ভাষা আন্দোলনের সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন

ভাষা আন্দোলন ছিল মূলত ১৯৪৭ সাল থেকে শুরু করে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব বাংলার সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক একটি আন্দোলন। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পূর্ব বাংলার মানুষের বিরোধের সৃষ্টি হয়। পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী প্রধানমন্ত্রী তিনি বলেন পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু আর এদিকে রাষ্ট্রভাষা বাংলা দাবিতে অনড় পূর্ব বাংলা।

কিন্তু পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার বাংলা ভাষার এ দাবিকে সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করে। পরবর্তীতে ভাষা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয় পূর্ববাংলা ও পশ্চিমবাংলা মধ্যে। আর ভাষা আন্দোলন কে কেন্দ্র করে অনেকের মাথায় অনেক প্রশ্ন ঘুরপাক খায়। অনেকে জেনে নিতে চাই ভাষা আন্দোলনের সময় পাকিস্তানে র প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন। আপনারা যারা এই প্রসঙ্গ সম্পর্কে জেনে নিতে চান আপনাদের জন্য আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে দেব। চলুন জানা যাক এই বিষয় টি সম্পর্কে।

আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইটে গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্নের উত্তর ও আপনাদের দৈনন্দিন জীবনে চলার ক্ষেত্রে এ যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর গুলো খুব সহজ ও সরল ভাষায় প্রকাশিত করি যেন আপনারা খুব সহজেই বুঝে নিতে পারেন। আশা করছি আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনাদের প্রয়োজনীয় সকল প্রশ্নের উত্তর গুলো পেয়ে যাবেন। তাছাড়া আপনারা যে কোন প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য গুগলে সার্চ করে থাকেন তাই গুগলের সার্চ করার সাথে সাথে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্নের উত্তর গুলো বিস্তারিতভাবে জেনে নিতে পারবেন। তাছাড়া আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনাদের প্রয়োজনীয় সকল প্রশ্নের উত্তর গুলো ডাউনলোড করতে পারবেন। আর ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে আপনাকে কোন ধরনের চার্জ প্রদান করতে হবে না।

ভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতির জন্য একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। পৃথিবীতে এমন জাতি খুব কমই রয়েছে যারা ভাষার জন্য নিজের জীবন দিতে পিছপা হননি। পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠন করার পর এর ভাষা কি হবে এ নিয়ে পড়ে দ্বিধা দ্বন্দ্ব। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকেই উর্দু বনাম বাংলা ভাষা নিয়ে পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের মুসলিম নেতৃবৃন্দের মধ্যে বির্তক দেখা দেয়। আর এই দ্বন্দ্বের মধ্যে পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধী সৃষ্টি হয়। আর এই বিরোধী তৈরি হয় ভাষা আন্দোলন ভাষা আন্দোলন বাংলাদেশের ইতিহাসে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা। ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধার বীজ বপন করা হয়েছিল। শেষ অব্দি তা যুদ্ধে রূপ নেয়।

তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠীরা উর্দু ভাষা ব্যবহার ক্রমেই মুসলমানদের উপর জোর করে জনপ্রিয়তা সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মুসলমানেরা বাংলা ভাষাকে তাদের প্রধান ভাষা হিসেবে ব্যবহারেই অভ্যস্ত ছিল। উদুকে তারা কোনভাবেই মেনে নেয়নি। আমরা আপনাদের ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে অনেক তথ্য প্রদান করলাম। এখন আমরা আপনাদের জানিয়ে দেবো ভাষা আন্দোলনের সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন। ভাষা আন্দোলনের সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খাজা নাজিম উদ্দীন। এর আগে লিয়াকত আলী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন তার মৃত্যুর পর খাজা নাজিম উদ্দীন এই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। আর খাজ নাজিম উদ্দীনের সময় ভাষা আন্দোলনের সৃষ্টি হয়েছিল।

আশা করছি আপনারা আমাদের আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরটি সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন। তাছাড়া আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনাদের প্রয়োজনীয় যে কোন প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য প্রতিনিয়ত ভিজিট করুন আর জেনে নিন আপনাদের প্রশ্নের উত্তর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *