যে কোনো দেশের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র নিজেরা স্বাধীন বলে দাবি করলে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া যায় না। পূর্ণ স্বাধীনতা পাওয়ার জন্য একটি দেশকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বীকৃতি পাওয়াটা খুব একটা সহজ বিষয় ছিল না। শুধু নয় মাস যুদ্ধ করেই আমাদের দেশ স্বাধীন হননি। তাই স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাননি এর জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য চালিয়ে যেতে হয়েছে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা।
আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক, আমাদের দেশের মুক্তিযোদ্ধার ইতিহাস সম্পর্কে আমাদের জেনে রাখা উচিত, কখন কোন সময় কোন দেশ স্বীকৃতি প্রদান করেছে এই ইতিহাস সম্পর্কে আমাদের জেনে রাখা ভালো, আপনারা অনেকেই পাকিস্তান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় কত সালে এই বিষয়টি জানার জন্য বেশ আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এবং এই বিষয়টি জানার জন্য গুগলে বারবার সার্চ করছেন এই প্রশ্নের উত্তরটি সম্পর্কে আমাদের আজকের এই আর্টিকেল টিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আপনারা এই প্রশ্নের উত্তরটি জানতে চাইলে আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে চোখ রাখুন আর দেখে নিন আপনার প্রশ্নের উত্তরটি।
একটি দেশ সম্পর্কে জানতে হলে সেই দেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে। একটি দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য অনেক ইতিহাস থাকে তেমনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার অর্জনের পরেও দেশেও নানা বাধা-বিপত্তির পরও দেখা যায়, স্বাধীন হবার মাত্র চার বছরেরও কম সময়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হয়েছিল। আর শতাধিক দেশের স্বীকৃতি আদায় করতে সক্ষম হয়েছিল। বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দান করে ভুটান। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক মাইলফলক। এদিন সকালে ভুটানের তৎকালীন রাজা জিগমে দর্জি ওয়াংচুক স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি জানিয়ে তার বার্তা দেন।
পাকিস্তান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল স্বাধীনতা যুদ্ধের ৩ বছর পর। ১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারি তে পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত হয় অর্গানাইজে শন অব ইসলামিক কো অপারেশ নের ও আইসি দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলন। পাকিস্তান কর্তৃক বাংলাদে শকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির শর্তে বঙ্গবন্ধু এই সম্মেলনে যোগদানের সম্মতি জানান। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশকে অনুষ্ঠানিক ভাবে স্বীকৃতি প্রদান করে পাকিস্তান। ১৯৭৪ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় পাকিস্তান। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় পাকিস্তান, তারপর দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়৷
তবে পাকিস্তানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক খুব একটা গভীরে যায়নি দুই দেশটির সঙ্গে। কারণ বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের উপর পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীরা নিরীহ মানুষের উপর গণহত্যা চালায়। তাই মুক্তিযোদ্ধা দের অভিমত এই পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখার কোনো মানে হয় না। তবে দেশটি যদি গণহত্যার দায় স্বীকার করে সে দেশের যুদ্ধা পরাধীদের বিচারে সহায়তা ও একাত্তরের জন্য বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে সত্যিকার অর্থে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে দেখানো যেতে পারে। বাংলাদেশ সরকার বারবার একাত্তরের গণহত্যা চালানোর জন্য পাকিস্তানকে বারবার তলব করা হয়েছে। এমনকি এই গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের একাংশ জনগণ বাংলাদেশ সরকারের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেছেন পাকিস্তান সরকারের কে।
আপনারা যারা পাকিস্তান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় কত সালে এই প্রশ্নের উত্তরটি জানার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন আমরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে দিলাম। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে এসে আপনার প্রশ্নের উত্তরটি জেনে নিন।