ইতেকাফ কত প্রকার ও কি কি

আপনারা অনেকেই ইতেকাফ এই কথাটির সঙ্গে পরিচিত আবার অনেকেই অপরিচিত। বিশেষ করে যারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে ও মুমিন ব্যক্তিরা তারা এ বিষয়ে বেশ পরিচিত। ইতেকাফ রমজান মাসের একটি বিশেষ ইবাদত। আপনারা অনেকে মুসলিম ভাই ও বোন ইতেকাফ কত প্রকার ও কি কি এই প্রশ্নের উত্তরটি জানার জন্য বেশ আগ্রহী। আর এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর জানার জন্য আপনারা ইন্টারনেট সহ বিভিন্ন জায়গায় খুঁজছেন। তাই আমরা আজকের এই আর্টিকেলটিতে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি। আর এই প্রশ্নের উত্তরটি জানতে হলে আপনাকে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ অব্দি একটু মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

পবিত্র রমজান মাসের শেষ ১০ রমজানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম ইতেকাফ করতেন এবং সাহাবীদের ইতেকাফ করার জন্য নির্দেশ করতেন। শরিয়তের পরিভাষায় ইতেকাফ বলা হয়, আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য এক বিশেষ সময় এবং বিশেষ নিয়মে নিজেকে মসজিদে আবদ্ধ রাখাকে ইতেকাফ বলা হয়। ইতেকাফ শব্দের অর্থ হলো অবস্থান করা বা নিজেকে আবদ্ধ রাখা। ইতেকাফের জন্য জরুরি হলো মুসলমান হওয়া। সুস্থ মস্তিষ্কের অধিকারী হওয়া। সুতরাং কাফের এবং মাতাল লোকের ইতেকাফ জায়েজ নেই। নাবালক তবে বুঝ হয়েছে- এমন বাচ্চা যেরূপ নামাজ, রোজা পালন করতে পারে, তেমনি ইতেকাফও করতে পারে।

আপনারা যারা জানতে চেয়েছিলেন ইতেকাফ কয় প্রকার ও কি কি তাদের জন্য বলছি। ইসলামের শরীয়ত অনুসারে ইতেকাফকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সুন্নত ইতেকাফ ২. ওয়াজিব ইতেকাফ ও ৩. নফল ইতেকাফ।

১. সুন্নত ইতেকাফ: রমজান মাসের শেষ ১০ দিনের ইতেকাফ সুন্নতে মোয়াক্কাদা। অর্থাৎ কোন এলাকার যে কোনো একজন ইতেকাফ করলে পুরো এলাকা বাসীর পক্ষ থেকে ইতেকাফ আদায় হয়ে যাবে। কিন্তু মহল্লার একজন ব্যক্তিও যদি ইতেকাফ না করে তবে ওই এলাকার সবার সুন্নত পরিত্যাগের গোনাহ হবে। পবিত্র রমজান মাসের ২১ শে রমজান রাত থেকে ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা পর্যন্ত এই ইতেকাফের সময়। কারণ হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) প্রত্যেক বছর এই দিন গুলোতেই ইতেকাফ করতেন। এ কারণে এটাকে সুন্নত ইতেকাফ বলা হয়।

২. ওয়াজিব ইতেকাফ: মান্নতের ইতেকাফ ওয়াজিব। আল্লাহ তায়ালা বলেন তারা যেন তাদের মানৎ পূর্ণ করে। তাতে কোনো শর্ত থাকুক বা না থাকুক। যেমন- কেউ বললো আমার এই কাজ সমাধান হলে আমি ইতেকাফ করবো এতে যেমন ইতেকাফ ওয়াজিব হবে। আবার কেউ যদি বলে আমি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ইত্তেকাফ করবো সে ক্ষেত্রে ওয়াজিব হবে।

৩. নফল ইতেকাফ: উপরের দুই প্রকার ইতেকাফ ছাড়া বাকি সব ইতেকাফ নফল। এ ইতেকাফ মানুষ যেকোনো সময় করতে পারে। অর্থাৎ কিছু সময়ের জন্য ইতেকাফের নিয়তে মসজিদে অবস্থান করা। এর জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। যতক্ষণ চায় করতে পারে। রমজান মাসের প্রয়োজন নেই। এমনকি যখনই মসজিদে প্রবেশ করবে নফল ইতেকাফের নিয়ত করা সুন্নত।

আপনারা যারা জানতে চেয়েছিলেন ইতেকাফ কত প্রকার ও কি কি আমরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটিতে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আপনারা যারা এই প্রশ্নের উত্তরটি খুঁজছিলেন আমাদের এখানে এসে আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরটি সঠিকভাবে জেনে নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *