ন করে তার ত্রিভুজের একটি কোণ। ত্রিভুজের তিনটি বাহু এবং তিনটি কোণ থাকে। কোণ ভেদে ত্রিভুজ তিন প্রকার এবং বাহু ভেদে ত্রিভুজ তিন প্রকার। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে যদি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। আমাদের ওয়েবসাইটটিতে সকল শিক্ষা বিষয়ক, যেমন গণিত, জ্যামিতি, পরিসংখ্যান, তথ্য ও উপাত্ত, বীজগণিত, রসায়ন, পদার্থ, বাংলা, ইংরেজি, ইত্যাদি সকল বিষয়ের প্রশ্নের উত্তরগুলি সঠিকভাবে দেওয়া থাকে।

তোমাদের যাদের এই প্রশ্নগুলির উত্তর জানা প্রয়োজন তারা আমাদের এই ওয়েবসাইটে এসে প্রশ্নের উত্তরগুলি খুব সহজেই দেখে নিতে পারবে। আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে তোমাদের মধ্যে যাদের প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোড করে নিতে হবে, তারাও আমাদের সাইট থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবে। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্নের উত্তর ডাউনলোড করে নিতে তোমাদের এক্সট্রা কোন পয়সা প্রযোজ্য হবে না। তাই খুব সহজে তোমরা আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে তোমাদের প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোড করে নিয়ে নিতে পারো।

আমাদের আজকে দেখাতে হবে সমবাহু ত্রিভুজের পরিসীমার সূত্রটি কি। যেহেতু সমগ্র শিক্ষা জীবনে গণিতের একটা প্রভাব থাকেই। তাই গণিতকে খুব ভালোভাবে বুঝতে হলে অবশ্যই জ্যামিতির প্রয়োজন হয়। জ্যামিতি বাদ দিয়ে আমরা কখনো গণিতকে সুন্দরভাবে শেষ করতে পারবো না। গণিত করতে হলে অবশ্যই জ্যামিতির প্রয়োজন হবে। তাই আমরা বলতে পারি জ্যামিতি ও গণিত একে অপরের পরিপূরক। এখন আমাদের দেখাতে হবে যে সমবাহু ত্রিভুজের পরিসীমা।

আমরা আগেই জেনেছি যে ত্রিভুজ কাকে বলে এবং বাহু ও কোণ ভেদে ত্রিভুজ কত প্রকার ও কি কি। বাহু ভেদে ত্রিভুজ তিন প্রকার যথা সমবাহু ,সমদিবাহু এবং বিষমবাহু ত্রিভুজ। আবার কোণ ভেদেও ত্রিভুজ তিন প্রকার যথা সমকোণী বিষম স্থূলকোণী ও সূক্ষ্মকোণী ত্রিভুজ। ত্রিভুজের বাহু তিনটির দৈর্ঘ্যের সমষ্টিপকে আমরা ত্রিভুজের পরিসীমা বলে থাকি। এর আলোকে ত্রিভুজের অন্যান্য বৈশিষ্ট্য এবং কোণ সংক্রান্ত মৌলিক উপপাদ্য ও অংকন বিষয়ে আমরা আলোচনা করতে পারি। সেগুলো হলো

ত্রিভুজের অন্তঃস্থ ও বহিঃস্থ কোণ বর্ণনা করতে পারা। বিভিন্ন শর্তসাপেক্ষে ত্রিভুজ আঁকতে পারা
ত্রিভুজের মৌলিক উপপাদ্য গুলো প্রমাণ করতে পারা
ত্রিভুজের বাহু ও কোণের পারস্পরিক সম্পর্ক ব্যবহার করে জীবনভিত্তিক সমস্যার সমাধান করতে পারা।

ত্রিভুজ ক্ষেত্রের ভূমি ও উচ্চতা মেপে ক্ষেত্রফলের পরিমাপ বের করতে পারা । কোন ত্রিভুজের একটি বাহু বর্ধিত করলে যে কোন উৎপন্ন হয় তা ত্রিভুজটির একটি বহিঃস্থ কোণ হয়।

ত্রিভুজের তিনটি কোণের সমষ্টি ১৮০ ডিগ্রি বা দুই সমকোণ হয়। ত্রিভুজের দুই বাহুর সমষ্টি তৃতীয় বাহু অপেক্ষা বৃহত্তর হবে। ত্রিভুজের ভূমির বিপরীত দিকের বিন্দুর নাম হয় শীর্ষবিন্দু। ত্রিভুজের যেকোনো এক বাহুকে বর্ধিত করলে যে বহিঃস্থ কোণ উৎপন্ন হয় তা অন্তস্থ বিপরীত কোণ দ্বয়ের সমষ্টির সমান। কোন ত্রিভুজের প্রত্যেক বাহু উভয় দিকে বর্ধিত করলে যে ছয়টি বহিঃস্থ কোণ উৎপন্ন হয় তাদের সমষ্টি ৮ সমকোণ। কোন ত্রিভুজের শীর্ষবিন্দু থেকে ভূমির মধ্যবিন্দুর সংযোজক সরলরেখাকে বলে মধ্যমা। ত্রিভুজের তিনটি মধ্যমা হয়, মধ্যমা ত্রয় সমবিন্দু হয়। মধ্যমাত্রয় পরস্পরকে দুই অনুপাত এক এ বিভক্ত করে। কোন ত্রিভুজের তিনটি বাহুর দৈর্ঘ্য তার পরিসীমার সমান হয়।

কোন ত্রিভুজের মধ্যমা তিনটির সমষ্টি তার পরিসীমা অপেক্ষা ক্ষুদ্রতর হয়। কোন ত্রিভুজের ভূমির মধ্যবিন্দু থেকে অন্য দুই বাহূর ওপর অঙ্কিত লম্ব সমান হলে ত্রিভুজটি সমদ্বিবাহু ত্রিভুজ হয়। একই ভূমির বিপরীত পাশে অঙ্কিত দুইটি সমবাহু ত্রিভুজ সামান্তরিক গঠন করে। ত্রিভুজের পরিসীমা নির্ণয় করতে হলে বাহু গুলির দৈর্ঘ্য জানা আবশ্যক। যেহেতু সমবাহু ত্রিভুজের তিনটি বাহুই সমান তাই সমবাহু ত্রিভুজের পরিসীমা হবে তিন বাহুর যোগফল। অর্থাৎ একটি বাহূর দৈর্ঘ্যের পরিমাপ a মিটার হলে, সমবাহু ত্রিভুজের পরিসীমা হবে =3a মিটার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *