বাংলা একাডেমির বর্তমান মহাপরিচালক কে ২০২৩

বাংলা একাডেমি সাধারণত বাহান্নোর ভাষা আন্দোলনের পরে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত করা হয়। আর বাংলা একাডেমি হল বাংলা ভাষা বিষয়ক সর্ববৃহৎ সংরক্ষণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান। বাংলা ভাষা সাহিত্য চর্চা ও গবেষণা প্রচারের লক্ষ্যে এই বাংলা একাডেমিতে প্রতিষ্ঠা করা হয়। আপনারা অনেকেই বাংলা একাডেমির বর্তমান মহাপরিচালক কে এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে আগ্রহী। আর আপনারা এই আগ্রহ মাত্রা থেকে গুগল সহ ইন্টারনেটের বিভিন্ন জায়গায় এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেয়ার জন্য অনুসন্ধান করছেন। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য প্রতিনিয়ত এ ধরনের প্রশ্নের উত্তরগুলো আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিতভাবে প্রকাশিত করে। তাছাড়া শিক্ষা সংক্রান্ত যেকোনো প্রশ্নের উত্তর গুগলে সার্চ মারার সাথে সাথে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে খুব সহজে জেনে নিতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি সম্পর্কে।

১৯৫৫ সালের ৩ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত করা হয় বাংলা একাডেমি টি। বাহান্নর ভাষা আন্দোলনের পর থেকে বাংলা একাডেমি টি প্রতিষ্ঠা করার জন্য দাবি করে আসছিল বাঙালিরা তবে পাকিস্তান শাসক গোষ্ঠীরা ও পাকিস্তান সরকার এই প্রতিষ্ঠান টি প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বারবার বাধা প্রদান করছিল।বাংলা একাডেমির জন্ম ও বিকাশ বাংলাদেশ রাষ্ট্রের গঠন প্রক্রিয়ার সাথে অবিচ্ছেদ্য ভাবে জড়িত। বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ অর্জন মাতৃভাষা বাংলা আর এটাকে সংরক্ষণ ও এটা সংস্করণ দায়িত্ব বাঙালি জাতির। তাইতো শত বাধা অতিক্রম করে বাংলা একাডেমিতে প্রতিষ্ঠিত করা হয়। ভাষা আন্দোলনের মধ্যেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার বীজ নিহিত ছিল। সুতরাং বাংলা একাডেমি সেই স্বাধীনতার অনেক পুথি ও ইতিহাস এখন অব্দি বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে।

বাংলা একাডেমি সাধারণত বাহান্নোর ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস সংরক্ষণ করে রাখেছে। বাংলা ভাষা ক্ষেত্রে যেসব শহীদদের অবদান রয়েছে ও ভাষা সংগ্রামীদের জীবন রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য বাংলা একাডেমিতে সংরক্ষণ করা রয়েছে। ভাষা আন্দোলনের সময় সকল ধরনের স্মৃতি ও দেশের সকল ধরনের সাহিত্য ও সংস্কৃতির সকল ধরনের তথ্য বাংলা একাডেমি থেকে জানা যায়। তাছাড়া ভাষা আন্দোলন বাংলা ভাষা সাহিত্য সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে শিক্ষা দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলা একাডেমী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কারণ একটি রাষ্ট্রে কিভাবে রাষ্ট্রভাষা বাংলাতে পরিণত হয়েছে এবং রাষ্ট্রের সংস্কৃত ঐতিহ্য ইত্যাদি এগুলো তথ্য কোথা থেকে পাবে এ ধরনের তথ্যগুলো সব বাংলা একাডেমী সংরক্ষণ করে রেখেছে নতুন প্রজন্ম বাংলা একাডেমি মাধ্যমে এই বিষয় গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে পারবে।

স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে বাংলা একাডেমিকে একটি বৃহৎ পরিসরে গড়ে তোলার জন্য দেশের জাতীয় পুন র্গঠনের সাথে বাংলা একাডেমির পুনর্গঠনের পরিকল্পনা করা হয়। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধোত্তর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠনে নিরন্তর ভাবে চেতনা ও অনুপ্রেরণা কারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলা একাডেমির ভূমিকা বিশেষ ভাবে অবিস্মরণী য়। এই প্রতিষ্ঠানটির প্রতি স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞতা ছিলেন। কারণ স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বাংলা একাডেমিটি বিশেষ এক ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বরের পর পরই বাংলা একাডেমির পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে ছিল। বাংলা একাডেমীটি বাংলা ভাষার পুরনো নথি, বাংলা একাডেমির ইতিহাসের দলিল ইত্যাদি এগুলো সংরক্ষীত।

১৯৭২ সালের ১৭ই থেকে বাংলা একাডেমির পরিচালকের পদটি মহাপরিচালক পদে উন্নীত করা হয়। আর দেশ স্বাধীনতা হওয়ার পর থেকে এখন অব্দি মহাপরিচালকের দায়িত্বে অনেকে মহান ব্যক্তি দায়িত্ব পালন করে গিয়েছেন। বাংলা একাডেমির প্রথম মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মযহারুল ইসলাম, যিনি ২ জুন ১৯৭২ সালে থেকে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। বর্তমানে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন মুহম্মদ নূরুল হুদা। তিনি ১২ই জুলাই ২০২১ এ দায়িত্বগ্রহণ করেন। বাংলা একাডেমি বাংলা ভাষা বিষয়ক একটি গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান। তাই মাতৃভাষা বাংলাকে যেভাবে আমরা সংরক্ষণ করার জন্য প্রাণ দিয়েছি তেমনি বাংলা একাডেমি কে সংরক্ষ ণ করার দায়িত্ব আমাদের।

আপনারা যারা এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর গুলো জেনে নিতে চান আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে এ বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক ধারণা প্রদান করলাম। তাছাড়া আমরা আপনাদের জন্য প্রতিনিয়ত শিক্ষা সংক্রান্ত সকল তথ্য প্রকাশিত করি। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইডে ভিজিট করে আপনাদের এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর গুলো জেনে নিতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *