আর নয় হৃদরোগের জটিলতা, হার্টকে সুস্থ রাখার জন্য সচেতনতা খুব জরুরী। আজ আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব হৃদ রোগের কারণ ও লক্ষণ নিয়ে। আপনারা যারা হৃদরোগে ভুগছেন তারা কোন ধরনের চিকিৎসা গ্রহণ করবেন এবং কোন হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন তা বিস্তারিত আলোচনা করা হবে এই আর্টিকেলে। এই আর্টিকেলে আমরা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের গুরুত্বপূর্ণ মোবাইল নাম্বার আপনাদের সাথে শেয়ার করব তার সাথে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট এর কার্যক্রম সম্বন্ধে আপনাদের স্পষ্ট ধারণা প্রদান করব। হার্ট আমাদের দেহের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। মানবদেহের সবচেয়ে অলস অর্গান বলা হয় হার্টকে।
আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে হার্ট সারাক্ষণ রক্ত পাম্প করার পরেও হার্টকে কেন মানবদেহের সবচেয়ে অলস অর্গান বলা হয়। হার্টকে সবচেয়ে অলস অর্গান বলার কারণ হলো সবচেয়ে বেশি সময় বিশ্রাম নেয় সে। হার্ট সব সময় রক্ত পাম্প করলেও সবচেয়ে বেশি সময় কাজ না করেই থাকে। এ বিষয়টি বুঝতে আপনাদের জটিল মনে হতে পারে তাই হার্টকে কেন সবচেয়ে অলস অর্গান বলা হয় তা জানতে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকতে হবে। আমরা প্রথমত আলোচনা করব হার্ট আমাদের দেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কেন এবং কিভাবে আমরা হার্টের যত্ন নিতে পারি।
হার্ট অ্যাটাক, এই শব্দটির সাথে আমরা সবাই পরিচিত। আমাদের আশেপাশে অনেক মানুষকে আমরা হার্ট অ্যাটাকে মারা যেতে দেখি। হৃদযন্ত্র সারাদিন আমাদের শরীরের রক্ত পাম্প করতে থাকে এবং সারা শরীরে রক্ত প্রবাহ চালু রাখে। সারা শরীরের রক্ত প্রবাহ চলতে চলতে হঠাৎ করেই যদি হৃদযন্ত্র রক্ত পাম্প করা বন্ধ করে দেয় তবে আমাদের শরীরের কোন স্থানেই রক্ত প্রবাহিত হবে না। হার্ট কাজ করে বলেই আমরা অক্সিজেন গ্রহণ করি এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করি। সুতরাং বুঝতেই পারছেন হার্ট যদি রক্ত পাম্প করা বন্ধ করে দেয় তবে মানবদেহ অচল হয়ে পড়বে।
এখন আসি একজন মানুষ কিভাবে তার হৃদযন্ত্রের সুস্থতা নিশ্চিত করতে পারে। আপনারা দেখে থাকবেন জন্মের পরপরই একজন শিশু হার্টের সমস্যায় ভুগতে পারে। তাই অল্প বয়সে আপনার হার্টের সমস্যা হবে না এমনটা ভাবা বোকামি। যেকোনো বয়সে যে কোন অবস্থায় হার্টের সমস্যা ধরা পড়তে পারে। সময় থাকতে নিজের যন্ত্রের যত্ন নিতে হবে এবং নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে আগে থেকেই বুঝতে পারবেন আপনার হার্টের কোন ধরনের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কিনা। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন নিয়মিত এক্সারসাইজ করলে হার্টের জটিলতা দূর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই প্রত্যেকটি মানুষের উচিত নিয়মিত দৌড়ঝাঁপ ও খেলাধুলা করা।
ঠিকানা: শেরেবাংলা নগর, ঢাকা- ১২০৭ অবস্থান: সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ৫০ গজ উত্তর দিকে মিরপুর রোডের পূর্ব পাশে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অবস্থান। ফোন- ০২- ৯১২২৫৬০ ফ্যাক্স- ৮৮-০২- ৮১৪২৯৮৬
হৃদরোগে আক্রান্ত কোন ব্যক্তি কিভাবে সঠিক চিকিৎসা পেতে পারে তা নিয়ে এখন আলোচনা করা যাক। বাংলাদেশে বেশ কিছু হাসপাতাল রয়েছে যেখানে হৃদরোগের সঠিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। আজ যেহেতু আমরা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল নিয়ে কথা বলছি তাই এই হাসপাতালের সুবিধা অসুবিধা ও চিকিৎসা নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। সবকিছুর আগে আপনাদের জেনে নেওয়া উচিত জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ঠিকানা। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল শেরেবাংলা নগর ঢাকায় অবস্থিত। যেহেতু এটি একটি ইনস্টিটিউট তাই এখানে হৃদরোগ নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা করা হয়।
কিভাবে হার্টের রোগীদের চিকিৎসা করা হবে, হৃদরোগ প্রতিরোধে অত্যাধুনিক কোন পদ্ধতি বের করা যায় কিনা এগুলো নিয়েই গবেষণা করে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট। হৃদরোগের সবচেয়ে ভালো ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বসেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে। একজন হৃদরোগী সব সময় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের মোবাইল নাম্বার নিজের সংগ্রহে রাখবেন। যে কোন অবস্থায় প্রয়োজনে হাসপাতালে ফোন করবেন এবং আপনার প্রয়োজনে তথ্য সংগ্রহ করবেন। হৃদরোগ ইনস্টিটিউট সম্বন্ধে আরও তথ্য জানার থাকলে সরাসরি তাদের ফোন নাম্বারে কল করুন । জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ডাক্তারদের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহের জন্য আমাদের সাথেই থাকুন।