যমুনা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন কে

যমুনা সেতু যেটা উত্তরবঙ্গের মানুষের কাছে একটি স্বপ্নের সেতু। যে সেতুটির মাধ্যমে উত্তরের ১৬ টি জেলায় যোগাযোগ স্থাপনের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম হল যমুনা সেতু। আর এই সেতুটির অন্যতম আরেকটি নাম হল বঙ্গবন্ধু সেতু। ৪.৮ কিলোমিটার এই সেতুটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় তম বৃহত্তম সেতু। ১৯৯৪ সালের ১৫ অক্টোবর এর কাজ শুরু হয় এবং ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এটা যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত বলে এই সেতুটির নামকরণ করা হয় যমুনা সেতু। আর বাংলাদেশের অন্যতম সেতু গুলোর মধ্যে এই সেতুটি অন্যতম হওয়ায় অনেক সময় অনেক ক্ষেত্রেই এই সেতুটি সম্পর্কে অনেক ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় আমাদের। তাই যমুনা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন কে আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদের এই প্রসঙ্গে জানিয়ে দিব। আর এ বিষয় টি সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে আমাদের ওয়েবসাইটে থাকা আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

যমুনা সেতুটি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে পঞ্চম এবং সারা বিশ্বের ৯২ তম বৃহত্তম সেতু। বাংলাদেশের তিনটি বড় নদীর মধ্যে বৃহত্তম এবং পানি নির্গমনের দিক থেকে বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ নদী যমুনার উপর এটি নির্মিত হয়েছে। আর এই সেতুটি নির্মাণের পর থেকে উত্তর অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের মাধ্যমটা ব্যাপকভাবে উন্নতি ঘটেছে। এই সেতুটি নির্মাণের ফলে ব্যবসায় ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। সড়ক ও রেলপথে দ্রুত যাত্রী ও মালামাল পরিবহণ ছাড়াও এই সেতু বিদ্যুৎ ও প্রাকৃতিক গ্যাস সঞ্চালন এবং টেলি যোগাযোগ সমন্বিত করার সুযোগ করে দিয়েছে। আর
সেতুটি নির্মাণে মোট খরচ হয় ৯৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম অনুসারে এই সেতুটির নামকরণ করা হয় বঙ্গবন্ধু সেতু। যমুন সেতু বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চল কে রাজধানী ঢাকা এর সাথে যুক্ত করেছে। এবং দেশের প্রথম সবচেয়ে দীর্ঘতম সেতু হিসাবে টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ জেলার মধ্যে যোগাযোগের অন্যতম সেতু হচ্ছে যমুনা সেতু। বাংলা দেশের ইতিহাসে প্রথম বৃহত্তম সেটি হচ্ছে যমুনা সেতু। এখন আমরা আপনাদের কে জানিয়ে দেবো এই সেতুটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন কে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ১০ এপ্রিল, ১৯৯৪ সালে সর্বপ্রথম নদীর দুই তীরে যমুনা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এই সেতুটি নির্মাণ করার পর থেকে উত্তর বঙ্গের মানুষের স্বপ্ন পূরণ হয়েছিল। এই সেতুটির মাধ্যমে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের নানা প্রান্ত খুব কম সময়ে উত্তর অঞ্চলের মানুষেরা যাতায়াত করতে পারছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *