টিস্যু কাকে বলে

উদ্ভিদ এবং প্রাণীর দেহ বিভিন্ন ধরনের কোর্স দিয়ে গঠিত। অর্থাৎ পৃথিবীর আদি প্রাণের আবির্ভাব এর প্রথম দিন থেকে আজ পর্যন্ত এককোষী প্রাণী প্রোটোজোয়া পর্বের প্রজাতিগুলো তাদের দেহের সব ধরনের ক্রিয়া-কলাপ যেমন খাদ্যগ্রহণ দেহের বৃদ্ধি ও প্রজনন ওই একটি কোষের মাধ্যমেই সম্পন্ন করে থাকে। তবে বহু খুশি প্রাণী এবং উদ্ভিদের বেলায় একটু ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। কারণ উদ্ভিদ এবং প্রাণীর অর্থাৎ বহুত খুশি উদ্ভিদ ও প্রাণীরা তাদের বিভিন্ন ধরনের কোষ বিভিন্ন ধরনের কার্যকলাপ গুলো সংগঠিত করে থাকে। তাই এই টিস্য ু আমাদের উদ্ভিদ এবং প্রাণিজগতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যার অস্তিত্ব ছাড়া প্রাণী এবং উদ্ভিদের অস্তিত্বই কল্পনা করা যায় না।

আজ আমরা দেখব টিস্যু কাকে বলে। যেহেতু জীবজগতকেই দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে যার একটি হল উদ্ভিদ অপরটি প্রাণীজগৎ। তাই কিছু কিছু ক্ষেত্রে বা অনেক ক্ষেত্রেই প্রাণীটিসু এবং উদ্ভিদ টিস্যু আলাদা আলাদা ধরনের কার্যকলাপ সংঘটিত করে থাকে। প্রথমে আমরা উদ্ভিদ টিস্যু নিয়ে কিছু কথা বলি। একই বা বিভিন্ন প্রকারের একগুচ্ছ কোষ একত্রিত হয়ে যদি একই কাজ করে এবং তাদের উৎপত্তি ও যদি অসীর্ণ হয় তখন তাদের টিস্যু বা কলা বলা হয়ে থাকে। টিস্যু সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে একটি ভাজক টিস্যু এবং অপরটি স্থায়ী টিস্যু। ভাজক কিশোর কোর্সগুলো বিভাজনে সক্ষম কিন্তু স্থায়ী কিশোর কোষ গুলো বিভাজিত হতে পারে না প্রাথমিকভাবে তাই ভাজক টিস্যু এবং স্থায়ী টিস্যু এদিক থেকে আলাদা হয়ে থাকে।

স্থায়ি টুসু আবার তিন প্রকারের হয়ে থাকে যার মধ্যে বলা যায় সরল টিস্যু, জটিল টিস্যু, এবং নিঃস্রাবী টিস্যু। সরল টিস্যু আসলে বলা যায় যে স্থায়ী কিশোর প্রতিটি কোষ আকার আকৃতি এবং গঠনের দিক থেকে অভিন্ন তাই তাকে সরল টিস্যু বলা হয়। এই সরল টিস কে আবার আমরা তিন ভাগে ভাগ করতে পারি যথা ব্যারেনকাইমা কোলেনকাইমা এবং কেরেন কাইমা। এরপর যদি জটিল টিস্যুর কথা বলা হয় তাহলে দেখব যে বিভিন্ন ধরনের কোষের সমন্বয় যে স্থায়ী টিস্যু তৈরি হয় তাকে জটিল টিস্যু বলা হয়ে থাকে। কিছু গুলি উদ্ভিদের পরিবহনের কাজ করে থাকে তাই এদেরকে আবার পরিবহন টিস্যু বলা হয়। পরিবহন টিস্যুকে দুই ধরনের হয়ে থাকে একটি জাইলেম এবং অপরটি ফ্লোয়েম টিস্যু। এরপর যদি আমরা পানি শিশুর দিকে তাকাই তাহলে দেখা যাবে যে।

বহুকোষী প্রাণীদেহে অনেক কোষ একত্রে কোন বিশেষ কাজে নিয়োজিত থাকে। একই ভূমি ও কোষ থেকে উৎপন্ন হয়ে এক বা একাধিক ধরনের কিছু সংখ্যক কোষ জীবদেহের কোন নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করে সমষ্টিগতভাবে একটা কাজে নির্যাত থাকলে ওই কোর্সগুলো সমষ্টিগতভাবে টিস্যু বা তন্ত্র তৈরি করে। একটি টিস্য ুর কোষ গুলোর উৎপত্তি কাজ এবং গঠন একই ধরনের হয়। আবার এরা একত্রে তরল যোজক টি সুনামে এক ধরনের টিস্যু হিসেবে পরিচিত থাকে। মানবদেহে নানা ধরনের কোষ আছে যারা ভিন্ন ভিন্ন কাজে নিয়োজিত থাকে। মানবদেহের স্নায়ু কোষ দেহচূড়া জলের মতো ছড়িয়ে থাকে। এই কোষগুলো দেহের যে কোন অংশের উদ্দীপনা গ্রহণ করে মস্তিষ্কে প্রেরণ করে আবার মস্তিষ্কের কোন বার্তা শরীরের নির্দিষ্ট অংশে পৌঁছে দেয়।

চোখের স্নায়গুলোর এক ধরনের কাজ কানের স্নায় গুলোর আরেক ধরনের কাজ হয়ে থাকে। মানুষের চোখের মত বিভিন্ন ধরনের স্নায়ু কো ষ না থাকায় বেশিরভাগ প্রাণই পৃথিবীর দৃশ্যমান বস্তুগুলো রঙ্গিন হিসেবে দেখতে পায় না অনেক প্রাণী শুধু দিন বা রাতে দেখতে পায়। তাই দেখা যায় যে মানুষের স্নায়ু কোষগুলি একটু আলাদা ধরনেরই হয়ে থাকে। মানুষের বা প্রাণী টিস্যুর গঠন আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। কিছু সম্পর্কে অনেক ধরনের কথার পর আমরা তাহলে এখন দেখতে পারি টিস্যু কাকে বলে?

টিস্যু: একইভাবে বিভিন্ন প্রকারের একগুচ্ছ কোষ একত্রিত হয়ে যখন একই ধরনের কাজ করে থাকে এবং তাদের উৎপত্তি ও যদি অভিন্ন হয় তখন তাদেরকে টিস্যু বলা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *