আজকের পোস্টে আমরা বিজিবির কাজ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। বিজিবির কাজ নিয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি আমরা চেষ্টা করব বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ সকল ফোন নাম্বার আপনাদের জন্য এই পোস্টে সংযুক্ত করতে। আশা করি শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই তথ্যগুলো সংগ্রহ করে নেবেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক বিজিবি কোন ধরনের কাজ করে থাকে।
স্বাধীনতার পূর্বে বিজিবির নাম ছিল ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস অর্থাৎ ইপিআর। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের অবদান অনস্বীকার্য। ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস অর্থাৎ ইপিআরের সদস্যরা জীবন বাজি রেখে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন এবং স্বাধীনতায় ভূমিকা রেখেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস নামটি পরিবর্তন করে বাংলাদেশ রাইফেলস রাখা হয়। সেই থেকে বাংলাদেশ রাইফেলস দেশের সীমান্ত রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করে আসছে। তবে ২০১০ সালে বাংলাদেশ রাইফেলস নামটি পরিবর্তন করে বিজিবি অর্থাৎ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ রাখা হয়। এই হচ্ছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের ইতিহাস। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের ইতিহাস তো জানলেন, এখন আমরা আলোচনা করব বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের কাজগুলো নিয়ে। চলুন এক নজরে দেখে নেয়া যাক বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে কোন ধরনের কাজ করে থাকে।
১. ২৪ ঘন্টা টহল
২. চোরা চালান বিরোধী অভিযান
৩. মাদকবিরোধী অভিযান
৪. মানব পাচার বিরোধী অভিযান
৫. রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলা
৬. অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
চলুন এবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের কাজগুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক।
২৪ ঘন্টা টহল
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্যরা ২৪ ঘন্টা সীমান্তে নিদ্রাহীন থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। সীমান্তবর্তী এলাকায় যেন কোন ধরনের কঠিন পরিস্থিতি তৈরি না হয় তা দেখভালের দায়িত্ব থাকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্যদের উপর। সার্বক্ষণিক তহলের মাধ্যমে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।
চোরা চালান বিরোধী অভিযান
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্যরা ২৪ ঘন্টা সীমান্তে টহল দেয় এবং মাঝে মাঝে চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। সীমান্তবর্তী দেশগুলো থেকে কোন ধরনের অবৈধ মালামাল এদেশে নিয়ে আসা হচ্ছে কিনা তা দেখতে হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্যদের। যদি কোন অবৈধ মালামাল সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে পাচার করা হয় তবে পাচারকারীদের আটক করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।
০১৭৬৯৬০০১০১. পদবী. পিএস টু ডিজি বিজিবি. ফোন(অফিস). ৯৬৫০১০১. ইমেল. pstodg@bgb.gov.b
জনসংযোগ কর্মকর্তা ফোন: 029650338 মোবাইল: 01769600338 ইমেইল: probgb@gmail.com
মাদকবিরোধী অভিযান
আপনারা নিশ্চয়ই জানেন টেকনাফের আশেপাশের সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা সহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য পাচার করা হয়। বাংলাদেশের একটি অসাধু চক্র এ কাজগুলো করে থাকে। ইয়াবা সহ এই মাদকদ্রব্য গুলো দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে বাংলাদেশের যুবসমাজ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই কোনোভাবেই সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে যেন কোন মাদকদ্রব্য পাচার করা না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্যদের। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্যরা সফলতার সাথেই মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন।
মানব পাচার বিরোধী অভিযান
সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে সহজ সরল মানুষকে আশেপাশের দেশগুলোতে পাচার করে দেওয়া হয়।। কিছু জঘন্য মানুষ এই কাজগুলোর সাথে জড়িত থাকে। এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা যেন না ঘটে তাই বর্ডার গার্ডের সদস্যরা মানব পাচার বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে থাকে।
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলা
রোহিঙ্গা সংকট সম্বন্ধে জানেনা এমন মানুষ বাংলাদেশে নেই। বিজিবি মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সাথে নিয়মিত মিটিং করে আসছে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলার উদ্দেশ্যে। তবে এই বিষয়টি এখন অনেকদূর গড়িয়ে গেছে।
অভ্যন্তরীন নিরাপত্তা নিশ্চিত করা
দেশের মধ্যে কোন ধরনের জটিল পরিস্থিতি তৈরি হলে অন্যান্য বাহিনীর সাথে বিজিবির সদস্যদেরও কাজ করতে হয় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য। তাই অনেক সময় বিজিবির সদস্যদের রাজপথেও কাজ করতে দেখা যায়। নির্বাচন অথবা বড় বড় গণ সমাবেশ গুলোতে কোন ধরনের জটিলতা তৈরি হলে তা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে বিজিবি।
আপনার এলাকায় যদি কোন ধরনের অবৈধ কাজ দেখতে পান তবে বিজিবিকে ইনফর্ম করতে পারেন। সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানও বিজিবি পরিচালনা করে থাকে। আশা করি আমাদের সাথে থেকে বিজিবির ফোন নাম্বার সংগ্রহ করবেন এবং যেকোনো জটিল পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য বিজিবিকে ইনফর্ম করবেন।