ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক অর্থনীতির মধ্যে পার্থক্য

আমাদের আধুনিক অর্থনীতি দুই ধরনের হয়ে থাকে একটি সমষ্টি অর্থনীতি এবং অপরটি ব্যষ্টিক অর্থনীতি। এই দুই প্রকারের অর্থনীতির সংজ্ঞা বা এই দুই ধরনের অর্থনীতি যদি আমরা ভালোভাবে বুঝতে পারি বাবু ছাড়তে পারি তাহলে অবশ্যই পার্থক্য গুলিও নিরূপণ করতে পারব। তাহলে প্রথমে দেখি চলুন আলাদা আলাদা ভাবে দুই প্রকারের অর্থনীতি কাকে বলে। প্রথমে দেখি ব্যাসটিক অর্থনীতি কাকে বলে। তাই আমরা বলতে পারি অর্থনীতি হলো মানুষ কিভাবে উৎপাদন করে এবং উৎপাদনকৃত সম্পদ বন্টন ও ভোগের মাধ্যমে দুষ্প্রাপ্য সম্পদ বরাদ্দ করে তার অধ্যয়ন হচ্ছে অর্থনীতি।

অর্থাৎ এ কথা বলা যায় যে অর্থনীতির অধ্যায়ন ছাড়া সম্পদ বন্টন উৎপাদন এবং ভোগ বিশ্লেষণ করা যায় না। আমরা আগেই বলেছি যে অর্থনীতি মূলত দুই ভাগে বিভক্ত একটি ব্যষ্টিক অর্থনীতি অপরটি সমষ্টিক অর্থনীতি। সামস্টিক অর্থনীতি হলো অর্থনীতির সামগ্রিক আচরণ নিয়ে কাজ করে এই শাখা। আবার ব্যাষ্টিক অর্থনীতি অর্থনীতির ভোক্তা এবং ব্যবসার ওপর দৃষ্টি আকর্ষণ করাই হলো ব্যাষ্টিক অর্থনীতির কাজ।

ব্যাষ্টিক অর্থনীতি: এই প্রকার অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র ব্যক্তি বা ভোক্তা বা একটি পণ্যের দাম নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং তাকে মাইক্রো বা ব্যষ্টিক অর্থনীতি বলা হয়ে থাকে। এই প্রকার অর্থনীতি ভোক্তা এবং উৎপাদকের ওপর দৃষ্টি আকর্ষণ করে থাকে। ব্যষ্টিক অর্থনীতি কোন পণ্যের দাম নির্ধারণ এবং সেটি বিপণনের ব্যবস্থা করে থাকেন। সম্পদের সুষ্ঠু বন্টন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই অর্থনীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিভিন্ন শিল্প সংগঠন বাণিজ্য এবং বাজার কাঠামো শ্রম অর্থনীতি পাবলিক ফাইন্যান্স নিয়ে আলোচনা করা হয় এই অর্থনীতিতে। তাই বলা হয় বাজার ব্যবস্থাপনা বা বিপণন ব্যবস্থাপনায় এই ব্যষ্টিক অর্থনীতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

যেহেতু উৎপাদক তাদের উৎপাদিত পণ্য গুলি অবশ্যই বাজারে ছাড়তে হবে এবং সেই বাজার ব্যবস্থাপনাকে কিভাবে ভালোভাবে একটি পণ্যকে বাজারজাত করা যায় তা এই অর্থনীতির বিষয়। ব্যষ্টিক অর্থনীতির কারণেই বাজারের পণ্য ব্যবস্থাপনা এবং ভোক্তা অধিকার চাহিদা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে। মাইক্রো ইকোনমিক্স বিভিন্ন বিষয় যেমন চাহিদা সরবরাহ হেক্টর মূল্য নির্ধারণ পণ্যের মূল্য নির্ধারণ অর্থনৈতিক কল্যাণ উৎপাদন ব্যবহার নিয়ে কাজ করা ব্যাষ্টিক অর্থনীতির বিষয়।

সমষ্টিক অর্থনীতি: দেশ-জাতি সরকারের সিদ্ধান্তের অধ্যায়ন হয় সমষ্টি অর্থনীতিতে। অর্থাৎ এটি ব্যক্তি বা নির্দিষ্ট কোম্পানির পরিবর্তে একটি দেশের সমগ্র শিল্প এবং অর্থনীতি নিয়ে আলোচিত হয় সমষ্টিক অর্থনীতিতে।

অর্থাৎ প্রতিটি জনগণের গড়ায় গড় প্রবৃদ্ধি এসব নিয়ে আলোচনা করা হয় সমষ্টিক অর্থনীতিতে। এক কথায় বলা যায় এই অর্থনীতি দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রেও কাজে লাগে। অর্থাৎ একটি দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি হলো সামষ্টিক অর্থনীতি। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে সমষ্টি অর্থনীতি মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায় যে কিভাবে বেকারত্বের হার মোট দেশীয় পণ্যকে প্রভাবিত করে। এছাড়াও সামষ্টিক অর্থনীতি জাতীয় আয় সঞ্চয় এবং সামগ্রিক মূল্য স্তরের মধ্যে সম্পর্ক নিরূপণ করে। ব্যাপক অর্থে বললে বলা যায় যে সামগ্রিকভাবে যে অর্থনীতি আলোচনা করা হয় তাই সমষ্টি অর্থনীতি হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে।

আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি বার বার ভিজিট করবেন কারণ আপনাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় সকল ধরনের তথ্য উপাত্ত আমরা অত্যন্ত নিখুঁতভাবে প্রকাশ করে থাকি। আবার আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনারা আপনাদের পছন্দকিত প্রশ্নের উত্তরগুলি বা তথ্যগুলি ডাউনলোড করেও নিতে পারবেন। আমাদের এখান থেকে প্রশ্নের উত্তর বা তথ্যগুলি ডাউনলোড করে নিতে আপনাদের আলাদা কোন চার্জ প্রযোজ্য হবে না এই কারণে অনায়াসে নিতে পারবেন। আমরা আমাদের এই পোস্টে সামষ্টিক অর্থনীতি এবং ব্যাষ্টিক অর্থনীতির আদ্যপ্রান্ত সকল বিষয় নিয়েই আলোচনা করা হলো। তাই আপনারা অবশ্যই আমাদের এখান থেকে বা আমাদের এই পোস্টটি পড়ে সামস্টিক এবং ব্যাষ্টিক অর্থনীতির পার্থক্যগুলি অবশ্যই বুঝে নিবেন বা বুঝতে পারবেন। তাই প্রথমে আগে ভালোভাবে পোস্টটি পড়বেন তারপরে এই দুই প্রকার অর্থনীতির পার্থক্য গুলি দেখবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *