পৃথিবীর বুকে মানব সভ্যতাকে ধ্বংস করার জন্য অন্যতম শক্তিশালী অস্ত্রের নামই হল পারমাণবিক বোম। পারমাণবিক বোমা ইংরেজিতে যাকে বলা হয় Atom bomb। ১৯৪৫ সালে র ৬ আগষ্ট হিরোশিমা নগরে প্রথম পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করা হয়। পারমাণবিক বোমা কোন সাধারণ বোমা নয় এটা সাধারণত এমন এক ধরনের যন্ত্র যা নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ার ফলে প্রাপ্ত প্রচণ্ড শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি করে। তাই এই বোমাকে নিয়ে অনেকেরই অনেক ধরনের প্রশ্ন মানুষের মাথায় ঘুরপাক খায়। তাই আমরা আপনাদের কে জানিয়ে দেব পারমানবিক বোমার আবিষ্কারক কে। আপনারা যারা এই বিষয় সম্পর্কে জানতে চান আমাদের ওয়েবসাইট থাকা আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাছাড়া এ ধরনের সাম্প্রতিক বিষয় গুলো সম্পর্কে প্রতিনিয়ত আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের সুবিধার জন্য লিখে থাকি। আর এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে হলে প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইটে আপনারা ভিজিট করুন আর জেনে নিন আপনাদের প্রশ্নের উত্তর গুলো সম্পর্কে।
বর্তমানে সারা পৃথিবী জুড়ে নয়টি দেশের কাছে এই পারমাণবিক বোমা টি রয়েছে। আর এই নয়টি দেশের কাছে মোট ষোল হাজার তিনশত টি পারমাণবিক বোমা রয়েছে। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তিগত এই পারমাণবিক বোমাটি এক হাজার কিলোগ্রামের একটি থার্মো-নিউক্লিয়ার অস্ত্রের বিস্ফোরন ক্ষমতা প্রচলিত প্রায় এক বিলিয়ন কিলোগ্রামের প্রচণ্ড বিস্ফোরক দ্রব্যের চেয়েও বেশি। পারমাণবিক অস্ত্র কে ধরা হয় ব্যাপক ধ্বংসা যজ্ঞের এক বোমা। তাই একারণেই আন্তজার্তিক বিভিন্ন নিয়ম নীতিমালা প্রণয়নে তাদের ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণ সব সময়ই একটি আলোকিত বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।যে সব রাষ্ট্রের পারমাণবিক বোমা রয়েছে বিভিন্ন নীতিমালা ও নিয়ম অনুসারে পারমাণবিক বোমাটি ব্যবহার করতে পারবে।
১৯১৪ সালে সর্বপ্রথম পারমাণবিক বোমাটি আবিষ্কার করার চিন্তা ভাবনা মাথায় আনা হয়। এই বোমাটি এমন একটি বোমা যেটা নিমিষেই লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করতে পারে। এই বোমাটি নিক্ষেপ করার পর প্রাকৃতিক পরিবেশ দিনের পর দিন মারাত্মক ক্ষতির পাশাপাশি পরবর্তী প্রজন্ম ও দীর্ঘ মেয়াদি এক ভয়ঙ্কর পরিবেশের সৃষ্টি করতে পারে। তাই ১৯৩৮ সালে জার্মানির বার্লিনের এক গবেষণা গারে পারমাণবিক বোমা তৈরির সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। এই পরীক্ষা গারে বিজ্ঞানী অটোহান, লিস মিটনার, ফ্রিৎজ স্ট্রাসমান কর্তৃক নিউক্লিয়ার ফিসন প্রক্রিয়া পারমাণবিক বোমাটি সম্পর্কে আনুমানিক ধারণা প্রদান করেছিল। তবে মার্কিন বিজ্ঞানী রবার্ট ওপেনহাইমার নির্ভুল তথ্যের মাধ্যমে এই পারমাণবিক বোমাটি আবিষ্কার করতে সফল হয়। ১৯৪৫ সালে পরমানবিক বোমাটি আবিষ্কার করতে এই ব্যক্তির সফল হওয়ায় তাকে পারমাণবিক বোমার আবিষ্কারক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রাথমিক ভাবে এই পারমাণবিক বোমাটির পরীক্ষামূলক নিক্ষেপ করা হয়।