হিসাব বিজ্ঞানের জনক কে

হিসাব বিজ্ঞানের জনক কে বা কে হিসাব বিজ্ঞানের জনক এ প্রশ্নগুলোর সম্মুখীন আমার প্রতিনিয়ত কোন না কোন স্থানে বা কোনো না কোনো ক্ষেত্রে পেয়ে যাই। বিভিন্ন ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে বা চাকরি নিয়োগ পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রশ্ন আমরা ফেস করি। তাই আপনারা অনেকেই এ প্রশ্নের উত্তর টি জেনে নিতে বেশ আগ্রহী। আর আগ্রহ থেকে আপনারা গুগল সহ ইন্টারনেটের বিভিন্ন জায়গায় এই প্রশ্নটি উত্তর জেনে নেয়ার জন্য খোঁজ করছেন। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইটে এ ধরনের প্রশ্নের উত্তরগুলো লিখে থাকি। আপনারা গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে এ ধরনের প্রশ্নের উত্তরগুলো আমাদের ওয়েব সাইট থেকে খুব সহজেই জেনে নিতে পারবেন। আর উত্তরটি জেনে নেয়ার জন্য সর্বপ্রথম আমাদের ওয়েবসাইটটি আপনাকে নির্বাচন করতে হবে। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি সম্পর্কে।

বহু প্রাচীনকাল থেকে মানুষ সমাজ গত ভাবে বেঁচে থাকতে বা সমাজবদ্ধ ভাবে থাকতে পছন্দ করে। যেহেতু মানুষ সামাজিক জীব তাই সবাই সমাজ বদ্ধ ভাবে বেঁচে থাকতে হলে বিভিন্ন ধরনের সেবা আদান-প্রদান ঘটে। তাই সেবা যখন অর্থের মধ্যে আদান-প্রদান হয় তখন সেটা হিসাব নিকাশের মধ্যে পড়ে যাই। তাই আমরা বলে থাকি বহু প্রাচীনকাল থেকে মানুষের মধ্যে হিসাব বিজ্ঞানের উদ্ভাবন ঘটে। হিসাব বিজ্ঞানে র ইতিহাস মানব সভ্যতার ইতিহাসের মতোই পুরানো। মানব সভ্যতার পরিবর্তনের সাথে সাথে হিসাব বিজ্ঞানের পরিবর্তন ঘটে। হিসাব বিজ্ঞানের ক্রমও বিকাশের ফলে বর্তমান আধুনিক অনেক জটিল ব্যবসা বাণিজ্য অনেক সহজেই দাঁড়িয়েছে। যা মানব সভ্যতার জন্য বিশেষভাবে প্রয়োজন।

মানুষের জীবন যত আধুনিক হচ্ছে ও বৈচিত্র্যময় হচ্ছে হিসাব বিজ্ঞানের প্রয়োজন তত বেড়ে চলেছে। দৈনন্দিন জীবনে মানুষের প্রতিটা ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেন ঘটে চলেছে। আর সেগুলোকে যদি সঠিকভাবে নির্ণয় না করা যায় তাহলে হিসাবের সঠিক ফলাফল বুঝতে পারা যাবে না। আর্থিক লেনদেনের প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ঘটতে করতে পারে। আর আর্থিক ঘটনা গুলোর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটে সেগুলোর উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। কারণ, আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটে এমন ঘটনাকে সাধারণত লেনদেন বলা হয়। হিসাববিজ্ঞানের প্রধান কাজ হলো এই লেনদেন গুলো সম্পূর্ণ ভাবে লিপিবদ্ধ করা এবং নির্দিষ্ট সময় শেষে একটি ফলাফল নির্ণয় করা।

হিসাববিজ্ঞান এমন একটি তথ্য প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে, লেনদেন সংরক্ষণ, লিপিবদ্ধ করন শ্রেণীবিন্যাস করন, সঠিক ফলাফল নির্ণয় এগুলো খুব বিশ্লেষণ ভাবে একটি প্রতিবেদন তৈরি করা এবং এই গুলোকে সম্পর্কে যারা ব্যবহারকারী তাদের সঠিক ফলাফল চিহ্নিত করা। মানব সভ্যতার বিনিময় প্রথা সূচনা হওয়ার পর থেকে গাণিতিক সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া এবং তা লিখে রাখার প্রয়োজনীয়তা বেড়ে যায়। এবং মানুষ তার নিজ প্রয়োজনের জন্য নিজ নিজ ধারা অনুযায়ী বিভিন্ন ভাবে হিসাব রাখতে শুরু করে। যার ফলে তখন থেকে হিসাব বিজ্ঞানের সূচনা ঘটে। যুগের পরিবর্তনের ফলে ব্যবসা বাণিজ্য সহ সকল ধরনের গাণিতিক সংখ্যা গুলোর পরিবর্তন হয়। বর্তমানে জটিল ও গাণিতিক হিসাব এর জন্য ও ব্যবসায় লেনদেনের সুবিধার্থে হিসাব বিজ্ঞানের পদ্ধতিটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

সাধারণত হিসাববি জ্ঞানের জ্ঞানকে কাজে লাগিয়েই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যে আর্থিক বিবরণী প্রস্তত করে যা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক কর্মকাণ্ডের গুলো ফলাফল সঠিক নির্ণয় করা হয়। একটি ব্যক্তির মনের ভাব যেমন ভাষার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়
তেমনি একটি প্রতিষ্ঠানের হিসাব বিজ্ঞানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান টির আর্থিক লেনদেন ও ব্যবসার মনোভাব প্রকাশ পায়। তাই এই বিষয়টি সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেছিলেন ইতালিয়ান রেনেসাঁর গণিতজ্ঞ তথ্য ও ধর্মযাজক লুকা প্যাসিওলি। তিনিই সর্বপ্রথম বৈজ্ঞানিক হিসাব শাস্ত্রের প্রচলন করেছিলেন। আর তাকে হিসাববিজ্ঞানের জনক বলে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। তাই প্রতিটি ক্ষেত্রে হিসাব বিজ্ঞানের জ্ঞানকে কাজে লাগে আমাদের জীবনকে উন্নতির পথে এগিয়ে নিতে হবে।

আশা করছি আমরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদের জানিয়ে দিলাম হিসাব বিজ্ঞানের জনক কে। আপনারা এই বিষয়টি সম্পর্কে আরো বিস্তারিতভাবে ধারণা পেতে হলে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে খুব সহজে এ বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *