বাংলাদেশ নৌ বাহিনী সশস্ত্র বাহিনী গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি বাহিনী। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কিছু সংখ্যক নাবিক ও তরূণ মুক্তি যোদ্ধাদের সমন্বয়ে গড়ে তোলা হয় এই বাহিনীটি। বর্তমানে বাংলাদেশ নৌবাহিনী টিতে প্রায় বারশ অফিসার বারো হাজার নাবিক এবং পচিশ শত বেসরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী এই প্রতিষ্ঠানটিতে চাকুরী রত আছেন। বর্তমান এই বাহিনীটি কে আরো প্রযুক্তি এবং আরও উন্নতি করার জন্য প্রতিনিয়ত নানান ধরনের কার্যক্রম চলছে। বর্তমান বাংলাদেশ নৌবাহিনী তে আশিটি যুদ্ধ জাহাজ রয়েছে। তাই আমাদের অনেক সময় অনেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রধান কে ২০২৩ এই প্রশ্নটির মুখোমুখি হতে হয়। আর এই প্রশ্নটির উত্তর জানার জন্য আমরা অনেকেই গুগল সহ ইন্টারনেটের নানান জায়গা অনুসন্ধান করি।আর আপনারা গুগলে সার্চ করার সাথে সাথে আমাদের ওয়েব সাইটে ভিজিট করে এ প্রশ্নের উত্তরটি জেনে নিতে পারবেন।
বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী গুলোর মধ্যে নৌবাহিনীটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি বাহিনী। কারন এই বাহিনীটি বাংলাদেশের প্রায় এক লক্ষ তিন হাজার বর্গ কিলোমিটার সমুদ্র সীমা রক্ষার মতো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিজেদের নিয়োজিত রাখে। দেশের তিন চর্তুর্থাংশের সমান আয়তনের সমুদ্রসীমা রক্ষা এবং সমুদ্রসীমায় খনিজ সম্পদ ও মৎস্য আহরণসহ অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সচল রাখায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বেশ সুনাম রয়েছে। মূলত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর দায়িত্ব দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে থাকে। একটি হল যুদ্ধকালীন দায়িত্ব আর উন্নতি হল শান্তি কালীন দায়িত্ব। যুদ্ধের সময় নিজ দায়িত্বে থেকে নিজের দেশের শত্রুমুক্ত করা এবং গ্যাস,তেল খনিজ সম্পদ সহ এই ধরনের জাতীয় সম্পদ গুলোকে রক্ষা করা এবং সমুদ্রপথে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সচল রাখা নৌবাহিনীর বিশেষ দায়িত্ব।
বাংলাদেশ নৌবাহিনী বর্তমানে জাতিসংঘ মিশনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা কার্যক্রমেও যুক্ত রয়েছে। তারা শুধু বাংলাদেশে নয় সারা বিশ্বে বেশ সুনাম অর্জন করছে তাদের কাজের দক্ষতার মাধ্যমে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রধান হচ্ছেন একজন চার তারকা অ্যাডমিরাল। নৌবাহিনী সদর দপ্তরে চারটি শাখা রয়েছে। প্রত্যেক শাখার প্রধান হিসেবে রয়েছেন একজন সহকারী নৌবাহিনী প্রধান। আর গোটা বাইনিটি পরিচালনা করার জন্য রয়েছে একটি প্রধান যাকে বলা হয় নৌবাহিনীর প্রধান। অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল তিনি বর্তমানে নৌবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে চলেছেন। তাছাড়া প্রত্যেক শাখার প্রধান হিসেবে একটি করে সহকারি নৌবাহিনী প্রধান হিসেবে সংযুক্ত রয়েছে। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ কে এগিয়ে নিয়ে এই বাহিনীটির গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।